হলুদের গুনাগুন
একুশে সংবাদ ডেস্ক : রান্নাঘরের অতি প্রয়োজনীয় একটি উপকরণ হলুদ। এর গুঁড়ো মসলা শুধু খাবারের স্বাদ বা রঙের জন্যেই নয়, এর বহুবিধ গুণও রয়েছে। বহু বৈজ্ঞানিক গবেষণায় হলুদের গুঁড়োর নানা স্বাস্থ্যকর গুনাগুণ উঠে এসেছে। এখানে জেনে নিন এর ৬টি দারুণ উপকারী গুণের কথা।
১. হৃদযন্ত্রে জ্বালাপোড়া ও পাকস্থলীর নানা সমস্যা দূর করে হলুদ। ১৯৮৯ সালের এক গবেষণায় দেখা যায়, হৃদযন্ত্রের জ্বালাপোড়া কমিয়ে দেয় হলুদ। পাশাপাশি হজমেও সহায়তা করে এই মসলাটি।
২. হলুদের রঙে উজ্জ্বল আভা এনে দিয়েছে এর কারকিউমিন মানের এক উপাদান। এই উপাদানটি হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমায়। ২০১২ সালে এক গবেষণায় এর প্রমাণ পাওয়া যায়। ১২১ জন রোগীর ওপর এ গবেষণা পরিচালিত হয় যাদের ২০০৯-২০১১ সালের মধ্যে হার্টে বাইপাস অপারেশন করা হয়েছিল। অপারেশনের তিন দিন আগে এদের একদলকে প্লেসবো পিল এবং অপর দলকে কারকিউমিন ক্যাপসুল খাওয়ানো হয়। পরে গবেষণায় দেখা যায়, যাদের প্লেসবো খাওয়ানো হয় তাদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ছিলো ৩০ শতাংশ। অন্যদিকে, কিউকারমিন গ্রহণকারীদের ঝুঁকি মাত্র ১৩ শতাংশ।
৩. ডায়াবেটিস না থাকা অবস্থায় যারা হলুদ খান, কিউকারমিন তাদের ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি কমিয়ে দেয়। ২০১২ সালের এক গবেষণায় এক দল মানুষকে প্লেসবো ও কিউকারমিন পৃথকভাবে খাওয়ানো হয়। পরে দেখা যায় যারা প্লেসবো খেয়েছেন তাদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঝুঁকি রয়ে গেছে।
৪. আমেরিকান ক্যান্সার সোসাইটি জানায়, কিউকারমিন ক্যান্সারের বিরুদ্ধেও লড়াই করে। ক্যান্সার ছড়িয়ে দেওয়ার পেছনে দেহে যে মলিকিউলগুলো কাজ করে, কিউকারমিন তাদের কাজে বাধা প্রদান করে।
৫. হলুদের আরেকটি উপাদান অ্যারোমেটিক টারমারন। এই উপাদানটি মস্তিষ্কের ক্ষিতগ্রস্ত কোষগুলোকে সুস্থ করে তোলে। স্ট্রোক ও আলঝেইমারে আক্রান্তদের দ্রুত সুস্থ হতেও ব্যাপক উপকারী অ্যারোমেটিক টারমারন। ২০০৮ সালের এক গবেষণায় এর প্রমাণ মেলে।
৬. খাবার দেহে প্রদাহজনিত সমস্যা তৈরি করলে হলুদের কিউকারমিন তা উপশম করে। তবে ঠিক কীভাবে প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হয় তা এখনো অজানা। হাঁটুতে অস্টেরোআরথ্রাইটিস যাদের রয়েছে, তাদের জন্য ইবুপ্রোফেন যেমন কাজ করে, ঠিক একই কাজ করে হলুদ। সূত্র : হাফিংটন পোস্ট
একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২১.১০.০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :