সাইকেলের শহর সিডনী
একুশে সংবাদ ডেস্ক: সাইকেল পরিবেশ বান্ধব যান হিসেবে বর্তমানে বেশ জনপ্রিয়। পরিবেশ দূষণের কথা বাদ দিলেও সাইকেল নিয়ে প্রায় সব দেশেরই শিশুদের থাকে এক বাড়তি আকর্ষণ।
গত চার বছরে অস্ট্রেলিয়ার শহর সিডনী হয়ে গেছে সাইকেলের শহর। ২০১০ সাল থেকে শহরটিতে সাইকেলের সংখ্যা বেড়েছে প্রায় ১৩০ শতাংশেরও বেশি। অস্ট্রেলিয়াতে যা হতে সময় লেগেছে চার বছর, লন্ডনে তা হতে সময় লেগেছে দশ বছর। এর কারণ অবশ্য সংস্কৃতি ও যোগাযোগ ব্যবস্থা।
সিডনী শহরে রয়েছে ১১০ কিলোমিটার দীর্ঘ সাইকেল নেটওয়ার্ক রাস্তা। যে রাস্তায় শুধু সাইকেলই চলে, যার কারণে নেই কোনো দূর্ঘটনার ভয়। সিডনীর সিটি সেন্টার থেকে শুরু হয়ে শহরতলী হয়ে আলেকজান্দ্রিয়া এবং প্রাইমন্ত পর্যন্ত পৌছে গেছে রাস্তাটি। তবে আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে রাস্তাটি আরও ৯০ কিলোমিটার বেড়ে ২০০ কিলোমিটার করা হবে। আর সংস্কৃতির কথা যদি বলতেই হয়, তাহলে আমরা গোটা সিডনী জুড়ে দেখতে পাবো এরকম অনেক ক্যাফে যেখানে শুধু সাইকেল আরোহীরাই যাতায়াত করেন এবং তাদের ভাব ও গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য আদান প্রদান করেন।
এছাড়াও আছে বাৎসরিক সাইকেল প্রতিযোগিতা। প্রতি বছর অক্টোবর মাসের ২৫ তারিখ অনুষ্ঠিত হয় এই প্রতিযোগিতা। এর বাইরেও ছোটো বড় ইভেন্ট মিলিয়ে প্রায় ২০টি ইভেন্ট চালু থাকে সাইকেলকে ঘিরে বছর জুরে। এক একটা ইভেন্টের আলাদা সব মজা। কোনো ইভেন্টে আপনি অনায়াসে আপনার সাইকেলটিকে দিতে পারেন ভিন্নধর্মী চেহারা। হয়তো বা আপনার স্বপ্নে দেখা সাইকেলটিও বানিয়ে ফেলতে পারেন। এক কথায় সাইকেল নিয়ে যা যা আপনি করতে চান তার সবই সম্ভব সিডনীতে। রীতিমতো সাইকেলের হাট বসে এখানে।
সবচেয়ে বড় কথা আপনি সিডনীতে দেখা পাবেন কিছু সাইকেল শিল্পীদের। যারা সাইকেলকে বেছে নিয়েছেন জীবনে বেঁচে থাকার অন্যতম অঙ্গ হিসেবে। নিজেদের পছন্দ মতো সাইকেল ডিজাইন করছেন, সেই ডিজাইন নিয়ে আবার প্রতিযোগিতাও হচ্ছে। সেই প্রতিযোগিতার যিনি জিতে যান তাকে দেয়া হচ্ছে বছর সেরা ‘সাইকেল আর্টিস্ট’র মর্যাদা। তেমনি একজন ডেভিড ডোনাল্ড। গত ২০১১ সালের সেরা আর্টিস্ট তিনি। বর্তমানে তিনি নিজে একটা সাইকেল প্রদর্শনীর আয়োজন করেন। এছাড়াও তার রয়েছে নিজস্ব সাইকেল নির্মানকারী প্রতিষ্ঠান। যে কেউ চাইলে ডেনাল্ডের কাছ থেকে নিজের পছন্দের ডিজাইন মাফিক বানিয়ে নিতে পারেন ভালোবাসার সাইকেল।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/১৯.১০.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :