একুশে সংবাদ : একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমির গোলাম আযমের দাফন নিয়ে এখনও পর্যন্ত সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগছে তার পরিবার। মূলত, দেশের বাইরে থাকা গোলাম আযমের পাঁচ ছেলের দেশে ফেরা পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে, না কি তারা ফেরার আগেই বাকি আনুষ্ঠানিকতা শেষ করা হবে এই বিষয়টাতেই এখনও সিদ্ধান্তে পৌঁছাতে পারেননি গোলাম আযমের স্বজনেররা। আজ শুক্রবার বিকেল দিকে মগবাজারের নিজ বাসার সামনে সাংবাদিকদের এ কথা জানান গোলাম আযমের চতুর্থ ছেলে আবদুল্লাহিল আমান আজমি। আবদুল্লাহিল আমান আজমি বলেন, তাঁর ছোট ভাই যুক্তরাজ্যপ্রবাসী আবদুল্লাহিল সালমান আল আজমির দেশে ফেরার সম্ভাবনা রয়েছে। তিনি আসতে পারবেন কি না, এ বিষয়ে আজ রাতে নিশ্চিত হওয়া যাবে। বিষয়টি জেনে তাঁরা আজ রাতের মধ্যেই তাঁরা জানাজা, দাফনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবেন। এদিকে বিকেল সাড়ে চারটায় গোলাম আযমের মরদেহ বহনকারী শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত লাশবাহী গাড়িটি তাঁর বাসার গ্যারেজের ভেতর থেকে বের করে বাসার সামনের সড়কে রাখা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বিষয়টা নিয়ে সন্ধ্যায় একটি বৈঠক করবেন পরিবারের সদস্যরা। এরপরই তারা চূড়ান্ত একটা সিদ্ধান্ত নেবেন। এরআগে গতকাল রাতে আব্দুল্লাহিল আমান আল আযমী সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘আমরা মোট ৬ ভাই। এছাড়া আমাদের সন্তান রয়েছে ২০ জন। আমি ছাড়া বাকি ৫ ভাই সপরিবারে বিদেশে থাকেন। তাদের বাবার শারীরিক অবস্থার অবনতির কথা জানানো হয়েছে। এরই মধ্যে কেউ কেউ টিকিট কেটে ফেলেছেন এবং বাকিরা প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সবাই আসলে পারিবারিকভাবে আলোচনা করেই বাবার দাফনের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।’ দু’এক দিনে মধ্যে গোলাম আযমের দাফন হচ্ছে না বলেও তখন বলেছিলেন আজিম। উল্লেখ্য, বৃহস্পতিবার রাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে রাত ১০টা ১০ মিনিটে মারা যান গোলাম আযম। একুশে সংবাদ ডটকম/এফরান/২৪.১০.০১৪: