AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

ভালুকায় বেগুনের বাম্পার ফলন


Ekushey Sangbad

০৫:০৩ পিএম, নভেম্বর ১৯, ২০১৪
ভালুকায় বেগুনের বাম্পার ফলন

একুশে সংবাদ : চলতি মৌসুমে ভালুকায় বেগুনের বা¤পার ফলন হওয়ার সম্ভাবনা। এ বছর ভালুকার চাহিদা মিটিয়ে কাঁচামালের আড়তদার ব্যবসায়ীরা এখানকার উৎপাদিত বেগুন ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় রপ্তানি করছেন। চলতি বছর উপজেলার ১১টি ইউনিয়নে বেগুনের উৎপাদন ভালো হওয়ায় অন্যান্য বছরের ন্যায় ব্যবসায়ীরা এ উদ্যোগ নিয়েছেন।   উপজেলা কৃষি অফিস সুত্রে জানা গেছে,এবার ভালুকায় ৪৫০ একর জমিতে দেশী,ইসলামপুরি ও সিংনাথ জাতের বেগুন চাষ হয়েছে।উপজেলায় সবচেয়ে বেশী পরিমানে বগেুন উৎপদিত হয় হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও,শিরিরচালা,পাচঁপাই,আওলাতলী,বড়চালা,মল্লিকবাড়ী ইউনিয়নের বিভিন্ন গ্রামে,উথুরাসহ প্রায সকল ইউনিয়নে কমবেশী বেগুন চাষ হয় যা এলাকার চাহিদা মিটিয়ে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে যাচ্ছে বলে কৃষি অফিস থেকে জানাযায়।   সরেজমিনে উপজেলার গতিয়ার বাজারে খোলা মাঠে বেগুনের ¯ুÍপ করে ঝাকা পুর্ন করে ট্রাকে উঠানো হচ্ছে ঢাকায় নেওয়ার জন্য। স্থানীয়ভাবে বাজার মনিটরিং না থাকায় কৃষকরাও উৎপাদিত বেগুনের ভালো দাম পাচ্ছেন বলে জানা গেছে।পাড়াগাঁও গাংগাটিয়া গ্রামের কৃষক মো: আলী হোসেন জানান,সিডষ্টোর বাজারে তিনি প্রতিমন বেগুন ৩৫ টাকা কেজি দরে ১৪০০ টাকায় বিক্রি করেছেন।তিনি ফলন কম হয়েছে বলেও জানান। তবে শিরিরচালা গ্রামের বেগুন বেপারি মোস্তফা জানান,ক্রমেই বেগুনের দাম কমছে, (নভেম্বরের মাঝামাঝি) তারা কৃষকের ক্ষেত থেকে ৭-৯ শ থেকে ৪শ টাকা মন বেগুন কিনেছে।এসব বেগুন ঢাকার কারওয়ার বাজারে নেওয়ার জন্য প্রস্তুতি চলছে।   ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী পাড়াগাঁও এলাকার বেগুন ব্যবসায়ী শাহাবুদ্দিন বলেন, আমরা সরাসরি কৃষকের কাছ থেকে পাইকারি কিনে ঢাকায় পাঠাচ্ছি। এতে স্থানীয় কৃষক অন্যান্য বছরের তুলনায় অনেক বেশি লাভবান হচ্ছেন। উৎপদন বাড়ার সাথে সাথে বেগুনে দামও কমছে। হবিরবাড়ী গ্রামের বেগুন চাষী কবির হোসেন বলেন ,এ বছর আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবং আগাম উৎপাদিত সবজি হিসেবে বেগুণের ভালো দাম পাচ্ছি,তবে ফলন একটু কম।বেগুন চাষী হযরত আলী এ প্রতিনিধিকে জানান,তিনি এ বছর আড়াই একর জমিতে বেগুন চাষ করেছেন,তার খরচ হয়েছে প্রায় ২ লাখ টাকা। তিনি আশা করছেন দাম ভাল থাকলে দ্বিগুন লাভ হবে । এ সময় এই কৃষক ও উপস্থিত অন্য চাষীরা উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বা এলাকা ভিত্তিক কৃষি কর্মকর্তাদের অসহযোগীতার অভিযোগ করেন এবং কোন ধরনে সহযোগীতা পাননি বলেও জানান।বিদ্যুত না থাকায় পানি সেচেঁর অভাবে অনেক চাষীর ক্ষেতে ভাল ফলন হচ্ছেনা বলে জানা যায়। তারা সংশ্লিষ্ঠ কর্তৃপক্ষের কাছে ওই এলাকায় বিদ্যুত ব্যাবস্থার ও দাবী জানান।পানি সেঁচের ব্যাবস্থা থাকলে বেগুন চাষিরা অনেক বেশী ফলনের মাধ্যমে স্বাবলম্ভী হওয়ার সুযোগ পেতেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাইফুল আজম খান কৃষকের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, সীমাবদ্ধতার কারনে অনেক সময় ইচ্ছে থাকলেও চাষীদের সহায়তা করা যায়না।তবে কৃষকদের সার্বিক সহযোগীতা করা হচ্ছে বলে তিনি জানান। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরো জানান,চাষিরা একই জমিতে বারবার বেগুনের চাষাবাদ করার কারনে রোগ-বালাই আক্রমন বাড়ছে এবং উৎপাদন কমছে।তবে চাষীরা যদি ডগা ও সবজি ছিদ্রকারী পোকা দমনে সপ্তাহে দু‘তিনবার কীটনাশক না ছিটিয়ে কৃষি কর্মকর্তাদের পরামর্শে সেক্্র ফরোম(যাদুর তাবিজ) ব্যাবহার করতো তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য ও উপকারী পোকা-মাকড়ের উপকারী হতো এমনকি সাশ্রয়ীও হতো।এ পদ্ধতি একর প্রতি ৩৫টি ব্যাবহার করতে হয় যার মুল্য ৫০-৬০ টাকা প্রতি পিছ। এর উপকারীতা হলো এই ফাঁদের মধ্যে স্ত্রী পোকার ঘ্রান থাকায় পুরুষ পোকা আকৃষ্ট হয় এবং মারা যায়। যাতে বংশ বৃদ্ধি হয়না।তবে বিটি বেগুনে পোকার আক্রমন নেই বললেই চলে এবং দেশের চার স্থানে পরিক্ষামুলক ভাবে চাষ হচ্ছে,ব্যাপকভাবে চাষের উদ্যোগ নিলে ভালুকায়ও এর চাষ হতে পারে বলে জানা যায়।উল্লেখ্য এ বেগুন চাষের বিরোধী আন্দোলন চলছে। যদি বাজারজাত করাতে একটু সরকারী পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া যেত তবে বেগুন চাষ ভালুকার কৃষকদের জন্য একটি লাভ জনক কৃষি খাত হিসেবে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এনে দিত বলে বেগুন চাষীরা মনে করেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১১-০১৪:
Link copied!