AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কায়েমী এবং দায়েমী নামায


Ekushey Sangbad

১০:১০ এএম, অক্টোবর ২১, ২০১৪
কায়েমী এবং দায়েমী নামায

একুশে সংবাদ : কায়েম শব্দটি অভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- অবিরত, প্রতিষ্ঠিত, খাড়া, এবং সর্বদা। এবং দায়েম শব্দটি অভিধানিক বাংলা অর্থ হচ্ছে- স্থায়ী, অবিরাম, স্থিতিশীল, সর্বদা, অবিরাম। আপনি আরবী হইতে বাংলা অভিধানটি ‍খুললেই আমার সাথে দ্বিমত করার কোন সুযোগ পাবেন না। এই দুইটি শব্দের একই অর্থ বহন করে। এখানে আমাদের আলেম সাহেবগন মাদ্রসার শিশুদের ছোট বেলা থেকে শিক্ষা দিয়ে আসছেন ৫ ওয়াক্ত নামায জামাতের সহিত পড়াই হলো কায়েম করা। নিজে পড়া এবং সবাইকে নিয়ে জামাতে পরার নামই কায়েম করা। হাঁয়রে কপাল! আল্লাহ পবিত্র কোরআনের একাধিক বারই বলেছেন যার যার বোঝা তাকেই বহন করতে হবে। তবে জামাতে নামায আদায় করলেই কায়েম হবে কি করে? কায়েম শব্দটি যেহেত অবিরত সেহেতু আপনার নামাযের সাথে তো আমার নামায শুরুও হয় না শেষও হয় না। যে ওয়াক্তে আমি বাড়িতে থাকি তবে তো আপনাদের নামায কায়েম হয় না যেহেতু আমাকে সামিল করতে পারেন নাই। আর যার যার কায়েমী নামায যদি তার তার হয় তবেই সেটা কায়েম করা সম্ভব। কারণ আল্লাহ বলেছেন জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত সালাত(নামায) কায়েম করতে। আমরা একসাথে জন্মাইও না মরবোও না। আমি শুধু একটা কথাই বলতে চাচ্ছি কায়েম যার যার তার তার। কায়েম কিভাবে হয় সেটা আমি আলোচনা করবো একটা গল্প বলতে চাই। আমার বাড়ির কাছের মসজিদের সেক্রেটারী জুম্মার নামাজের জন্য খতিব খুজচ্ছেন এবং প্রতি জুম্মায় ইন্টার্ভিউও নিচ্ছেন। তার চোখে ভাল খতিব পরছে না, তাই খতিব নির্ধারন করতে পারছেন না। জানতে চাওয়া হল খতিবের ইন্টার্ভিউ কে নিবে। জবাবে, তিনি বললেন আমরাই নিবো। আপনি কি আরবীর ভাল জ্ঞান রাখেন? বললেন আমি আরবী জানি না, তবে শুনলেই বুঝতে পারবো! গ্রামে একটা কথা প্রচলন আছে শুটকির নৌকা বিড়াল চৌকিদার। এই হলো আমাদের দুর্ভাগ্য। আর যাদের নিয়োগ দেওয়া হয় তারা শুধু ফটর ফটর আরবী বলে যান তারা অর্থ কিছু বলতে পারেন না। এই জন্যই নামাজ কায়েম করার এই অবস্থা। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে সূরা মরিয়াম এর ১৯:৩১ নং আয়াতে সালাত কায়েম করতে বলেছেন জন্ম হইতে মৃত্যুর আগ মুহুর্ত পর্যন্ত অবিরতভাবে, নির্বিছিন্ন, বিরতিহীন ভাবে। কই আমরা তা করছি? মনে করেন কেউ এশার নামায পরতে কারো লাগে ১৫,২০,২৫ মিনিট বৃদ্ধ মানুষের বেশীর মধ্যে ৩০ মিনিট তাহলে কিভাবে সমতা হয়। আমি খুব সাধারন ভাবে কায়েম সম্পর্কে আলোচনা মাধম্যে কায়েম শব্দটি বোঝাতে চাই। ১/ একটি শিশু মাতৃগর্ভে ৯ মাস ১০দিন কায়েম থাকার পর ভুমিষ্ট হয়। শিশুটি কিন্তু সব সময়ের জন্যই মায়ের পেটেই থাকে সে কিন্তু মাঝে মাঝে বের হয় না। ২/ সরকারী অফিস টাইম সকাল ৯টা হতে ৫টা এই সময়টুকু সরকারী চাকুরীজীবিদের জন্য কায়েমী সময়। সরকারী কর্মচারীদের জন্য ঐ অফিস সময়টা অন্য কোন কাজ করা বৈধ নয় পিয়ন থেকে শুরু করে উর্ধতন কর্মকর্তা পর্যন্ত। ১৯:৩১ নং আয়াতে আল্লাহর কায়েমী সময়টা হচ্ছে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত। আল্লাহ কোরআনে যেখানেই নামায় কায়েম করার কথা বলেছেন সাথে যাকাতের কথাও বলেছেন। তবে একটি কথা আল্লাহর