বয়স ফুড়ালেও যৌন জীবন ফুড়ায় না !
একুশে সংবাদ : এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বয়েসের সাথে পাল্লা দিয়ে জীবনে যে ধরণের পরিবর্তনই আসুক না কেনো, আপনার যৌন জীবনের যে ইতি ঘটেছে তা ভাবা মোটেও ঠিক নয়। কামোত্তেজনা সব বয়েসেই স্বাস্থ্যকর ও উপকারী। তাই সব পেরেশানি বাদ দিয়ে সঠিক মাত্রার পুষ্টিকর খাবার খান, ওজন নিয়ন্ত্রণ করুন এবং বয়েসের জন্য দৈহিক পরিবর্তনকে মেনে নিয়ে সুষ্ঠু, সুস্থ ও স্বাভাবিক উপায়ে যৌনসুখ উপভোগ করুন- তবেই স্বাস্থ্য সুখের হবে বলেও ওই গবেষণা প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
নিয়মিত যৌন মিলন দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্যকর জীবন। পুরুষদের জন্য নিয়মিত সেক্স প্রোস্টেট ক্যান্সারের সম্ভাবনা ব্যাপক হারে কমিয়ে দেয়। প্রতিমাসে ২১ বার এবং প্রতিমাসে ৪ থেকে ৭ বার সঙ্গম করা পুরুষদের ক্ষেত্রে দেখা গেছে, একুশবারের দলে যারা আছেন, তাদের প্রোস্টেট বেশি পরিষ্কার থাকে। ফলে এতে ক্যান্সার সৃষ্টির জীবাণু জন্মাতে পারে না। তা ছাড়া প্রদাহের জন্য দায়ী কোনো সংক্রমণ ছড়িয়ে পরা ও নোংরা পদার্থ জমার সুযোগও কমে যায়।
নিয়মিত যৌনমিলন কেনো দেহের জন্য উপকারী তার বিস্তারিত জানতে বিজ্ঞানীরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। আর সাধারণ উপকারীতার কথা বলতে গেলে, স্বাভাবিক নিয়মিত সেক্স দীর্ঘ মেয়াদি স্বাস্থ্যকর জীবন দেয়। এতে ঘুম ভালো হয়, ক্লান্তিজনিত বিষন্নতা কয়ে যায়, ইমিউন সিস্টেম ক্ষমতাশালী হয় এবং জীবনীশক্তি তীব্রতর হতে থাকে।
এমনকি ব্যাথার জন্যেও যৌনতা সুফল বয়ে আনতে পারে। পুরুষের বীর্যপাতের সময় হরমোনের নিঃসরণ ব্যাথার উৎসস্থলকে দমিয়ে দেয়। নারীদের যোনিপথের পেশীর উদ্দীপনা পিঠের নীচের দিকের এবং পায়ের ক্রনিক ব্যাথা কমিয়ে দেয়। বহু নারী দেখেছেন যে, যোনিপথের যৌন উদ্দীপনা ঋতুকালীন ব্যাথা, আরথ্রাইটিস এবং মাথা ব্যাথার জন্যেও উপকারীতা বয়ে এনেছে।
যৌবন ও তারুণ্যের পরে বৃদ্ধ বয়েসেও যৌনতা অনেক বেশি ভালো ফল বয়ে আনে। বয়েসের সাথে অনেকের যেমন সঙ্গমের ইচ্ছা বা ক্ষমতা হ্রাস পেয়েছে, তেমনি বিপরীতটিও ঘটেছে এমন বয়স্কদের দলটিও যথেষ্ট ভারী। তবে দুই দলের কাছেই দীর্ঘ সম্পর্কের ক্ষেত্রো ষাটে কোঠাতেও যৌনতা যথেষ্ট উত্তেজনাকর যা শুধু পরিতৃপ্তিই দেয়। অবশ্য বুড়ো-বুড়ির মধ্যে এ কাজটি অনেকের কাছে হাস্যকর বা অস্বস্তিকর ব্যাপার বলেই মনে হয়।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৯-১০-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :