AB Bank
ঢাকা বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

'গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বৃত্ত তারল্য খাত'


Ekushey Sangbad

০৬:৪৫ এএম, অক্টোবর ১৫, ২০১৪
'গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে উদ্বৃত্ত তারল্য খাত'

একুশে সংবাদ : বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়শনের সভাপতি ও প্রাইম ফিন্যান্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান এক সময় তারল্য সংকট দেশের আর্থিক খাতকে যথেষ্ট ভুগিয়েছে। এখন আবার উদ্বৃত্ত তারল্য এ খাতের গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষ করে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর (এনবিএফআই) জন্য ব্যাংকিং খাতের বাড়তি তারল্য নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দিয়েছে। বিদেশ থেকে স্বল্প সুদের ঋণ নিয়ে আসার ক্রমবর্ধমান প্রবণতাও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসায় প্রভাব ফেলছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানের প্রধান নির্বাহীদের সংগঠন বাংলাদেশ লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশন (বিএলএফসিএ) এর চেয়ারম্যান ও প্রাইম ফাইন্যান্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আসাদ খান এ কথা বলেছেন। দেশের নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ ও ব্যবসার বর্তমান পরিস্থিতি কী? আসাদ খান: বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা তেমন ভালো নয়। নানা কারণে শিল্প-বাণিজ্যে বিনিয়োগে কিছুটা স্থবিরতা বিরাজ করছে। ভালো প্রকল্পের সংকট ও ঋণের চাহিদা কমে যাওয়ায় ব্যাংকে তারল্যের পরিমাণ অনেক বেড়ে গেছে। ফলে ব্যাংকগুলো তাদের বিনিয়োগ নিয়ে চিন্তায় পড়েছে। এ অবস্থায় আর্থিক প্রতিষ্ঠানের খুব বেশি ভাল থাকার কথা নয়। অতিরিক্ত তারল্য ব্যবসার ক্ষেত্রে কী কোনো প্রভাব ফেলছে? আসাদ খান: ২০১২ সালে ব্যাংক ও ব্যাংক বহির্ভূত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বিনিয়োগের একটি ভাল পরিস্থিতি ছিল। সেসময় চাহিদা থাকলেও নগদ টাকার সংকট প্রকট আকার ধারণ করে। ফলে চাহিদামাফিক ব্যবসা করা সম্ভব হয়নি। আর ২০১৪ সালে অধিক নগদ অর্থও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ব্যবসা বাঁধাগ্রস্ত করছে। উদ্বৃত্ত তারল্যের কারণে ব্যাংকগুলো ঋণের সুদ হার কমিয়ে আনছে। কম সুদের ঋণ পেয়ে অনেক গ্রাহক আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানের সাথে থাকতে চাচ্ছে না। তারা আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঋণ শোধ করে দিয়ে ব্যাংক থেকে ঋণ নিচ্ছে। এতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের আয় কমে যাচ্ছে। বাংলাদেশ লিজিং অ্যন্ড ফিন্যান্স কোম্পানিজ অ্যাসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান মোঃ আসাদ খানের সাথে অর্থসূচক সম্পাদক জিয়াউর রহমান স্বল্প সুদে ঋণ পাওয়ার জন্য বিদেশি উৎসের প্রতি ব্যবসায়ীদের ঝোঁক বাড়ছে। এটা আপনাদের ব্যবসায়ে কী ধরনের প্রভাব ফেলছে? আসাদ খান: বিদেশি ঋণ অনুমোদনে বিনিয়োগ বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংক এখন অনেক বেশি উদার। ফলে বড় বড় প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে বিদেশি ঋণের প্রতি ঝোঁক বাড়ছে। এতে দেশের ব্যাংকের পাশাপাশি আর্থিক প্রতিষ্ঠানও মারত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। বিদেশিদের সাথে আমাদের রপ্তানি খাতে প্রতিযোগিতা করতে বাংলাদেশ ব্যাংকে এ ধরনের পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে। কারণ বিদেশি ঋণের সুদহার অত্যন্ত কম। ফলে ওই প্রতিষ্ঠানের অবকাঠামো উন্নয়ন ও উৎপাদন খরচ অনেক কম হয়। এতে রপ্তানিকৃত পন্যও অনেক কম খরচে রপ্তানি করা যায়। ব্যবসায়ীদের দেশিয় ঋণে আগ্রহ বাড়াতে সুদের হার কমানোর কোনো বিকল্প নেই। বাংলাদেশ ব্যাংকের নতুন নীতির ফলে শেয়ারবাজারে আপনাদের বিনিয়োগ সীমিত করতে হয়েছে, এটা ব্যবসার ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলেছে? আসাদ খান: একটা সময় পর্যন্ত আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি বড় আয় শেয়ার বাজার থেকে এসেছে। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংক নতুন নীতি করে শেয়ার বাজারে আর্থিক প্রতিষ্ঠানের বিনিয়োগ সীমা সংকোচিত করে দিয়েছে। ক্যাপিটাল মার্কেট এক্সপোজার কমানোর নির্দেশ দেওয়ায় এ খাত থেকে আমাদের আর তেমন কোনো আয় হচ্ছে না। ফলে সার্বিকভাবে প্রতিষ্ঠানগুলো সমস্যার মধ্যদিয়ে যাচ্ছে। ব্যবসায়ের এমন মন্দাভাব কাটাতে আপনারা কী ধরনের কৌশল অবলম্বন করছেন? আসাদ খান: ব্যবসার এ মন্দাভাব কাটাতে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো স্বল্প মেয়াদী ও দীর্ঘ মেয়াদী ঋণ বিতরণ করছে। বিশেষ করে এল সি বা কোনো ব্যবসার তাৎক্ষণিক মূলধন যোগানের ব্যবস্থা করছে। তাছাড়া বর্তমানে যেহেতু এসএমই খাত বেশি অগ্রাধিকার পাচ্ছে তাই বাংলাদেশ ব্যাংকের পুনঃঅর্থায়ন তহবিল থেকে এসএমই ও কৃষি ভিত্তিক ঋণ বেশি দেওয়া হচ্ছে। এর ফলে আমাদের অর্থনীতির চাকা একদিকে যেমন সচল থাকছে, অন্যদিকে দেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করছে। মূলকথা হলো বর্তমানে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ফ্যাক্টরিং, মাঝারি ব্যবসা এবং ইনভয়েসের ওপর অর্থায়ন করছে। ব্যাংক যেখানে অর্থায়ন করে না, আমরা সেখানে অর্থায়ন করার চেষ্টা করছি। এধরনের বহুমুখী খাতে বিনিয়োগের মাধ্যমে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো চলছে। অনেক সাবসিডারি প্রতিষ্ঠান শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করে থাকে। কিন্তু বর্তমানে শেয়ার বাজারের যে নিম্ন ধারা চলছে এবং মাজিন ঋণের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ব্যাংক যে সীমা বেঁধে দিয়েছে তাতে এসব প্রতিষ্ঠানের ওপর কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে? আসাদ খান: পুঁজিবাজারে যদি উর্ধ্বমুখী ধারা না আসে তাহলে এসব সাবসিডায়ারি প্রতিষ্ঠান কোনো দিনও তাদের মার্জিন ঋণের ঝামেলা মেটাতে পারবে না। আইসিবি বা বাংলাদেশ ব্যাংক যতই তাদের প্রণোদনা প্যাকেজ দিক না কেন সেটাতেও উন্নতি হবে না। তাছাড়া বর্তমানে যে পরিস্থিতি দেখা যাচ্ছে তাতে মনে হচ্ছে পুঁজি বাজারের এ মন্থর গতি দীর্ঘদিন ধরে চলতে থাকবে। এর প্রধান কারণ হলো ব্যাংকগুলো তাদের ইনভেস্ট কমিয়ে দিয়েছে। করপোরেট প্রতিষ্ঠান, ব্যাংক বা অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান যখন বিনিয়োগ কমিয়ে দেয় তখন সাধারণ মানুষ এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হয় না। ফলে এখন যেমন সূচক চলছে আগামী কয়েক বছরও একই ধারা অব্যাহত থাকবে বা এর চেয়ে কম বেশি ওঠা নামা করতে পারে। বাংলাদেশ ব্যাংক বা এসইসি যতই চেষ্টা করুক এর সমাধান হবে না। এ পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন কেউ চেষ্টা করছে না এবং কোনো উপায়ও দেখছি না। বিনিয়োগের এমন খরা পরিস্থিতে আপনার প্রতিষ্ঠান প্রাইম ফাইন্যান্সের বর্তমান অবস্থা কী? আসাদ খান: ২০১১ সালের জুনে আমি যখন এ প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব নেই তার আগে প্রাইম ফাইন্যান্স মূলত শেয়ার বাজার কেন্দ্রীক প্রতিষ্ঠান ছিল। তখন শেয়ার বাজার বিনিয়োগের বড় জায়গা ছিল। গত ৩ বছরে আমরা শেয়ার বাজার থেকে অনেকটা বেরিয়ে এসেছি। এখন আমরা হাউজিং, এসএমই, কৃষি ভিত্তিক অর্থায়নের দিকে এগুচ্ছি। ফ্যাক্টারির দিকে বেশি নজর দিচ্ছি। যারা বিভিন্ন ক্ষেত্রে অভিজ্ঞ তাদের নিয়ে আমাদের একটি টিম করা হয়েছে। আমি নিজেও বিভিন্ন জায়গায় বিনিয়োগের জন্য যাচ্ছি। ফলে আমরা অত্যন্ত আশাবাদি প্রতিষ্ঠানটি অনেক ভাল করবে। ২০১২ সালে আমাদের যা ইমপ্রুভ হয়েছে ২০১৩ সালে তার চেয়ে বেশি হয়েছে। আমরা আশা করছি চলতি বছর আরও বেশি উন্নতি করবে প্রাইম ফাইন্যান্স। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-১০-০১৪:
Link copied!