AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত বগুড়ার কৃষকরা


Ekushey Sangbad

০৫:১১ পিএম, অক্টোবর ২৮, ২০১৪
শীতের সবজি চাষে ব্যস্ত বগুড়ার কৃষকরা

বগুড়া প্রতিনিধি: এমনিতেই এখন শীতের সবজিতে বগুড়ার হাটবাজারগুলো ভরে গেছে, অন্যদিকে ভরা মৌসুমে শীতের সবজি চাষে খুবই ব্যস্ত বগুড়ার কৃষকরা।   এবার আবহাওয়া অনুকূল থাকায় বগুড়ায় শীতের সবজির বাম্পার ফলন হবে এমনটাই আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন জেলার কৃষি কর্মকর্তারা। আগাম শীতের সবজি চাষ করে ভাল দাম পেয়ে বগুড়ার কৃষকরা খুশি। শীতকালীন ফসলের আগাম চাষের জন্য বগুড়ার কৃষকরা দাম ভাল পাচ্ছে বলে জানালেন বগুড়া শিবগঞ্জ উপজেলার তৌহিদুর রহমান মানিক নামের এক কৃষক।   জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চন্ডদাস কুন্ডু জানিয়েছেন, জেলায় এ বছর সাড়ে ১২ হাজার হেক্টর জমিতে সবজি চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। ৭ হাজার হেক্টর জমিতে আগাম সবজি চাষ হয়েছে। অবশিষ্ট জমিতে সবজি চাষ চলছে।   শিবগঞ্জ উপজেলার রায় নগর ইউনিয়নের কৃষক কাজী শাজাহান জানান, শীতের সবজির মধ্যে ফুল কপি, বাঁধা কপি, মূলা ও সীম প্রধান ফসল। এক বিঘা ফুল কপি চাষ করতে খরচ পড়ে ১৫ হাজার টাকা। প্রতি বিঘাতে ৮০ থেকে ১২০ মণ ফুলকপি উৎপাদন হয়ে থাকে। উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে প্রতি বিঘাতে ১ লাখ টাকা পর্যন্ত আয় হয়ে থাকে। যারা আগাম ফুল কপি চাষ করেছে তারা প্রতি বিঘাতে দেড় লাখ টাকা পর্যন্ত আয় করছে।   শিবগঞ্জ উপজেলার মন্তেগাড়ী গ্রামের কৃষক শাহিন সরকার জানান, এখনও শীতের কুয়াশা পড়েনি তাই এবার আবহাওয়া অনুকূল রয়েছে। এতে শীতের সবজির ফলন ভাল হবে। শাহিন দুই বিঘা জমিতে বাঁধা কপি চাষ করেছেন। বাঁধা কপি চাষে উৎপাদন খরচ কম। বাঁধা কপি উৎপাদনে প্রতি বিঘা ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা হয়ে থাকে। এবার বাঁধা কপির উৎপাদন ভাল হবে। সব খরচ বাদ দিয়ে বিঘা প্রতি ৪০ থেকে ৬০ হাজার টাকা লাভ করবেন। যারা আগাম বাঁধা কপি উৎপাদন করেছেন তারা ইতোমধ্যে বিঘা প্রতি এক লাখ টাকা আয় করেছেন।   শিবগঞ্জ উপজেলার গুজিয়া এলাকার মাঝবাড়ি এলাকার শফিকুল ইসলাম জানান, তিনি ১ বিঘা জমিতে মূলা চাষ করেছেন। তার খরচ হয়েছে মাত্র ৫ হাজার টাকা। ইতোমধ্যে ২০ হাজার টাকার মূলা বিক্রি করেছেন। ক্ষেতে যে মূলা আছে তা ১০ হাজার টাকা বিক্রি করা যাবে।   জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক চন্ডিদাস কুন্ডু জানান, যে সব কৃষক শীতের রবিশস্য আগাম চাষ করেছেন তারা বেশী লাভবান হবেন। বগুড়ায় রবিশস্য চাষে সব সময় অনুকূল পরিবেশ থাকে। এবারও এর ব্যত্যয় ঘটবে না বলে তিনি আশাবাদী। একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৮.১০.২০১৪
Link copied!