AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

একনজরে গোলাম আযম !!!


Ekushey Sangbad

০৬:৫২ এএম, অক্টোবর ২৪, ২০১৪
একনজরে গোলাম আযম !!!

একুশে সংবাদ ডেস্ক : একাত্তরে পাকিস্তানি বাহিনীর গণহত্যা শুরুর পরপরই এ নৃশংসতায় সমর্থন, সহযোগিতা এবং মুক্তিযুদ্ধকে স্তব্ধ করে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ রুদ্ধ করে দিতে তখনকার জামাতের আমীর গোলাম আযম স্বরূপে আবির্ভূত হন। পাকিস্তান বাঁচানোর শ্লোগানে ‘শান্তিকমিটি’ গঠনের নেতৃত্ব দেন তিনি। হয়ে ওঠেন এদেশিয় স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির শিরোমনি।   বুদ্ধিজীবী হত্যাযজ্ঞসহ সকল যুদ্ধাপরাধে রাজাকার-আলবদর বাহিনীকে মদদ ও নির্দেশ দেওয়ার ভুমিকাটি তিনিই পালন করেন। পরে ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই মুক্তিযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের নাটের গুরু গোলাম আযমের অপরাধের শাস্তি মৃত্যুদণ্ডতুল্য হলেও বয়স বিবেচনা করে তাকে ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।   ২৫ মার্চ ১৯৭১। অপারেশন সার্চলাইটের নামে নিরস্ত্র বাঙালির ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে হানাদার পাকিস্তানি বাহিনী। মধ্যরাতে ঢাকাসহ সারা দেশে শুরু হয়ে যায় উন্মত্ত গণহত্যা, চলে পাশবিক হত্যাযজ্ঞ। যা অব্যাহত থাকে মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস। পাকিস্তান বাহিনীর সহযোগী শক্তি হিসেবে গোলাম আযমের তত্ত্বাবধানে সারাদেশে বানানো হয় রাজাকার, আলবদর, আলশামস্, মুজাহিদ ও পাইওনিয়ার ফোর্স।   নাম লেখায় জামাত আর ইসলামি ছাত্র সংঘের নেতাকর্মীরা। এদের বিভিন্ন প্রশিক্ষণ শিবির ও কুচকাওয়াজ নিয়মিত পরিদর্শন করতেন গোলাম আযম।   মুক্তিকামী মানুষের ওপর পাকিস্তানিদের পরিকল্পিত বর্বরতার মাত্রা আরো বেড়ে গিয়েছিল যখন এদেশেরই ধর্মাশ্রয়ী কিছু দলের নেতা তাদের সহায়তা করেছেন। এদের অন্যতম ছিলেন গোলাম আযম।   একাত্তরে মানবতাবিরোধী অপরাধ বিচারের জন্য গঠিত ট্রাইব্যুনালে গোলাম আযমের বিরুদ্ধে ৫ ধরনের অপরাধের এমন ৬১টি ঘটনার অভিযোগে বিচার হয়। এরকম একটি ঘটনায় একাত্তরের ২১ নভেম্বর ব্রাক্ষণবাড়িয়ার তিতাসপাড়ে পৈরতলা রেলব্রিজের ওপর জেলখানা থেকে বের করে আনা ৩৮ জনকে ব্রাশফায়ার করে হত্যার নির্দেশ দেন তিনি।   মুক্তিযুদ্ধে বাংলাদেশের বিজয় যখন সময়ের ব্যাপার তখন পাকিস্তানি শাসকদের সঙ্গে বৈঠক করে বুদ্ধিজীবী হত্যাকাণ্ডেরও ছক কাটেন তিনি।   তবে বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরই একাত্তরেই লন্ডনে পালিয়ে যান গোলাম আযম। ৭ বছর পর জেনারেল জিয়ার শাসনামলে দেশে ফেরেন পাকিস্তানি পাসপোর্টে। ২০০০ সাল পর্যন্ত নেতৃত্ব দেন জামাতকে। একপর্যায়ে উচ্চআদালতে নাগরিকত্ব ফয়সালা হলেও প্রকাশ্য হতেই জনতার আক্রোশের মুখোমুখি হন তিনি।   গণআদালতেও যুদ্ধাপরাধের দায়ে তার শাস্তি মৃত্যুদণ্ডতূল্য বলে ঘোষিত হয়েছিল। তার মানবতাবিরোধী অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণ হওয়ায় ২০১৩ সালের ১৫ জুলাই ৯০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুন্যাল। একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২৪.১০.০১৪:
Link copied!