AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ২৮৯৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক


Ekushey Sangbad

০৭:০৫ এএম, অক্টোবর ১৭, ২০১৪
আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ২৮৯৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

একুশে সংবাদ : বরিশাল, ভোলা, পটুয়াখালী, পিরোজপুর, চট্রগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, লক্ষ্মীপুর ও নোয়াখালী জেলার ৭৪টি উপকূলীয় উপজেলায় বহুমুখী আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণে ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক। ‘বহুমূখী দুর্যোগ আশ্রয়কেন্দ্র’ প্রকল্পের আওতায় উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে। প্রকল্পের মোট ব্যয় ধরা হয়েছে ২ হাজার ৯০৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকা এর মধ্যে বিশ্বব্যাংকের ঋণ ২ হাজার ৮৯৬ কোটি ১১ লাখ টাকা। বাকি ১৩ কোটি ২৮ লাখ টাকা অনুদান থেকে মেটানো হবে। স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয় পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় বরাবর প্রকল্প মূল্যায়ন কমিটি(পিইসি) সভার জন্য সম্প্রতি চিঠি পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি জানুয়ারি ২০১৫ থেকে ডিসেম্বর ২০২১ সাল মেয়াদে বাস্তবায়ন করবে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতর(এলজিইডি)। প্রকল্প প্রসঙ্গে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মশিউর রহমান রাঙা বাংলানিউজকে বলেন, উপকূলীয় মানুষ যেন নিরাপদে জীবন-যাপন করতে পারে সেই লক্ষ্যে প্রকল্পটি হাতে নেওয়া হয়েছে। এতে বিশ্বব্যাংক ২ হাজার ৮৯৬ কোটি টাকা ঋণ দেবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশেই আমরা প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি।’ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, ২০১৯ সালের মধ্যেই প্রধানমন্ত্রী দেশকে মধ্যম আয়ের দেশ গড়তে চান। সেই লক্ষ্যেই আমরা প্রকল্পটি হাতে নিয়েছি। যেভাবে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প দেশের দারিদ্র্য দূরীকরণে ভূমিকা পালন করেছে একইভাবে এই প্রকল্পটিও কাজ করবে।’ মশিউর রহমান রাঙা আরো বলেন, স্থানীয় উন্নয়ন ছাড়া মধ্যম আয়ের দেশগড়া সম্ভব নয় তাই প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ব্যাপারে গুরুত্ব দিচ্ছি আমরা ।দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা ও হরতাল না থাকলে ঘোষিত সময়ের আগেই বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবে।’ পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ে প্রকল্পের প্রস্তাবনাও পাঠানো হয়েছে। প্রকল্পের নানা উদ্দেশ্যের কথা বলা হয়েছে এর মধ্যে অন্যতম উপকূলীয় নির্বাচিত জেলাসমূহের জনগোষ্ঠীকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি থেকে রক্ষা করা। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময় জানমালের রক্ষার সুযোগ সৃষ্টি করা । প্রকল্পের আওতায় প্রাথমিক শিক্ষা ও অন্যান্য শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। স্বল্প মেয়াদী কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও সামাজিক সরকারি কর্মসূচি ইপিআই, এনজিও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে উপকূলীয় জনগোষ্ঠীর সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি করা। পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, প্রকল্পের আওতায় নানা ধরণের অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে। এর মধ্যে অন্যতম ৫৫০টি সাইক্লোন সেল্টার নির্মাণ। এছাড়া প্রকল্প এলাকায় অবস্থিত ৪৫০টি সাইক্লোন সেল্টারের সংস্কার করা হবে। বিশ্বব্যাংকের ঋণে ২ হাজার ৯০৯ কোটি ৩৯ লাখ টাকার বড় প্রকল্প হাতে নেওয়ার ক্ষেত্রে নানা যুক্তি উপস্থাপন করে এলজিইডি। এলজিইডি সূত্র জানায়, বাংলাদেশ প্রাকৃতিক দুর্যোগপ্রবণ দেশ। ভৌগলিক অবস্থানগত দিক থেকে দেশের উপকূলীয় এলাকা অবকাঠামোগত দিক থেকে পিছিয়ে রয়েছে। এছাড়া উজান থেকে নেমে আসা বন্যার পানি, সাইক্লোন, ব্যাপক বৃষ্টিপাত, নদীর উপচে পড়া পানি প্রবাহ সৃষ্টি করে এবং উপকূলীয় জনপদ প্লাবিত করে। এলজিইডির তথ্য মতে উপকূলের প্রায় ৮ হাজার ৯০০ বর্গকিলোমিটার এলাকার জনগণ অত্যন্ত ঝুঁকির মধ্যে জীবনযাপন করেন। এ প্রেক্ষিতে,উপকূলীয় জনপদে বসবাসরত মানুষের জীবন ও জীবিকার প্রয়োজন বলে মনে করে এলজিইডি। প্রকল্পটি হাতে নেওয়ার যুক্তি উপস্থাপন করে এলজিইডি পরিকল্পনা কমিশনকে জানায়, উপকূলীয় মানুষের সুরক্ষার প্রয়োজন, অবকাঠামো সমূহের উন্নয়ন ও সংস্কারের জন্য আশ্রয়কেন্দ্র দরকার। এলজিইডি জানায়, উপকূলীয় এলাকায় আশ্রয়কেন্দ্র নির্মাণ করা হলে এ অঞ্চলের মানুষ প্রতিবছর প্রাকৃতিক দুর্যোগ, বন্যা, সাইক্লোন সহ ও নানা দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পাবে। সেই লক্ষ্যে বিশ্বব্যাংকের সহায়তায় বড় বাজেটের প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৭-১০-০১৪:
Link copied!