কারখানা খোলার দাবিতে বিজিএমইএ ভবনের সামনে ডরিন ফ্যাশনের শ্রমিকদের অবস্থান
একুশে নিউজ : বেতন-ভাতা পরিশোধ ও কারখানা খোলার দাবিতে বিজিএমইএ ভবনের প্রধান ফটকে মিরপুরের ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডের ৬০০ শ্রমিক অবস্থান নিয়েছে। আজ মঙ্গলবার বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে সেখানে অবস্থান করছেন তারা।
শ্রমিকরা জানিয়েছেন, বেতন-ভাতা না দিয়ে গার্মেন্টস কারখানার মালিক ঝিনাইদহ-২ আসনের স্বতন্ত্র সংসদ সদস্য তাহাজির আলম সিদ্দিকী গার্মেন্টেসের মেশিনপত্র নিয়ে ঈদুল আজহার ছুটির পর থেকে নিরুদ্ধেশ রয়েছেন। ঈদের ছুটি শেষে ১১ অক্টোবর পুনরায় কারখানা খুলে দেওয়ার কথা থাকলেও বিনা নোটিশে তা বন্ধ করা হয়েছে। শ্রমিকদের দাবি কারখানা বন্ধ করতে হলে শ্রম আইন অনুযায়ী বন্ধ করতে হবে।
জানা যায়, মিরপুরের পূর্ব শেওড়াপাড়ায় অবস্থিত ডরিন ফ্যাশন লিমিটেডে ঈদের আগে শ্রমিকদের বেতন দিয়ে গত ২ অক্টোবর শ্রমিকদের ছুটি দেন।
শ্রমিকদের অভিযোগ, কারখানা থেকে সব মেশিনপত্র সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে মালিক, বিজিএমইএ ও শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে বসে সমাধানের কথা থাকলেও, তা না করে টালবাহানা করা হচ্ছে অভিযোগ করেন শ্রমিকরা। মালিক চান, তার আরেকটি কারখানা জিরানি গার্মেন্টেসে শ্রমিকদের নিয়ে যেতে। তবে শ্রমিকেরা যেতে রাজি না। কারণ শ্রম আইনে আছে ৮ কিলোমিটারের ভেতরে কারখানা থাকলে যেকোনো পরিস্থিতিতে কারখানায় উপস্থিত হতে হবে। মিরপুর থেকে জিরানি গার্মেন্টেসের দূরত্ব প্রায় ৩২ কিলোমিটার।
শ্রমিকদের দাবি কারখানা বন্ধ করলে চার মাসের বেতন দিয়ে তারপর বন্ধ করতে হবে।
শ্রমিকরা বলেন, ‘আমাদের না জানিয়ে কারখানা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এখন শ্রম আইন অনুযায়ী পাওনা চাই। এখানে আমাদের পরিবার থাকে, ইচ্ছে করলেই সবাই জিরানি যেতে পারবে না।’
শ্রমিকদের অভিযোগ, তাদের দাবির বিষয়ে মালিক তাহাজির আলম সিদ্দিকী টালবাহানা করছে।
এছাড়া প্রতিবাদ করায় শিপন নামে এক শ্রমিককে মালিক পক্ষ হত্যার চেষ্টা করেছিল। তাকে নির্মমভাবে নির্যাতন করে হাতের রগ কেটে দেওয়া হয়েছে।
শ্রমিক কর্মচারী সংগ্রাম পরিষদের নেত্রী জাহানারা শ্রম আইনে প্রদত্ত অধিকারের ভিত্তিতে বেতন পরিশোদের দাবি জানান।
শ্রমিকদের কাছ থেকে জানা যায়, সোয়া ৪টার দিকে মালিক চিঠি দিয়ে জানিয়েছেন নিরাপত্তার কারণে তিনি বিজিএমইএর ভবনের সামনে আসতে পারছেন না। এখন তিনি বাংলামোটরে অবস্থান করছেন।
একুশে সংবাদ ডটকম/শিলা/২১.১০.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :