পরীক্ষার হল থেকেই অডিশন দিতে যাই
একুশে সংবাদ : ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৪’-এর বিজয়ী নাদিয়া আফরিন মীম। এবারের আসরের সেরা সুন্দরী ‘ফেস অফ লাক্স’ মুকুট জিতে নিয়েছেন তিনি। এ মুকুট বিজয়ের আগেই সেরা ‘বিউটিফুল স্মাইল’ পুরুস্কারও ওঠে তার হাতে।মিডিয়ায় নতুন এই সদস্য তার নানা অভিমত, ব্যক্তিজীবন এবং ভবিষ্যত পরিকল্পনা শেয়ার করেছেন। সেই আলাপচারিতার সূত্র ধরে এই প্রতিবেদন।
কিভাবে ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৪’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেন?
নাদিয়া : লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার ২০১৪’ প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য কোনো পূর্ব পরিকল্পনা ছিলো না। আম্মুর শখ ছিল, আমি এ ধরণের কোনো প্রতিযোগিতায় অংশ নিই। আমি লাক্স-চ্যানেল আইয়ের প্রোগ্রামের কথা শুনে আমার বন্ধুর সঙ্গে তা শেয়ার করি। সেই বন্ধুই আমাকে ফরম পূরণ করতে বলে। আমি প্রথমে চাইনি, কারণ আমার তখন এইচএসসি পরীক্ষা ছিল।
প্রতিযোগীতায় নাম নিবন্ধের শেষ দিন রাত ১১টা ৩০ মিনিটে ফরম পূরণ করি।
এর পরই কি অডিশনের জন্য ডাক পান?
নাদিয়া : এর কিছু দিন পরে আমাকে অডিশনের জন্য ডাকা হয়। যেদিন অডিশন দেয়ার জন্য ডাক পাই সেদিন আমার পরীক্ষা ছিল। সময় ছিলো বিকাল ৩টা। সেদিন পরীক্ষা শেষে বাসায় না গিয়ে পরীক্ষার হল থেকেই অডিশন দিতে যাই। আমি অডিশনে অংশ নিলাম এবং টিকেও গেলাম। তারপর ক্যাম্পে থাকতে হয় কিছুদিন।
এই রিয়েলিটি শোয়ে আপনার সবচেয়ে স্মরণীয় মূহুর্ত কোনটি ছিল?
নাদিয়া : তার আগে বলতে চাই, গ্র্যান্ড ফিন্যালে অনুষ্ঠানে সেরা বিজয়ীর নাম ঘোষণার আগে ‘বিউটিফুল স্মাইল’-এর নাম ঘোষণা করা হয়। তখন আমার একটু মন খারাপ হয়। কারণ আমার নাম শোনার পরে ধরেই নিয়েছিলাম সেরা হওয়া আর হলো না! কারণ আমি কখনো শুনিনি এই প্রোগ্রামে একজনে দুইটা পুরস্কার পায়। পরে যখন সেরার পুরস্কার ‘ফেস অফ লাক্স’ এর জন্য আমার নাম ঘোষনা করা হল তখন নিজেকে অনেক হ্যাপি মনে হয়েছে। এই মূহুর্তটি আমি কখনই ভুলতে পারব না।
এখন তো আপনার নামের সঙ্গে ‘ফেস অফ লাক্স’ খেতাব জুড়ে গেছে। তাহলে আপনাকে কি মিডিয়ায় নিয়মিত দেখা যাবে?
নাদিয়া : আমি ঢাকার হারম্যান মেইনার কলেজ থেকে গত বছর এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নিই। বিজ্ঞান বিভাগে গোল্ডেন এ-প্লাসও পেয়েছি। আমার ইচ্ছা বিবিএ পড়ব। ইচ্ছে ছিলো পাবলিক ইউনির্ভাসিটিতে পড়ার। কিন্তু ‘লাক্স-চ্যানেল আই সুপারস্টার’ প্রতিযোগিতার ব্যস্ততার কারণে এ্যাডমিশন দিতে পারিনি। তাই এখন প্রাইভেট কোনো ইউনির্ভাসিটিতে ভর্তি হব। পড়াশুনাটা নিয়মিতই করব। এর ফাঁকে ফাঁকে মিডিয়ায় কাজ করতে চাই।
তাহলে আগে পড়াশুনা, তারপরই কি মিডিয়া?
নাদিয়া : প্রথমে পড়াশুনাটা শেষ করতে চাই। পড়াশুনার পাশাপাশি ছোট পর্দায় কাজ করতে চাই। আর বড় পর্দায় ভালো কোন গল্প পেলে কাজ করব। তবে বাণিজ্যিক কোনো ছবিতে এখনই অভিনয় করতে চাই না। নিজেকে একজন সফল অভিনয়শিল্পী হিসেবে তৈরি করতে চাই।
এ সাফল্যে আপনার পরিবারের প্রতিক্রিয়া কি?
নাদিয়া : আমি তিন বোনের মধ্যে দ্বিতীয়। বাবা শেখ গোলাম নবী ব্যবসায়ী, মা শাহানা আফরোজ গৃহিণী। আমার বড় বোন ফাল্গুনী, ছোটবোন মিথিলা দশম শ্রেণীর ছাত্রী। আমার এ সাফাল্যে পরিবারের সবাই বেশ খুশি।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৬-১১-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :