AB Bank
ঢাকা মঙ্গলবার, ১৬ এপ্রিল, ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

অতিথি পাখির পদচারণায় মুখর বাইক্কা বিল


Ekushey Sangbad

০৪:২৪ পিএম, নভেম্বর ২৪, ২০১৪
অতিথি পাখির পদচারণায় মুখর বাইক্কা বিল

একুশে সংবাদ : সকাল থেকে সন্ধ্যা অবধি কলকাকলি, খুনসুটি, ওড়াওড়ি, জলের ভেতর ডুব দেওয়া, দল বেঁধে সাঁতার কাটা- এ নিয়েই মত্ত পাখির দল। পানকৌড়ি, ফুলরী হাঁস, গিরি হাঁস, বেগুনী কালেম, পিয়াং হাঁস, পাতি সরালি, রাজ সরালি, পালগেটেড প্রভৃতি পাখির যেন মিলনমেলায় পরিণত হয়েছে মৌলভীবাজারের বাইক্কা বিল। লাখ লাখ অতিথি পাখির পদচারণায় মুখর বাইক্কা বিলসহ এর আশপাশের হাওরাঞ্চল। বিলের কচুরিপানা, ধানক্ষেত, ঝিল, জলজ উদ্ভিদ, শ্যাওলা, পদ্ম, ঘাস, লতাগুল্ম, অভয়ারণ্য- সবখানেই শুধু পাখি আর পাখি। বিলের পাড়জুড়ে বনজ, ঔষধি ও ফলদ গাছেও এর অবস্থান। বিলের পানিতে গোসল শেষে রোদ পোহানোর পাশাপাশি এ সব গাছে যাত্রাবিরতিও করে তারা। প্রতিবছরের মতো শীতের শুরুতে বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পাখিরা দলবেঁধে এখানে ছুটে আসে। পুরো শীত এখানে অবস্থান করে এক সময় আবারো পাড়ি জমায় ভিনদেশে। মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গল উপজেলার হাইল হাওরের মাছ, পাখি, জলজ উদ্ভিদসহ অন্যান্য প্রাণীর সংরক্ষণ ও প্রবৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমটি ২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। হাইল হাওর বাংলাদেশের অন্যতম ‘গুরুত্বপূর্ণ মৎস্যক্ষেত্র’ এবং একটি আন্তর্জাতিক ‘গুরুত্বপূর্ণ পাখির আবাসস্থল’। বর্ষা মৌসুমে এ হাওরের জলায়তন হয় প্রায় ১৪ হাজার হেক্টর এবং শুষ্ক মৌসুমে প্রায় ৪ হাজার হেক্টর। চাপড়া, মাগুরা, যাদুরিয়া বিল এবং এর আশপাশের ডোবা এলাকার সমন্বয়ে গঠিত বাইক্কা বিল। এর আয়তন ১০০ হেক্টর। এ অভয়াশ্রমে ৯৮ প্রজাতির মাছ এবং ১৬০ প্রজাতির পাখির নিরাপদ আশ্রয়স্থল। বড় গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠন এ অভয়াশ্রম সংরক্ষণ ও রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে রয়েছে। শ্রীমঙ্গল স্থানীয় সরকার কমিটি এটির পরামর্শ ও তদারকি করে থাকে। এ ছাড়া সেন্টার ফর ন্যাচারাল রিসোর্স স্টাডিজ (সিএনআরএস), যুক্তরাষ্ট্রের কৃষি বিভাগ (ইউএসএডি) ও শেভরণ বিল রক্ষণাবেক্ষণে কাজ করছে। পাখি দেখার জন্য বাইক্কা বিলের প্রবেশপথে ইউএসএডির অর্থায়নে ৩০ লাখ টাকা ব্যয়ে ইনফরমেশন সেন্টার কাম ভিজিটর সেন্টারসহ নতুন আরও দুটি দর্শনার্থী টাওয়ার নির্মাণ করা হয়েছে। অন্যটি বিলের পাশের গাছ-গাছালির ভেতরে নির্মাণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিলের পাড়ে আরেকটি দর্শনার্থী টাওয়ারও রয়েছে। এখানে জনপ্রতি প্রবেশমূল্য ১০ টাকা, পর্যটন টাওয়ারে প্রবেশমূল্য ৩০ টাকা এবং বাইক্কা বিলে নৌকাভ্রমণ ৫০ টাকা ঘণ্টাপ্রতি। বড় গাঙ্গিনা সম্পদ ব্যবস্থাপনা সংগঠনের কার্যকরী সদস্য মিরাশ মিয়া দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘এত সুবিধা থাকার পরও দর্শনার্থীদের অভিযোগ, যদি কাঁচা ৬ কিলোমিটার রাস্তাটি পাকা হতো, তাহলে দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও বেশি হতো।’ এ বিষয়ে সরকারের সুদৃষ্টি কামনা করেন তিনি। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-১১-০১৪:
Link copied!