AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শেরপুরে পান চাষ করে লাভবান হচ্ছে চাষী


Ekushey Sangbad

০৯:১০ এএম, অক্টোবর ২৪, ২০১৪
শেরপুরে পান চাষ করে লাভবান হচ্ছে চাষী

শেরপুর প্রতিনিধি: শেরপুরে প্রান্তিক চাষীদের দৃষ্টি এখন পান চাষের দিকে। ধান ও পাটের তুলনায় পান চাষে খরচ অনেক কম। মুনাফার দিক থেকেও লাভজনক। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের পরামর্শ ও সহজ কৃষি ঋণ পেলে শেরপুর জেলায় পান চাষে আরো সাফল্য ঘটানো সম্ভব বলে পানের বরজ চাষীরা মনে করেন। জেলার সবচেয়ে বেশি পান চাষ হয় নকলা উপজেলার বানেশ্বর্দী, পাটাকাঠা, চন্দ্রকোন ও গণপদ্দি ইউনিয়নে। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরে কাছে পান চাষের সঠিক পরিসংখ্যান নেই। তবে উপজেলার ১নং ও ৫নং ইউনিয়নের পান চাষ হচ্ছে ২০/২৫ বছর থেকে। অধিক মুনাফা পাওয়ায় পুরাতন চাষীরা নতুন করে বরজ করছেন। পাশাপাশি অন্য কৃষকরা চাষে আগ্রহ নিয়ে নতুন নতুন পান বরজ করছেন। অল্প জায়গা ও কম পুঁজিতে অধিক মুনাফা পাওয়ায় পান চাষের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কৃষকরা। পান এদেশে ব্যাপক সমাদৃত। পান যে কোন সামাজিক আচার-অনুষ্ঠানে ব্যবহারসহ ওষুধ ও প্রতিষেধক হিসেবেও এটি ব্যবহৃত হয়। উত্তর বঙ্গ, দক্ষিণ বঙ্গ ও পূর্ব বঙ্গে পান ভালো জন্মে। তথ্য মতে বাংলাদেশে প্রায় ৪০ হাজার একর জমিতে পান চাষ করা হচ্ছে। যেখানে পানি জমে না এবং মাটি কালো দো-আঁশ সেখানে পান ভালো জন্মায়। বাংলা জাতের পান বৈশাখী থেকে আষাঢ়, মিঠা ও তাহেরপুর পান আশ্বিন থেকে অগ্রহায়ন মাস পর্যন্ত রোপণ করা হয়। একর প্রতি বাংলা জাত ২৪ হাজার কাটিংস, তাহের পুর ও মিঠাজাতের ১৮ হাজার কাটিংস তথা ৩শ’ থেকে ৪শ’ কেজি লতার প্রয়োজন হয়। সাধারণত সমতল জমি থেকে ১.৮- ২.১ মিটার উঁচু জমিতে বাঁশ, পাটখড়ি ও ছন দিয়ে বরজ তৈরি করতে হয়। বরজের ভেতরে সারিবদ্ধভাবে ১.৮ মিটার উঁচু খুঁিট পুঁততে হয়। লগর থেকে লগরের দূরত্ব ১.৫ মিটার, সারি থেকে সারি ৭৫ সে.মি এবং প্রতি সারির মধ্যে ১৫ সে.মি প্রস্থ বেড তৈরি করতে হয়। বেডের মাঝখানে ১০-২০ সে.মি গর্ত করে প্রতি গর্তে কাঁদা তৈরি করে পান লতা রোপণ করতে হয়। প্রতি লতার পাশে একটি ১.৮ মিটার ওয়াশি (বাঁশের খুঁটি) পুঁতে দিতে হয়। রোপণের পর ১২-১৫ দিন পর্যন্ত সকাল-বিকেল নিবিড় পানি সেচ দিলে লতা থেকে গাছ গজানোর পর কেয়ারী পদ্ধতিতে ১০ সে.মি. পরপর ওয়াশি দিতে হয়। পান গাছগুলো বেড়ে উঠার সাথে সাথে ওয়াশির সঙ্গে বেঁধে দেওয়া উত্তম। পান লতাগুলোকে ওয়াশি ছাড়িয়ে পান বরজের উপরে উঠতে দেওয়া হয় না। প্রতিবছর পানের বরজে সার প্রয়োগ করতে হয় তবে অধিকাংশ জৈব সার। ৩০-৬০ সে.মি দূরত্বে রোপণ করা পান গাছ থেকে বছরে ৩/৪ বার বয়স্ক পান তুলে খালি অংশটুকু নামিয়ে মাটির নিচে পুঁতে দিতে হয়। আষাঢ় থেকে কার্তিক এই ৫ মাস বেশি পান সংগ্রহ করা যায়। লতা রোপনের ৬-৭ মাস পর পান পাতা সংগ্রহ করা শুরু হয়। প্রথম বছর পরিপূর্ণ উৎপাদনের ২০%, দ্বিতীয় বছরে ৯০% এবং তৃতীয় বছরে ১০০% অর্থাৎ পরিপূর্ণ উৎপাদন শুরু হয়। ঠিকমত পরিচর্যা করলে একটি বরজ থেকে সপ্তাহে ২/৩ বার পান পাতা সংগ্রহ সহ ২০-৩০ বছর পর্যন্ত উৎপাদন পাওয়া যায়। চাষীদের দেয়া তথ্য মতে প্রতি শতাংশে প্রথম বছর পান বরজ করতে ৬/৭ হাজার টাকা খরচ হয় তবে ভালো উৎপাদন পেলে প্রথম বছরেই শতাংশে ১২ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব। জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ড. আব্দুস সালাম জানান, প্রন্তিক চাষীদের পান চাষে উৎসাহিত করার জন্য ইতিমধ্যে মাঠ পর্যায়ে কর্মীদের পরামর্শ দেয়া হয়েছে। একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৪.১০.২০১৪
Link copied!