নামায যারা কায়েম করে তারা সাথে সাথে যাকাতও আদায় করেন। কারণ আকিমুস সালাত আর ওয়াতুস যাকাত ওতপ্রোতভাবে জড়িত। এই নামাযের সময় আল্লাহ কোন ওযু গোশলের কোন শর্ত দেন নাই। কিন্তু ওয়াক্তিয়া নামাযের পূর্বে আল্লাহ ওযু গোশলের কথা বলেছেন। যা কিনা সূরা মায়িদার ৫:৬ নং আয়াতটি দেখলেই আপনি পরিষ্কার হতে পারবেন। নিজ জ্ঞানে বিচার করে বুঝের জন্য কোরআনের আয়াত গুলি দেখার অনুরোধ করছি আপনাদের জন্য নিচে আয়াতগুলি উল্লেখ করে দিচ্ছি। দুইটি আয়াত পড়ে সহজেই বুঝা যায় নামায পড়া আর কায়েম করা এক জিনিষ নয়। ১৯:৩১ # ‘আমি যেখানেই থাকি, তিনি আমাকে বরকতময় করেছেন। তিনি আমাকে নির্দেশ দিয়েছেন, যতদিন জীবিত থাকি, ততদিন নামায কায়েম ও যাকাত আদায় করতে।’ ৫:৬ # ‘হে মুমিনগণ, যখন তোমরা নামাযের জন্যে উঠ, তখন স্বীয় মুখমন্ডল ও হস্তসমূহ কনুই পর্যন্ত ধৌত কর এবং পদযুগল গিটসহ। যদি তোমরা অপবিত্র হও তবে সারা দেহ পবিত্র করে নাও এবং যদি তোমরা রুগ্ন হও, অথবা প্রবাসে থাক অথবা তোমাদের কেউ প্রসাব-পায়খানা সেরে আসে অথবা তোমরা স্ত্রীদের সাথে সহবাস কর, অতঃপর পানি না পাও, তবে তোমরা পবিত্র মাটি দ্বারা তায়াম্মুম করে নাও-অর্থাৎ, স্বীয় মুখ-মন্ডল ও হস্তদ্বয় মাটি দ্বারা মুছে ফেল। আল্লাহ তোমাদেরকে অসুবিধায় ফেলতে চান না।’ কায়েম শব্দের অর্থ যেহেতু অবধারিত। আল্লাহ প্রদত্ত কায়েমী কিছু বর্জন করার সাধ্য কার আছে? আল্লাহ বৃষ্টি না দিলে কেউ কি বৃষ্টি নামাতে পারবে; এমনকি আল্লাহ তিনদিন যাবৎ অবিরত বৃষ্টি দিলে কেউ থামাতেও পারে না। আল্লাহ প্রদত্ত কায়েমী কোন কিছু বর্জন করার উপায় নাই। তা আমরা সূরা হজ্জ এর ২২:১৮ নং ‘তুমি কি দেখনি ইচ্ছায় এবং অনিচ্ছায়, আল্লাহকে সেজদা করে যা কিছু আছে নভোমন্ডলে, যা কিছু আছে ভুমন্ডলে, সূর্য, চন্দ্র, তারকারাজি পর্বতরাজি বৃক্ষলতা, জীবজন্তু এবং কিছু সংখ্যক মানুষ।’ এই আয়াতে স্পষ্ট আছে আল্লাহর হুকুম ইচ্ছায় অনিচ্ছায় পালন না করার কোন উপায় না। কিন্তু উক্ত আয়াতটিতে আল্লাহ এও বলছেন কিছু সংখ্যক মানুষ সব মানুষের কথা বলেন নাই। এতে আমি বুঝতে পারছি সব সৃষ্টিই বস্যতাস্বীকার করছে। মানুষের মধ্যে যারা বুঝে করছে তারা মানুষের অন্তর্গত আর যারা না বুঝে করছে তারা মানুষের অন্তর্গত নয়। আমার কথায় রেগে আফসোস করবেন না যে কেন কষ্ট করে পড়লাম। আমি মন গড়া কথা বলছি না। সূরা আনামের ৬:৩৮# ‘আর যত প্রকার প্রাণী পৃথিবীতে বিচরণশীল রয়েছে এবং যত প্রকার পাখী দু’ ডানাযোগে উড়ে বেড়ায় তারা সবাই তোমাদের মতই এক একটি উম্মত(জাতি)।’ অবলা প্রানী জগত থেকে যারা নিজেদের আলাদা করতে পেরেছেন। তারাই কায়েমী নামাযের সন্ধান পেয়েছেন। আর কায়েমী নামাজ সঠিক হওয়ার জন্য বায়াত হওয়াও জরুরী এটাও রাছুল সা. এর হাদীস থেকে পাওয়া যায়। হাদিসটি বুখারী শরীফের থেকে উল্লেখ করছি নিম্নে। ইসলামি ফাউন্ডেশন হইতে প্রকাশিত বুখারী শরীফ থেকে গৃহীত ৪৯৯ নং উল্লেখ আছে ‘মুহাম্মদ ইবনুল মুছান্না (র.) জারীর ইবনে আব্দুল্লাহ রা. থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন আমি রাসূলুল্লাহ এর নিকট সালাত আদায়, যাকাত প্রদান এবং প্রত্যেক মুসলমানকে নসীহত করার জন্য বায়আত গ্রহন করেছি।’ তাই আপনাদের কাছে আকুল আবেদন যেভাবে সালাত কায়েম হয় সে রাস্তা খুজে বের করুন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-১০-০১৪:
Link copied!