মাধবপুরে টমেটো চাষে শতাধিক কৃষকের সর্বনাশ
একুশে সংবাদ : হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলায় আগাম জাতের টমেটো চাষ করে মারাত্মক বিপর্যয় হয়েছে। এ বছর আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় শত শত টমেটো ক্ষেত রোগাক্রান্ত হয়ে মরে গেছে।
আগাম জাতের আবাদ মৌসুমে দিনে গরম ও রাতে ঠান্ডা জনিত কারণে ক্ষেতে এক ধরনের ছত্রাক জনিত ভাইরাস রোগ মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়ে ফলে উৎপাদনে যাওয়ার আগ মুহুর্তে টমেটো ক্ষেতে মরক দেখা দেয়।
এতে শত শত কৃষক মারাত্মক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন। দিশেহারা হয়ে পড়েছে চাষিরা। আবার অনেকেই ঘুরে দাড়াতে ধার দেনা করে নতুন করে শীত কালীন টমেটো আবাদ করে আশার আলো দেখছেন।
গত আশ্বিন মাসে উপজেলার শাহজাহানপুর, জগদীশপুর, নয়াপাড়া, চৌমুহনী, ধর্মঘর, বহরা, আন্দিউড়া ইউনিয়নের বিস্তৃর্ন এলাকায় শত শত কৃষক বুক ভরা আশা নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এ বছরও আধুনিক প্রযুক্তিতে আগাম জাতের টমেটো আবার করে হাজার হাজার টাকা খরচ করে শীত মৌসুমের পুর্বেই টমেটো বাজার জাত করছে সঠিক পরিচর্যা ও বালাই নাশক প্রয়োগ করে লাভের আশায় বুক বাঁধে। জমিতে ফুল আসতে শুরু করে ২০/৩০দিন পরেই টমেটো বাজারজাত করারও সম্ভাবনা দেখা দেয়।
কিন্তু আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় হঠাৎ করে টমেটো ক্ষেতে ছত্রাক ভাইরাস রোগের পাদূর্ভাব দেখা দিয়ে ক্ষেতের পর ক্ষেত মরে যায়। কৃষকদের স্বপ্ন দুস্বপ্নে পরিণত হয়। চোখের সামনে লাখ লাখ টাকার ফসল হানি ঘটে।
কৃষক জসীম উদ্দিন জানান, পতিত জমিতে যারা টমেটো চাষাবাদ করেছে এসব জমিতে রোগ দেখা দিয়েছে কম। তবে যেসব জমিতে দীর্ঘদিন ধরে চাষাবাদ হচ্ছে এসব জমিতে টমেটো গাছ বড় হয়ে ফল ধরে মরে যাচ্ছে।
এক একর জমিতে সার, বীজ, গোবর, পানি সেচ কীটনাশক শ্রমিকের মুজুরী সহ খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। কৃষিবিদদের মতে এ বছর আগাম জাতের টমেটো আবাদের মৌসুমে দিনে প্রচন্ড গরম ও রাতে ঠান্ডা ও কুয়াশার কারণে ভাইরাস দেখা দেয়। মাধবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিকুল হক বলেন, আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় আগাম জাতের টমেটো চাষে বিপর্যয় ঘটেছে। এরপরও এ অঞ্চলের কৃষকরা বসে নেই নতুন করে ৩শ হেক্টর জমিতে জমিতে নতুন করে টমেটো আবাদ করেছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৪-১১-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :