AB Bank
ঢাকা বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফুলের রাজ্যে একদিন


Ekushey Sangbad

১০:৫৭ এএম, অক্টোবর ২৭, ২০১৪
ফুলের রাজ্যে একদিন

একুশে সংবাদ : ফুল ভালোবাসেন না এমন লোক পৃথিবীতে খুব কমই আছে। ফুল ভালোবাসা, শুদ্ধতা ও পবিত্রতার প্রতীক। কবির ভাষায়, ‘কত ফুল তুমি পথে ফেলে দাও মালা গাঁথো অকারণে, আমি চেয়েছিনু একটি কুসুম সেই কথা পড়ে মনে।’ ফুল ছাড়া কোনো আনন্দের মুহূর্ত কল্পনা করা যায় না। ফুলের স্বর্গরাজ্য হিসেবে সংযুক্ত আরব ‘দুবাই মিরাকল গার্ডেন’ বিশ্বের সবচেয়ে বড় ফুলবাগান। এর অবস্থান দুবাইয়ের শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ সড়কের পাশে। দুবাই মিরাকল গার্ডেন পৃথিবীর সবচেয়ে বড় ফুলের বাগান হিসেবে গিনেস বুকে স্থান করে নিয়েছে। ২০১৩ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি এটির উদ্বোধন হয়। ৭২ হাজার বর্গমিটার আয়তনের এই বাগানে প্রায় ৪৫ মিলিয়নেরও বেশি ফুল আছে। এই ফুলগুলো আবার বিভিন্ন আকৃতিতে সাজানো। যেমন ময়ূর, গাড়ি, পাখি, ঈগলু, পিরামিড, ছাতা, হার্ট শেপ, স্টার শেপ, বল, ফুলের দেয়াল, ফুলের গেট ইত্যাদি। প্রতিবছর নভেম্বর থেকে এপ্রিল পর্যন্ত প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা এবং সাপ্তাহিক ছুটির দিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১১টা পর্যন্ত খোলা থাকে। বর্তমানে এই বাগানের পরিধি বাড়ানোর কাজ চলছে।ফুলের দেয়ালের সামনে স্বামীর সঙ্গে লেখিকা আমি এখন অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে থাকি। কিন্তু স্বামীর চাকরিসূত্রে গত তিন বছর দুবাইয়ে ছিলাম। সেই সূত্রে পৃথিবীর একমাত্র ভার্টিক্যাল গার্ডেন হিসেবে খ্যাত দুবাই মিরাকল গার্ডেনে যাওয়ার সৌভাগ্য আমাদের হয়েছিল। গত বছর উদ্বোধনের কয়েক দিন পর অর্থাৎ, ফেব্রুয়ারির শেষের দিকে একদিন আমি ও আমার স্বামী—দুজন মিলে মিরাকল গার্ডেন ঘুরতে গেলাম। বাগানের ভেতরে প্রবেশ করেই এর নামের সার্থকতা টের পেলাম। মিরাকল গার্ডেন তার নামের মতোই অর্থবহ। বাগানের ভেতরে ঢুকে আমার শুধু মনে হয়েছিল, আমি যেন স্বর্গীয় উদ্যান অমরাবতীতে এসে পড়েছি। চারদিকে শুধু ফুল আর ফুল। এ যেন এক ফুলের সমুদ্র। ঈগলুর সামনে স্বামীর সঙ্গে লেখিকাচারদিকে এত সুন্দর আর নিখুঁতভাবে সাজানো যে চোখ ফেরাতে পারছিলাম না। ঘুরতে ঘুরতে কখন যে বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা হয়ে গেল—টেরই পেলাম না। সন্ধ্যার পর সেখানে আরেক জগৎ। ফুলের মধ্যে আলোকসজ্জা এক অন্য রকম রাজকীয় আবহ সৃষ্টি করেছে। বাগানের ভেতরে ছয় ঘণ্টা ঘুরে আমরা একটুও ক্লান্তি অনুভব করিনি। অসম্ভব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটালাম সেখানে, যা চিরদিন স্মৃতি হয়ে থাকবে মনের মণি কোঠায়। রাতের বেলায় ফিরতি পথে কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবিতার একটি লাইন বারবার মনে হচ্ছিল, ‘যত ফুল তত ভুল কণ্টক জাগে,/ মাটির পৃথিবী তাই এত ভাল লাগে।’ সুস্মিতা পাল জেমী সিডনি, অস্ট্রেলিয়া একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৭-১০-০১৪:
Link copied!