AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

'অবৈধপথে বিদেশযাত্রা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ দরকার'


Ekushey Sangbad

০৫:৫৫ পিএম, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
'অবৈধপথে বিদেশযাত্রা বন্ধে বহুমুখী পদক্ষেপ দরকার'

একুশে সংবাদ : ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ বলেছেন,, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতার কারণে অবৈধপথে বিদেশযাত্রা থামছে না। তাদের সক্ষমতা আরও বাড়ানো প্রয়োজন। এছাড়া সমুদ্রপথে অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা ঠেকাতে দেশে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বাড়াতে হবে শিক্ষার হারও। দেশের প্রচারযন্ত্রগুলোকে আরও শক্তিশালী করে গড়ে তোলারও বিকল্প নেই। অবৈধভাবে বিদেশ পাড়ি দেওয়া ও সীমান্তে চোরাচালান বড় ধরনের ব্যবসা। এর সঙ্গে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শক্তিশালী চক্র জড়িত। যেটি রাতারাতি দমন করা সম্ভব নয়। সম্প্রতি দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বৈধপথ থাকতে মানুষ কেন অবৈধপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে? দেশে যখন কর্মসংস্থানের অভাব থাকে তখনই মানুষ বিদেশ যেতে চায়। লক্ষ্য করলে দেখা যাবে, যে শ্রেণির মানুষ অবৈধপথে বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করে তাদের মধ্যে সচেতনতা কম। বিশেষ করে শিক্ষার অভাব আছে। যে কারণে সহজেই দালাল চক্র তাদের নানা লোভ দেখিয়ে খপ্পরে ফেলতে পারে। অবৈধপথে বিদেশযাত্রায় মৃত্যুর ঝুঁকিও আছে। কিন্তু তারপরও মানুষ কেন ওই পথে যাচ্ছে? ধরুন, ভাঙনপ্রবণ এলাকার মানুষের ঘরবাড়ি নদীতে বিলীন হয়ে গেছে। তাদের বসবাসের কোনো জায়গাও নেই। তখন তারা মনে করে যেভাবেই হোক অন্য দেশে পাড়ি দিতে পারলে হয়ত কাজ পাব। থাকার জায়গা পাব। লোভের শিকার হয়ে এমন দুর্ভোগ তাদের পোহাতে হয়। পৃথিবীর অন্যান্য দেশেও কি এভাবে অবৈধপথে বিদেশ পাড়ি দেওয়ার ঘটনা ঘটে? অবশ্যই। শুধু বাংলাদেশেই যে এটি হচ্ছে তা নয়। বিভিন্ন দেশেও। বিভিন্ন সময় শুনেছি, এ ধরনের চক্রের পাল্লায় পড়ে মানুষের এমন অবস্থা হয় যে, জঙ্গলে কেন এর চেয়েও ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়েছে তারা। প্রায়ই অবৈধভাবে বিদেশযাত্রীদের দালালসহ আটক করা হচ্ছে। এগুলো গণমাধ্যমে প্রচারও হচ্ছে। কিন্তু তারপরও কেন মানুষের মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে না? আমাদের দেশের প্রচারযন্ত্রগুলো খুব শক্তিশালী নয়। দেশে শিক্ষার হার খুবই খারাপ অবস্থায় আছে। যদিও আমরা এখন বলি ৫০-৬০ ভাগ। সত্যিকার অর্থে যারা পড়তে পারবে, বুঝতে পারবে তাদের সংখ্যা কম। খবরের কাগজে যেটি লেখা হচ্ছে সেটি পড়তে পারছে না। টেলিভিশনে যেটি দেখানো হচ্ছে সেখানে শিক্ষা কম থাকায় বোঝার অভাব আছে। আইনকানুন কিছুই তাদের জানা থাকে না। এ রকম এক পরিস্থিতিতে স্বাভাবিকভাবে তারা দালাল চক্রের খপ্পরে পড়ে। শুধু কি বাংলাদেশেই শিক্ষার হারের এই অবস্থা? শুধু বাংলাদেশ নয়, উপমহাদেশের দেশগুলোর অবস্থাও করুণ। এ ব্যাপারে অমর্ত্য সেন তাঁর শেষ বইয়ে লিখেছেন, ভারতেরও খুব খারাপ অবস্থা। বিশেষ করে এই শেখার দিকটা। তার হিসাবে ৮০ ভাগ শিক্ষার্থী এ বছর যা পড়ছে পরের বছরে তা ভুলে যাচ্ছে। ভারতে যদি এই অবস্থা হয় তাহলে বাংলাদেশের অবস্থা যে আরো করুণ সন্দেহ নেই। সমুদ্রপথে এ ধরনের অবৈধযাত্রা ঠেকাতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ব্যর্থ হচ্ছে। অভিযোগ ওঠছে, দালালচক্র মোটা অঙ্কের টাকা দিয়ে হাত করে ফেলে। এ ধরনের সমালোচনা থাকলে অস্বাভাবিক কিছু নয়। কারণ বাংলাদেশ কেন বিশ্বের অনেক দেশেই দেখা গেছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর মধ্যেও এই চক্রটি এমনভাবে ঢুকে পড়েছে তা বলার মতো নয়। এখানে অনেক টাকার ব্যাপার। আয়ও লাভজনক। তাহলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর দুর্বলতার কারণেই এ ধরনের ঘটনা বেশি ঘটছে? আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে যেভাবে গড়ে তোলা হয়েছে তাতে তারা কঠোর হয়ে অবৈধপথে যাত্রা কিংবা মানবপাচার থামতে পারবে বলে মনে করি না। তারা যেই জনবল ও সুযোগ-সুবিধা নিয়ে কাজ করে সেটিও পর্যাপ্ত নয়। অবৈধ বিদেশযাত্রা ঠেকানোর উপায় কী? কর্মসংস্থান বাড়ানো প্রয়োজন। শিক্ষার হারও বাড়াতে হবে। যতদিন দেশের নাগরিককে শতভাগ শিক্ষিত করে তোলা না যাবে ততদিন এই সমস্যা সমাধান করা সহজ হবে না। শিক্ষার হার ও কর্মসংস্থান বাড়ালে অবৈধপথে বিদেশযাত্রা কমে যাবে। পাশাপাশি প্রচারযন্ত্রকে আরও শক্তিশালী করতে হবে। কক্সবাজারের স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের অনেকেই এসবের সঙ্গে জড়িত বলে অভিযোগ আছে। বিভিন্ন সময় পুলিশের অনুসন্ধানেও ওঠে এসেছে তাদের নাম। কক্সবাজারে একজন রাজনীতিকের নাম শোনা যায়, যিনি শুধু মানবপাচার নয়, ইয়াবা ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত। সুশাসন থাকলে ওই ব্যক্তি এ ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারত না। ক্ষমতার কাছাকাছি যারা থাকেন তারা পাচারকারী চক্রের কাছ থেকেও লাভ করছেন। এটা থামাতে হলে বড় ধরনের পরিবর্তন প্রয়োজন। তাহলে দেশে সুশাসন নেই? শুধু এ দেশে নয়, উপমহাদেশে এমন একটা অবস্থা হয়ে গেছে যে, সুশাসন আসলে লাভজনক নয়। বরং কুশাসনই লাভজনক। কুশাসন যখন থাকে তখন সহজেই যেকোনো বিষয়ে অনুমতি পাওয়া যায়। নিজের আত্মীয়স্বজনকে যেকোনো জায়গায় ঢোকানো যায়। বড় একটা ঠিকাদারি পাওয়া যায়। সুশাসন হলে তো এসবের কিছুই পাওয়া যাবে না। এমনকি নির্বাচনে মনোনয়নও পাওয়া যাবে না। প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের কোনো দুর্বলতার কারণে কি মানবপাচার বাড়ছে? মানবপাচারের সঙ্গে যারা জড়িত তারা ভালো করেই জানেন এটা বড় একটা ব্যবসা। অনেকে এটাকে বিলিয়ন ডলারের ব্যবসা বলেন। তাই প্রতিবেশী দেশ জানে পাচার করার সময় কোন কোন জায়গায় মানুষকে কীভাবে থামাতে হবে। চুপ করে থাকতে হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী যাতে ভালো করে নজর না দেয় সেদিকেও খেয়াল রাখে তারা। সীমান্তে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী চাইলে কি এটা থামাতে পারে না? মানবপাচার ও মাদকচোরাচালান অনেক টাকার ব্যবসা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী এককভাবে কিছু করতে পারবে বলে আমি মনে করি না। এটা