দাম কমায় চাহিদা বাড়ছে সোনার
একুশে সংবাদ : আন্তর্জাতিক বাজারে কমার সাথে সাথে দেশের বাজারে গত দেড় বছরে ভরি প্রতি সোনার দাম কমেছে ১২ হাজার টাকারও বেশি।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বাজুসের তথ্যমতে, বিশ্ববাজারে স্বর্ণ বিক্রির চাপ বেড়ে যাওয়াতেই দফায় দফায় দাম কমছে। তবে দাম কমায় দেশে স্বর্ণের অলংকারের বাজারে কিছুটা আগ্রহ বেড়েছে ক্রেতাদের। বিক্রেতারা আশা করছেন সামনে বিয়ের মৌসুমে বিক্রি আরো বাড়বে।
বিশ্বমন্দায় অর্থনৈতিক স্থবিরতায় ২০০৮ সাল থেকে স্বর্ণের বাজারে বাড়ে জুয়েলারি ও বাণিজ্যিক বিনিয়োগ। কয়েক বছরের ব্যবধানে ২০১১ সালে বিশ্ববাজারে প্রতি আউন্স খাঁটি সোনার দাম রেকর্ড পরিমাণ ওঠে দাড়ায় ১৯২০ ডলারে। ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিলের হিসেব মতে বিশ্বের দুই বড় ক্রেতা দেশ ভারতে ৯০০ ও চীনে ১১০০ টনের মত বার্ষিক স্বর্ণের চাহিদা রয়েছে। তবে দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের কারণে চীনে এবং অতিরিক্ত শুল্পকারোপের ফলে ভারতে সোনার চাহিদা কমতির দিকে। আন্তর্জাতিক বাজারের মত দেশেও অলংকারের বাজারে চলতি বছরে মোট ৭ বার দাম কমেছে স্বর্ণের দাম।
ব্যাংক অব আমেরিকা, গোল্ডম্যান সাকস্ এর মত প্রতিষ্ঠান চলতি বছরের শেষ নাগাদ বিশ্ববাজারে স্বর্ণের চাহিদা আরো ১৭ শতাংশ কমার যে পূর্বাভাস দিয়েছে, তার সাথে একমত প্রকাশ করে বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতি বলছে বিশ্ব রাজনীতি, জ্বালানি তেলের দাম এবং ডলারের বিনিময় হার নিয়ন্ত্রণ করে স্বর্ণের বাজার।
বাজুস এর সিনিয়র সহ-সভাপতি জি সি মালাকার বলেন, 'ডলার, তেল, ইউরো সবকিছুই স্বর্ণের সঙ্গে সম্পর্কিত। হঠাৎ করে বায়িংটা কমে গেছে। সেলার মার্কেটে যারা গোল্ড মজুদ করেছে তারা গোল্ড সেল করছে। শেয়ার ব্যবসার যেমন ওঠানামা হয় গোল্ডও মাঝে মাঝে সেরকম বেশ ওঠানামা হয়।'
বর্তমানে দেশের বাজারে প্রতি ভরি খাঁটি সোনা বিক্রি হচ্ছে ৪৫ হাজার ৭০০ টাকায়, ২১ ক্যারেট ৪৩৬০০, ১৮ ক্যারেটের দাম পড়বে ৩৭০০০ টাকা আর সাধারণ মানের সনাতনী সোনা বেচাকেনা হচ্ছে ২৫ হাজার টাকা ভরিতে।
একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/১৯.১০.০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :