AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আকাশ সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করুন


Ekushey Sangbad

০৪:১৯ এএম, অক্টোবর ২৫, ২০১৪
আকাশ সংস্কৃতি নিয়ন্ত্রণ করুন

একুশে সংবাদ : মানুষ স্বভাবতই বিনোদনপ্রিয়। শত ব্যস্ততার মাঝেও তারা একটু বিনোদন খোঁজে। দুঃখের সাগরে ডুব দিয়েও সুখের মণিমুক্তা আহরণ করতে চায়। এটা মানুষের স্বভাবজাত চিরন্তন ধারা। কিন্তু সে বিনোদন যদি হয় প্রাণ হন্তারক, তবে তা কাম্য নয় কারও। এমন বিনোদন আমরা চাই না, যা মানুষকে নেতিবাচকভাবে প্রভাবিত করে। আত্মহননের দিকে উদ্বুদ্ধ করে। আমরা সবাই জানি, চলতি বছরের জুলাই মাসে রোজার ঈদকে সামনে রেখে স্টার জলসার 'বোঝে না সে বোঝে না' সিরিয়ালের পাখি চরিত্রের নামে পোশাক কিনতে না পেরে আত্মহত্যার ঘটনাও ঘটেছে। এ নিয়ে পত্রপত্রিকায় একাধিক সংবাদ প্রকাশিত হয়েছে। তখন টনক নড়েছে অনেকের। আর এ নিয়ে বাংলাদেশ সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী সৈয়দা শাহীন আরা লাইলী আগস্ট মাসে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় একটি রিট দায়ের করেন। কিন্তু তখন বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আবু তাহের মো. সাইফুর রহমানের অবকাশকালীন হাইকোর্ট বেঞ্চ উত্থাপিত হয়নি মর্মে আবেদনটি খারিজ করে দেন। তবে আশার কথা হচ্ছে, অবশেষে হাইকোর্ট বাংলাদেশে ভারতের তিনটি টিভি চ্যানেল স্টার জলসা, স্টার প্লাস ও জি বাংলার সম্প্রচার বন্ধে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন। ১৯ অক্টোবর এক রিট আবেদনের প্রাথমিক শুনানি শেষে বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী ও বিচারপতি মো. আশরাফুল কামালের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। রুলে আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে তথ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিটিআরসি চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ টেলিভিশনের মহাপরিচালকসহ সংশ্লিষ্টদের এ বিষয়ে জবাব দিতে বলা হয়েছে। সে সময় পাখি নামের পোশাকের কদর ও আত্মহত্যা প্রবণতায় চিন্তিত হয়ে পড়ে অভিভাবক ও সুশীল সমাজ। একটি জাতীয় দৈনিকে এ নিয়ে 'পাখি প্রেমে প্রাণ বিসর্জন' শিরোনামে প্রতিবেদনও প্রকাশিত হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, 'দেশের ঘরে ঘরে বাড়ছে ভারতীয় ধারাবাহিক নাটকের জনপ্রিয়তা। এসব সিরিয়ালপ্রীতির কারণে দেশের টেলিভিশন চ্যানেলগুলো ক্রমেই দর্শক হারাচ্ছে, দেশ হারাচ্ছে নিজস্ব সংস্কৃতি। কিশোরী-তরুণীদের ফ্যাশনেও এর মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। সর্বশেষ, ভারতীয় টেলিভিশন চ্যানেল স্টার জলসার 'বোঝে না সে বোঝে না' সিরিয়ালের 'পাখির প্রেমে প্রাণ গেল এক যুবক ও মেয়েশিশুর।' প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, 'পাখির মরণকামড় থেকে ছাড় পায়নি ১০ বছরের শিশুও। পাখি নামের পোশাক না পেয়ে অভিমানে ঈদের দুই দিন আগে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে নূরজাহান নামে দ্বিতীয় শ্রেণীর এক স্কুল শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে।' ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে একটি দৈনিকে 'টিভি সিরিয়ালে পুড়ছে ঘর-সংসার' শিরোনামে আমার একটি লেখা প্রকাশিত হয়। সেখানে কয়েকটি বাস্তব ঘটনার উদাহরণ আমি উপস্থাপন করেছিলাম। সামাজিক, পারিবারিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের জন্য ওই টিভি চ্যানেলগুলোর প্রচারিত সিরিয়ালই যথেষ্ট বলে মনে হয়েছে আমার কাছে। তখনই আমি এ চ্যানেলগুলো বন্ধের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেছিলাম। এতে আমার মা-খালা-বোনেরা আমার ওপর কিঞ্চিৎ ক্ষিপ্ত হয়েছিলেন। মৃদু তিরস্কারও করেছেন। এক ভাবির সঙ্গে সম্পর্কের অবনতিও হয়েছে। দেরিতে হলেও এ নিয়ে সচেতনতা বেড়েছে। যদিও এর মাঝে ঝরে গেছে কয়েকটি আবেগী তাজা প্রাণ। তবু আশার কথা এই, হাইকোর্ট এ নিয়ে রুল জারি করেছেন। এ রুল দ্রুত কার্যকর হোক। সবার উচিত অপসংস্কৃতি বর্জন করা। আমরা আকাশ সংস্কৃতির আগ্রাসন থেকে মুক্তি চাই। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৫-১০-০১৪:
Link copied!