বন্ধ করতে হলে সামাজিক, রাজনৈতিক ও শিক্ষার ক্ষেত্রেও বড় ধরনের পরিবর্তন আনতে হবে। সব জায়গায় যদি পরিবর্তন না আসে তাহলে এটা বন্ধ হবে না। মানবপাচার প্রতিরোধ আইনে পরিবর্তন আনার সময় কি হয়েছে? এটা নিয়ে আরও চিন্তাভাবনা করা দরকার। যদি মনে হয় এখানে পরিবর্তন আনা দরকার তাহলে অবশ্যই তা করতে হবে। নতুন ধরনের কাঠামো প্রয়োজন হলে আনতে হবে। পার্শ্ববর্তী দেশগুলোর সঙ্গে আমাদের সম্পর্কের জায়গাটা কীভাবে মূল্যায়ন করবেন? সুসম্পর্ক আছে। তারা বলবে অবৈধভাবে বিদেশযাত্রা বা মানবপাচার বন্ধ করছি। কিন্তু এর সঙ্গে তো বড় ধরনের ব্যবসার সম্পর্ক আছে। কী ধরনের ব্যবসার কথা বলছেন? সীমান্তে গরু চোরাচালানের দিকে দেখলেই বোঝা যায়। সবদিকেই কাঁটাতারের বেড়া। কিন্তু গরু চোরাচালান তো ঠেকাতে পারছে না। গরু তো আপনাআপনি সীমান্তে আসছে না। কেউ এগুলোকে হারিয়ানা, পাঞ্জাব থেকে নিয়ে আসছে। সেখানে তো বাংলাদেশি কেউ নেই। স্বাভাবিকভাবেই ভারতীয় কেউ এগুলোকে সীমান্তে এনে পার করে দিচ্ছে। তার মানে এখানে বড় ধরনের ব্যবসায়ী চক্র আছে। এই বিষয়টি যদি ঠেকাতে না পারি তাহলে মানবপাচার ঠেকাব কীভাবে? সীমান্ত চোরাচালান বন্ধ হচ্ছে না কেন? চোরাচালানের সময় ধরা পড়লে যদি ছেড়ে দেওয়া হয় তাহলে তো আর এটা ঠেকানো সম্ভব নয়। যারা জড়িত দেখা যাবে তাদের অনেকের সঙ্গেই উপরের লোকজনদের সুসম্পর্ক আছে। তারা ভালো করেই জানে কোথায় কাকে চুপ করিয়ে রাখতে হবে। এই কাঠামো যদি বন্ধ করতে না পারা যায় তাহলে এটা ঠেকানো সম্ভব হবে না। ভারতে নতুন সরকার এসেছে। এই সরকারের সময় বাংলাদেশের সঙ্গে অমীমাংসিত বিষয়গুলোর কি দ্রুত সুরাহা হবে? দুটি দিক আছে। সীমান্ত চুক্তিটি বিজেপি চাইলে এখন এককভাবে করতে পারে। মনমোহন সিংহের সমস্যা ছিল যে, সংসদে তাদের বিরোধীদলের সমর্থন দরকার হতো। এখন বিরোধীদলে আছে কংগ্রেস। যারা এমনিতেই এই চুক্তির সঙ্গে জড়িত। সেখানে তাদের বাধা দেওয়ার কারণ নেই। তবে বিজেপি এটা কখন করবে এটাই দেখার বিষয়। আর তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তির কী হতে পারে? তিস্তা চুক্তির ব্যাপারটি বলা হয় পশ্চিমবঙ্গের মমতা ব্যানার্জির কারণে থেমে গেছে। তিস্তা যেহেতু পানির বিষয়, তাই এটা ভারতের সংবিধান অনুযায়ী রাজ্যের সম্মতি লাগবে। পশ্চিমবঙ্গের সম্মতি লাগবে। এই জায়গায় হয়ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। কেন অপেক্ষা করতে হবে? কারণ বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে মমতার একটা দুশ্চিন্তার রাজনীতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গে আস্থা অর্জনের চেষ্টা করছেন নরেন্দ্র মোদি। আগামী দেড় বছরের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আরো একটা নির্বাচন হবে। সেই নির্বাচনে বিজেপি বড় একটা সাফল্য অর্জন করতে চাচ্ছে। মমতা ব্যানার্জি যেটা স্বাভাবিকভাবেই থামাতে চেষ্টা করবে। এই দুশ্চিন্তার ফলে আপাতত তিস্তা চুক্তি খুব বেশিদূর এগোবে বলে মনে করছি না। যদি তারা দুইজনে এ বিষয়ে সম্মত হয় তবে? হ্যাঁ, যদি মোদি এবং মমতার মধ্যে নতুন করে বোঝাপড়া হয় তাহলে পরিস্থিতি পাল্টে যেতে পারে। আপাতত কিন্তু সেই বোঝাপড়া দেখছি না। বরং প্রতিদিনই দুইজন দুইজনকে দোষারোপ করছেন। তাই নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত তিস্তা চুক্তির বিষয়ে কোনো মীমাংসা হবে না। ৫ জানুয়ারির নির্বাচনের পর যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে নানা আলোচনা আছে। যুক্তরাষ্ট্র তাদের অবস্থান থেকে সরে এসেছে বলে মনে করি না। তারা হয়ত ভাবছে, সমস্যা বাংলাদেশের। তাই এ দেশের জনগণই এ ব্যাপারে উদ্যোগী হবে। তাছাড়া যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশে নতুন বিনিয়োগ নিয়েও আগ্রহ দেখাচ্ছে না। এমন কিছু করছে না, যেটা থেকে বলা যায় যে, তারা নির্বাচনের ব্যাপারে আপত্তির জায়গা থেকে সরে এসেছে। এটা সম্ভবও নয়। কেন? ৫ জানুয়ারির মতো বিরোধীদল ছাড়া নির্বাচন যদি সব দেশে হতে থাকে তাহলে গণতন্ত্রের কাঠামো বিপথে চলে যাবে। তাছাড়া বাংলাদেশের সংসদে যে বিরোধীদল তাদের একটি অংশ সরকারে, আরেকটি অংশ বিরোধীদলে। এর সঙ্গেও পশ্চিমাদেশের গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। তাই বাংলাদেশের ব্যাপারে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থানের কোনো পরিবর্তন আসার কথা নয়। তাহলে তারা কী চাচ্ছে? তারা পরিবর্তনের ব্যাপারে কোনো দায়িত্ব নেবে না। পরিবর্তন দেশের রাজনৈতিক দল, জনগণকেই করতে হবে। তারা কী ধরনের পরিবর্তন চায়? যুক্তরাষ্ট্র এখনো মনে করে, আমাদের সরকার একটা সময় অবশ্যই সংলাপে বসবে। সেখানে সমঝোতার মাধ্যমে সবদলের অংশগ্রহণে নির্বাচন হবে। এখানে অনেক ধরনের রাজনীতি জড়িত আছে। যুক্তরাষ্ট্র এমন কিছু করতে চাচ্ছে না, যেখানে তারা বলবে যে, সবকিছু ঠিক আছে। ৫ জানুয়ারির নির্বাচন ভালোই হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গে বিতর্কিত প্রতিষ্ঠান সারদা জামায়াতে ইসলামীকে সহিংসতার জন্য টাকা দিয়েছে বলে অভিযোগ ওঠেছে। তৃণমূল কংগ্রেসের একজন সাংসদ জড়িত বলা হচ্ছে। এই ঘটনা দুই দেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে কী ধরনের প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন? আপাতত যতটুকু শুনছি এবং দেখছি তাতে মনে হচ্ছে এটা মূলত তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে নরেন্দ্র মোদি সরকারের ঝগড়া থেকেই এসেছে। মমতা ব্যানার্জিকে মনে রাখতে হবে পশ্চিমবঙ্গে তার সমর্থন আগের চেয়ে বেড়েছে। এর পেছনে বড় কারণ হচ্ছে, পশ্চিমবঙ্গের মুসলমানদের বড় একটি অংশের ভোট মমতা পেয়েছে। যেটা আগে সিপিএম পেত। এখানে কিন্তু পরিবর্তন এসেছে। এখানে বিজেপির সমস্যা কোথায়? সংখ্যালঘুদের সমর্থন মমতা ভালো করে পেয়েছে। বিজেপিকে যদি আগামী দেড় বছর পর পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সাফল্য আনতে হয়, তাহলে কিন্তু স্বাভাবিকভাবেই তাকে ভোটব্যাংক ভাঙতে হবে। এই সংখ্যালঘুদের ভোট ভাঙতে হবে। সেখানে একটা রাজনীতি চলছে। পশ্চিমবঙ্গের পত্রপত্রিকায় এ নিয়ে লেখালেখি হয়েছে... আপাতত আনন্দবাজার পত্রিকা সারদার অর্থ কেলেঙ্কারি নিয়ে লিখছে। আমরা জানি যে, আনন্দবাজার পত্রিকার একটা নিজস্ব রাজনীতি থাকে। এখনো মনে করি এটা তাদের অভ্যন্তরীণ রাজনীতির অংশ। আপাতত এর চেয়ে বেশি কিছু মনে করতে পারছি না।- এই সময়ের সৌজন্যে একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৯-১০-০১৪:
Link copied!