AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবে না : প্রধানমমন্ত্রী


Ekushey Sangbad

০২:৩০ পিএম, অক্টোবর ২৩, ২০১৪
বর্তমান সরকার সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দেবে না : প্রধানমমন্ত্রী

একুশে সংবাদ : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ইতালিতে অনুষ্ঠিত আসেম সম্মেলনে তিনি বিশ্ব নেতাদের বলেছেন, তাঁর সরকার কখনো সন্ত্রাসবাদ ও চরমপন্থাকে প্রশ্রয় দেবে না। বিএনপি​র চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার আন্দোলনের হুমকি প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ‘এখন তারা দেশের একটা মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক, এর পরিণতি কেমন হয়।’ আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে ইতালি সফর-পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনা এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আন্দোলনের হুমকি উনি (খালেদা জিয়া) তো অনেক দিলেন। তাদের আন্দোলন হলো মানুষ খুন করার আন্দোলন। তারা তখন (৫ জানুয়ারির আগে) যে কাজটি করতে পেরেছে, এখন সেটা পারবে না। তখন ছিল অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। এখন নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায়। এখন তারা দেশের একটা মানুষের গায়ে হাত দিয়ে দেখুক না এর পরিণতি কী হয়। এখন তাদের (জনগণ) কিছু হবে না, এটাই মানুষকে আশ্বস্ত করতে চাই।’ খালেদা জিয়ার আদালতে হাজিরার দিন হরতাল দেওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘চোরের মনে পুলিশ পুলিশ। হরতাল ডাকা হয়, যেন আদালতে হাজিরা না দিতে হয়। ওনার এত ভয় কিসের জন্য। নির্দোষ হলে আদালতে আসেন। আমি তো আদালতে হাজিরা দিতে ভয় পাইনি। মামলার তারিখ আসলেই উনি হুমকি-ধমকি দেন।’ পলায়নপর মনোবৃত্তি বাদ দিতে তিনি খালেদা জিয়ার প্রতি আহ্বান জানান। বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনের দাবি প্রসঙ্গে হাসিনা বলেন, ‘বিদেশে বিভিন্ন নির্বাচন জিতে আসছি। উনি কি এটা দেখেন না।’ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, যোগাযোগ অবকাঠামো উন্নয়নে কাজ করছে সরকার। আসেম সম্মেলনে উন্নয়নের লক্ষ্যমাত্রার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘সম্মেলনে মানসম্মত শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কানেক্টিভিটির বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। বিশেষ করে এশিয়া ও ইউরোপের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির বিষয়ে গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। এতে করে যেন প্রতিটি দেশ লাভবান হতে পারে। মূলত এই এজেন্ডা ছিল জাতিসংঘের। এ ছাড়া জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদের বিষয়ও গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমরা উন্নত দেশগুলোতে আমি প্রস্তাব দিয়েছি—সন্ত্রাসী ও জঙ্গিদের কাছে অস্ত্র বিক্রি করবেন না। জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাসবাদে জড়িতদের কোনো ধর্ম নেই। জঙ্গি জঙ্গিই, তাদের কোনো বর্ডার নেই।’ সাংবাদিকরা কৃপণ! প্রশ্নকারী সাংবাদিকরা ইন্টার-পার্লামেন্ট ইউনিয়ন (আইপিইউ) ও কমনওয়েলথ পার্লামেন্ট অ্যাসোসিয়েশনে (সিপিইউ) বাংলাদেশের বিজয় নিয়ে প্রশ্ন না করায় সাংবাদিকদের কৃপণ বলে টিপ্পনি কাটেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘আইপিইউ ও সিপিএতে জয়ী হলাম। কোনো সাংবাদিক একটু অভিনন্দনও জানাল না। সাংবাদিকরা এতো কৃপণ, আগে জানতাম না।’ আইপিইউ ও সিপিইউতে বাংলাদেশ জয়ী হওয়া প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, ‘ওখানে কারচুপির কোনো সুযোগ ছিল না। মাত্র এক সপ্তাহের গ্যাপে পৃথিবীর কোনো দেশ আইপিইউ ও সিপিইউ এর মতো দুটো প্রতিষ্ঠানে একসঙ্গে বিজয়ী হয়নি। যারা ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের সমালোচনা করেছেন—তাঁদের যে দূরদর্শিতার অভাব, সেটা প্রমাণ হয়েছে। বিদেশি রাষ্ট্রদূতরা কথা বলছে। কিন্তু তাদের রাষ্ট্রপ্রধানরা একটা প্রশ্নও তোলেনি। প্রত্যেকে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে। তারপরও ওই নির্বাচনে কেন আনকনটেস্ট (১৫৩ জন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত) অনেক উকিল এটা নিয়ে মামলা করতে যায়।’ একুশে সংবাদ ডটকম/শিলা/২৩.১০.২০১৪
Link copied!