ঋষিজ পদক পেলেন লোক গবেষক শামসুজ্জামান খান
একুশে সংবাদ : আলোচনা, সম্মাননা পদক প্রদান ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে গণসঙ্গীত সংগঠন ঋষিজ ৩৮তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করেছে। এ অনুষ্ঠানে এবার ঋষিজ পদক দেওয়া হয়েছে বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক ও বিশিষ্ট লোক গবেষক শামসুজ্জামান খানকে।
শিল্পকলা একাডেমির সঙ্গীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে সোমবার বিকেলে অনুষ্ঠিত ‘ভয় নেই কোন ভয়, জয় বাংলার জয়’ শিরোনামের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন।
সংগঠনের সভাপতি ফকির আলমগীরের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন সাংবাদিক গোলাম সারওযার, সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ, সাধারণ সম্পাদক হাসান আরিফ ও সম্মাননাপ্রাপ্ত বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানের শুরুতেই জাতীয় সঙ্গীত পরিবেশন করা হয়। তারপর বিগত দিনে মুক্তবুদ্ধি চর্চার যেসব লেখক ও সংগঠক প্রয়াত হয়েছেন তাদের স্মরণ করেন গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর।
এরপর অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন শামসুজ্জামান খানের হাতে সম্মাননা ক্রেস্ট ও অর্থ তুলে দেন।
সম্মাননা গ্রহণ শেষে অনুভূতি প্রকাশ করে শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘আমি কী এমন কাজ করেছি যে কারণে আমাকে পদক দিতে হবে। তবুও আমাকে যে সম্মান দেওয়া হলো তাতে আমার দায় অনেক বেড়ে গেল। আমি মনে করি এ সম্মাননা আমার কাজের ক্ষেত্রকে আরও বেশি প্রসারিত করতে সহায়ক ভূমিকা পালন করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেসামরিক বিমান ও পর্যটনমন্ত্রী রাশেদ খান মেনন বলেন, ‘আমরা প্রতিনিয়ত যেসব সঙ্কটের সম্মুখীন হচ্ছি তাতে সাংস্কৃতিক সংগঠন একটা বৃহৎ ভূমিকা পালন করতে পারে। ইতোপূর্বে সংস্কৃতিকর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে। আশা রাখছি এ ধারাবাহিকতা অব্যাহত থাকবে।’
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ বলেন, ‘বর্তমান সরকার নানাভাবে সংস্কৃতি অঙ্গনে পৃষ্ঠপোষকতা করছে। কিন্তু সমালোচনার বিষয় হলো সংস্কৃতি খাতে অপ্রতুল বাজেট ও অলাভজনক সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সরকারের উদাসীনতা তথা অযাচিত হস্তক্ষেপ।’ তিনি এ সব সঙ্কট উত্তরণের জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রতি বিশেষভাবে আহ্বান জানান।
আলোচনা শেষে উদীচী, ক্রান্তি, বহ্নিশিখা, সত্যেন সেন শিল্পীগোষ্ঠী, আনন্দন ও ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর শিল্পীরা গণসঙ্গীত পরিবেশন করেন।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৫-১১-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :