AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ফের জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্কে সাধারণ মানুষ


Ekushey Sangbad

০৬:৫৮ পিএম, অক্টোবর ২৯, ২০১৪
ফের জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্কে সাধারণ মানুষ

নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরের মুক্তুযুদ্ধের সময় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে জামায়াতের আমির মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ হওয়ার পর ফের জ্বালাও-পোড়াও আতঙ্কে ভুগছেন রাজধানীর সাধারণ মানুষ।   ট্রাইবুনালের এ রায়কে প্রত্যাখ্যান করে জামায়াতে ইসলামী এরই মাঝে ৭২ ঘন্টার হরতাল আহ্বান করেছে। তিন দিনের হরতালে সেই পুরোনো বিভীষিকা ফিরে আসতে পারে, এমন ধারণা করছেন সাধারণ মানুষ।   এর আগে মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে জামায়াতের নায়েবে আমির দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীর রায় হওয়ার পর সারা দেশে জামায়াত-শিবির সংঘাতময় পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। রাজধানীসহ সারা দেশে চালায় সন্ত্রাসী ধ্বংসযজ্ঞ। এক বিভীষিকাময় অরাজক পরিস্থিতি তৈরি হয় জামায়াতের সে সময়কার হরতালে। তারা গুলিবর্ষণ ও পেট্রোলবোমা হামলা চালিয়ে, বাস-অটোরিকশা ও ট্রাকে আগুন দিয়ে হত্যা করেছে বেশ কয়েকজন মানুষ।   তখনকার মত সেরকম পরিস্থিতি ফের হতে পারে বৃহস্পতিবার, রোববার ও সোমবারের হরতালে- এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ নিয়ে আতঙ্কে ভুগছেন বেসরকারী কর্মকর্তা রাহাত খান।   রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকায় কথা হয় তার সাথে। তিনি জানান, অফিসের প্রয়োজনে তাকে প্রতিনিয়ত বাসে একস্থান থেকে অন্য স্থানে যেতে হয়। এর আগে জামায়াতের হরতালে তিনি ভয়ে গাড়িতে উঠতেন না। সম্ভব হলে পায়ে হেটেই গন্তব্য স্থানে যান। কিন্তু জামায়তের নতুন হরতালে তিনি আতঙ্কে ভুগছেন। তিনি জানতে চেয়েছেন আগের মত সহিংসতা হবে না তো? এর আগে জামায়াতের প্রতিটি হরতালে ব্যাপক সহিংস ঘটনা ঘটেছে। তারা সাধারণ মানুষ, এমনটি পুলিশকেও পিটিয়েছে নির্দয়ভাবে। কোটি কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে জামায়াতের হরতালগুলোতে।   ফের জামায়াতের হরতালে তেমনই সহিংসতা, ধ্বংসলীলা হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন সরকারী কমকর্তা শিলা খাতুন। তিনি বলেন এ দেশ থেকে আইন করে হরতাল উঠিয়ে দেওয়া উচিৎ। হরতালে গাড়ি ঘোড়া কম চলে বলে অভিযোগ করে তিনি বলেন, এমনিতেই মহিলাদের গাড়িতে উঠতে কষ্ট, তার উপর রাস্তায় গাড়ি কম। অফিসে যেতে নানা জক্কি জামেলা পোহাতে হবে। তার উপর কখন কি হয় তা তো বলা যায় না?   তিনি বলেন এর আগে একবার জামায়াতের হরতালে আমি যে গাড়িতে ছিলাম সে গাড়িতে পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারা হয়েছিল। যদিও তখন তার তেমন কোন ক্ষতি হয়নি। তাই ফের আতঙ্কে ভুগছেন তিনি।   অবশ্য স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, কোন ধরনের নাশকতা সৃষ্টি করতে দেওয়া হবে না। হরতালের নামে কোনো আরাজকতা হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে।   রাজধানী জুড়ে কঠোর নিরাপত্তা বজায় রাখা হলেও সন্ধ্যায় নাশকতার আশঙ্কা করেছেন অনেকে। হরতাল সফল করতে হরতালের আগের দিন সন্ধ্যায় বাসে আগুন ধরিয়ে, ভিড়ের জায়গায় ককটেল, বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টির যে সংস্কৃতি রয়েছে, সেটা আবারও হবে কি না, তা-ই নিয়ে চলছে বিস্তর আলোচনা-সমালোচনা।   এর আগে সাঈদীর আপিলের রায়ের পরদিন হরতাল ডেকেও মাঠে নামেনি জামায়াত। এই ৭২ ঘণ্টার হরতালেও সে রকম হতে পারে। তবে সাধারণ মানুষদের অনেকেই বলেছেন, তারা আশ্বস্ত হতে পারছেন না। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে জামায়াতের অ্যাকশন। বৃহস্পতিবার কী হবে, সেই আশঙ্কায় থাকতে হচ্ছে রাজধানীবাসীকে।   একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৯.১০.২০১৪
Link copied!