শাবনূরের দেশে ফেরা এবং ডিভোর্সের গুঞ্জন...
একুশে সংবাদ : আগের চেয়ে আরেকটু মুটিয়ে গেছেন। চেহারায় খানিকটা বয়সের ছাপও পড়েছে। চোখের নিচেও কালি জমতে শুরু করেছে। অবাক দৃষ্টি নিয়ে শাবনূরের দিকে তাকাতেই হেসে বললেন, 'অবাক হয়ে কী দেখছেন! আমার কোনো দোষ নেই। সব দোষ নেহানের। ছেলেটা বড়ই দুষ্টু। এক ফোঁটা ঘুমাতে দেয় না। সারাক্ষণই গল্প শুনতে চায়। মা বলেন, ও নাকি আমার মতো হয়েছে। আমিও নাকি ছোটবেলায় এমন করতাম।'
বলতে বলতেই নেহান এসে হাজির। অল্প অল্প হাঁটতে শিখেছে। কপালের এক কোণে ছোট্ট একটা কাজলের টিপ। মায়ের কাছে এসেই কোলে ওঠার বায়না। শাবনূর ছেলের আবদার রাখলেন। কোলে নিলেন। কোলে উঠেই ফোকলা দাঁতে একগাল হাসল নেহান। ছেলের হাসি দেখে শাবনূর বললেন, 'এই হলো পাজিটার স্বভাব। কারো সঙ্গে কথা বলতে দেখলেই এসে হাজির। মনে করে গল্প করছি।'
শাবনূর দেশে এসেছেন দেড় সপ্তাহ হলো। থাকবেন আরো মাসখানেক। প্রতিবছর এই সময়টায় দেশে ফেরেন। কিন্তু গত বছর আর পারেননি। অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। নেহান হয়েছে ২৯ ডিসেম্বর। এরপর তাকে নিয়েই প্রায় বছর কেটে গেছে। চলতি বছরের মাঝামাঝি কয়েকবার দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েও শেষ পর্যন্ত আসা হয়নি। নেহানের টিকা দেওয়া, নিজের শারীরিক অসুস্থতাসহ নানা ঝামেলায় দেশে ফেরা আর হলো না। অথচ দেশে ফেরার জন্য মনটা ছটফট করছিল। শাবনূর বলেন, 'আমার ছেলে দেশের মাটি দেখবে না, তা কী করে হয়! ও অস্ট্রেলিয়ায় জন্মালেও বাঙালি। ওকে বাঙালি সত্তাতেই বড় হতে হবে। উদ্যাপন করতে হবে পহেলা বৈশাখ, ঈদ, পূজা। প্রতিবছর অন্তত একবার হলেও আমি ওকে দেশে আনব। এখানকার সমাজ-সংস্কৃতির সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেব।' মাঝখানে স্বামী অনিকের সঙ্গে শাবনূরের ডিভোর্স নিয়ে ইন্ডাস্ট্রিতে জোর গুজব রটে। কিন্তু এ প্রসঙ্গ নিয়ে মোটেও মাথা ঘামাতে চাইলেন না শাবনূর। বললেন, 'এর আগে মিডিয়া এবং ইন্ডাস্ট্রি আমাকে নিয়ে হাজারবার মুখরোচক গল্প রটিয়েছে। এ আর নতুন কী! আমি আর অনিক আগের মতোই আছি। আমাদের দুজনের সম্পর্ক নিয়ে কোনো রকম দ্বন্দ্ব নেই।'
শাবনূর এখন অভিনয় নিয়ে একদমই ভাবছেন না। তবে পরিচালনায় আসার যে ঘোষণাটা দিয়েছিলেন, সেটা ভোলেননি। এরই মধ্যে অস্ট্রেলিয়ায় চলচ্চিত্র নির্মাণের ওপর একটি কোর্স করেছেন। আগামী বছর নাগাদ নিজের পরিচালিত ছবির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ শুরু করতে চান, 'দেশে ফিরেই বেশ কয়েকটি ছবিতে অভিনয়ের প্রস্তাব পেয়েছি। এরই মধ্যে কয়েকজন পরিচালক দেখাও করে গেছেন। কিন্তু সবাইকে না করে দিয়েছি। আসলে নেহান এখন ছোট। ওকে সময় দেওয়াটা আমার কাছে প্রধান কাজ। অন্যদিকে পরিচালনায় আসব বলে কয়েকবার ঘোষণাও দিয়েছি। এই কথাটা রাখব।'
শাবনূর অভিনীত মাত্র একটি ছবি মুক্তিপ্রতীক্ষিত, মোস্তাফিজুর রহমান মানিকের 'এমনো তো প্রেম হয়'। এতে তাঁর বিপরীতে ফেরদৌস। ছবিটির ডিসেম্বরে মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে। এর পরই কি ঢালিউডে অভিনেত্রী শাবনূরের পাঠ উঠে যাবে? স্বাভাবিকভাবে উত্তর দিলেন শাবনূর, 'সময়ই সব কিছু বলে দেবে। আগে থেকে আমি কোনো সিদ্ধান্ত নিতে চাই না।'
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-১০-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :