AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ০২ মে, ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

গণতন্ত্রে হিংসা-প্রতিহিংসা


Ekushey Sangbad

০৪:২০ পিএম, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
গণতন্ত্রে হিংসা-প্রতিহিংসা

একুশে সংবাদ : আধুনিক যুগে সরকার গঠিত হয় রাজনৈতিক দল দিয়ে।  একদিকে inner-party struggle, অপরদিকে inter-party struggle, দুটোই অত্যন্ত দুরূহ। সমস্যার গণতান্ত্রিক সমাধান সম্ভব। কিন্তু তার জন্য দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে গণতান্ত্রিক মন দরকার হয়। এখানকার রাজনৈতিক দলগুলো গণতান্ত্রিক নয়, একনায়কতান্ত্রিক। একনায়কতন্ত্র হলো এমন এক ব্যবস্থা যাতে the leader is invested with absolute authority. ইংরেজিতে dictatorship, autocracy, authoritarianism, despotism ইত্যাদি শব্দের দ্বারা একনায়কতন্ত্রের নানা রূপ বোঝানো হয়। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে নিরঙ্কুশ একনায়কতন্ত্র আছে, গণতন্ত্র নেই। এখানে রাজনৈতিক দলের নেতৃত্ব বংশানুক্রমিক ও পরিবারতান্ত্রিক। এ পরিবারতন্ত্র মধ্যযুগের অভিজাততন্ত্রের মতো রূপ নিচ্ছে। নেতৃত্বে বংশানুক্রমিক উত্তরাধিকার মন্ত্রিপরিষদ থেকে ইউনিয়ন পরিষদ পর্যন্ত গড়ে উঠেছে। নির্বাচন করার সামর্থ্যও বাংলাদেশের সরকার ও রাজনৈতিক দলগুলোর নেই। রাজনৈতিক নেতারা বিদেশি দূতাবাস অভিমুখী, ওয়াশিংটনের স্টেট ডিপার্টমেন্টের নির্দিষ্ট ডেস্ক অভিমুখী, দিলি্ল অভিমুখী। ১৯৮০-এর দশক থেকে গণতন্ত্রের ধারণাকে সীমাবদ্ধ করে ফেলা হয়েছে কেবল নির্বাচনের মাধ্যমে সরকার গঠন ও নির্বাচিত সরকার দ্বারা দেশ শাসনে। এ গণতন্ত্রের মাধ্যমে মোট জনসংখ্যার বড়জোর শতকরা পাঁচ ভাগ লোক সব ধরনের সুবিধা লুটে নেয় এবং ৯৫ ভাগ লোক বঞ্চিত ও নির্যাতিত হয়। এখানে গণতন্ত্র রাজনীতিবিদদের সম্পত্তি ও ক্ষমতা অর্জনের এবং ভোগবাদী জীবনযাপনের উপায় মাত্র। সাধারণ মানুষকে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। প্রকৃতপক্ষে সাধারণ মানুষ গভীর নিদ্রায় মগ্ন। এ জাতির সব মানুষ- ধনী-গরিব, শিক্ষিত-অশিক্ষিত নির্বিশেষে জাতীয় হীনতাবোধে ভোগে। মানুষ সহজে হুজুগে সাড়া দেয় এবং কায়েমি স্বার্থবাদীরা হুজুগ সৃষ্টি করে তাদের স্বার্থ হাসিল করে নেয়। চলমান প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে গণতন্ত্র কায়েম হবে- এমন ধারণা-একটুও ঠিক নয়। গণতন্ত্র ব্যাপারটিকে গভীরভাবে বোঝার চেষ্টাও এ দেশের রাজনীতিবিদদের এবং বুদ্ধিজীবীদের মধ্যে নেই। টকশো, উপসম্পাদকীয়, ফেসবুক ইত্যাদির মাধ্যমে রাজনীতি বিষয়ে যেসব আলোচনা-সমালোচনা হয়, সেগুলো চলমান রাজনীতির আবর্তের মধ্যে আবদ্ধ। শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়া, সজীব ওয়াজেদ জয়, তারেক রহমান, বঙ্গবন্ধু, স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান, 'ত্রিশ লক্ষ' প্রাণের বিনিময়ে স্বাধীনতা, রাজাকার, মৌলবাদ, জঙ্গিবাদ, জামায়াতে ইসলামী, একাত্তরের মানবতাবিরোধীদের বিচার, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষশক্তি, মুক্তিযুদ্ধের বিপক্ষশক্তি, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ, এনজিও, সিভিল সোসাইটি ইত্যাদি কথার মধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক চিন্তা কেন্দ্রীভূত আছে। হাসিনা-খালেদার নেতৃত্বের বাইরে নেতৃত্ব সম্পর্কে আর কিছু কেউ ভাবতে পারেন না। যারা সত্যনিষ্ঠ তারা অবশ্যই উপলব্ধি করেন, এসব কথাকে কেন্দ্র করে যে ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া চলে, তাতে বিস্তর মিথ্যাচার থাকে। কোনো জাতির ইতিহাসকে যখন মিথ্যাচার দিয়ে বিকৃত করা হয়, তখন সেই জাতির প্রাণশক্তিই বিকৃত হয়ে যায়। এর মধ্যে কায়েম করা হয়েছে 'ভাবমূর্তির পূজা' ও 'ব্যক্তিপূজা' ইত্যাদি। এসবের দ্বারা প্রগতি ব্যাহত হয়, মানবতা অপমানিত ও লাঞ্ছিত হয়। নেতৃত্বের বেলায় যেখানেই গণতন্ত্রের ব্যত্যয় ঘটে, সেখানেই দেখা দেয় চক্রান্ত, ষড়যন্ত্র, অন্তর্ঘাত, গুপ্তহত্যা, হত্যাকান্ড কিংবা গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র, কর্তৃত্ববাদ, স্বেচ্ছাচার, স্বৈরাচার, আত্মসম্মানবোধ বিবর্জিত চাটুকারিতা ও মনোবলহীনতা (total demoralization)। রাজনৈতিক দলের অভ্যন্তরে নেতৃত্বের সমস্যা অত্যন্ত জটিল। একনায়কতান্ত্রিক সমাধান বিপর্যয় ডেকে আনে। কোনো রাষ্ট্রের রাজনীতিতে আন্তর্দলীয় বিরোধের (inter-party struggle) পাশাপাশি অন্তর্দলীয় বিরোধও (inner-party struggle) থাকে এবং দুই ধারার বিরোধের মধ্যে কোনোটিই কোনোটির চেয়ে কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। রাজনৈতিক দল আদর্শ, আদর্শ-অভিমুখী বাস্তবসম্মত কর্মসূচি ও সুষ্ঠু কর্মনীতি অবলম্বন না করে, সুষ্ঠু দলীয় সংবিধান অবলম্বন না করে, সুস্থ ধারায় থাকতে পারে না। গণতন্ত্র কেবল ভোটাভুটি নয়, আরও অনেক কিছু। গণতন্ত্র যতটা রাজনৈতিক, ততটাই আর্থসামাজিক-সাংস্কৃতিক ব্যাপারও। গণতন্ত্রের মর্মে থাকে সরকারি দল, বিরোধী দল নির্বিশেষে সবার মধ্যে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্প্রীতি। বাংলাদেশের কথিত গণতন্ত্রে কী আছে? এখানে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে গণতন্ত্রের জন্য মূল্যবোধসম্পৃক্ত যুক্তিসঙ্গত inner-party struggle-এর কোনো ধারণাই নেই, আছে কেবল স্বতঃস্ফূর্ত power-struggle, যা কথাবার্তায় শ্লীলতার সীমা লঙ্ঘন করে এবং কাজের বেলায় সহিংস রূপ নেয়। ঘৃণা-বিদ্বেষ ও হিংসা-প্রতিহিংসা দিয়ে গণতন্ত্র হয় না। যে কোনো জাতির রাজনীতিকে বোঝার জন্য সেই জাতির রাজনৈতিক দলগুলোর আন্তঃবিরোধ ও অন্তর্বিরোধ- দুটোরই ইতিহাস জানা অপরিহার্য। ইতিহাসের জ্ঞান ছাড়া কোনো বিষয়ের জ্ঞানই পূর্ণতা পায় না- কার্যকর রূপও লাভ করে না। আমাদের এখানে রাজনৈতিক ইতিহাসে আন্তঃবিরোধকে গুরুত্ব দেয়া হলেও অন্তর্বিরোধকে বিবেচনার আওতায় আনা হয় না। মনোজগৎ থেকে যায় বিবেচনার বাইরে। ফলে পূর্ণ চিত্র পাওয়া যায় না। মহসীন হলে সাতজন ছাত্রলীগ নেতার হত্যাকা-, সপরিবারে আবদুর রব সেরনিয়াবাতের হত্যাকান্ড, সপরিবারে ফজলুল হক মনির হত্যাকান্ড, সপরিবারে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকান্ড, জেলখানায় যুদ্ধকালীন চার শীর্ষ নেতার হত্যাকা-, জিয়াউর রহমান ও আবুল মনজুরের হত্যাকান্ড, গণতন্ত্রের নামে একনায়কতন্ত্র ও দেশব্যাপী সবার মনোবলহীনতা- এসব নিয়ে আমরা যতই সভা-সমাবেশ ও আইন-আদালত করি না কেন, সংশ্লিষ্ট সংগঠন বা প্রতিষ্ঠানের অন্তর্বিরোধের ইতিহাস না জানলে সামান্যই জানা হয়। আমার বক্তব্য এই যে, রাজনীতির সুস্থতার ও গণতন্ত্রের অস্তিত্বের জন্য আন্তঃদলীয় বিরোধ মীমাংসার যেমন অন্তর্দলীয় বিরোধ মীমাংসারও তেমনি সুষ্ঠু উপায় অবলম্বন অপরিহার্য। বাংলাদেশের প্রধান রাজনৈতিক দলের নেতাদের মধ্যে পারস্পরিক আস্থা খুঁজে পাওয়া যায় না। যা পাওয়া যায় তা হলো- ঘৃণা-বিদ্বেষ, হিংসা-প্রতিহিংসা, ক্ষতি কামনা, ধ্বংস কামনা, মৃত্যু কামনা। গণতন্ত্রের নামে দলীয় রাজনীতির প্রবণতা, দলের ভেতরে সব সময়ই অবাধ একনায়কতন্ত্রের জন্ম দেয়। দলের বাইরেও জবরদস্তিপরায়ণ একনায়করাই সমর্থন লাভ করে। বাংলাদেশের যাত্রা, গণতন্ত্রের কথা বলা হলেও আদৌ গণতন্ত্রের দিকে নয়। ক'দিন হলো প্রধানমন্ত্রীর সুযোগ্য উপদেষ্টা এইচটি ইমাম আওয়ামী লীগ সরকারের কিছু কার্যক্রম সম্পর্কে অকপটে যেসব কথা বলেছেন, সেগুলো পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে। ছাত্রলীগ গঠন, আওয়ামী লীগ গঠন ও আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে সরকারকে শক্তিশালী করা- আওয়ামী লীগ প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর হাতকে শক্তিশালী করা ইত্যাদি উদ্দেশ্যে তিনি ছাত্রলীগের সভায় কথাগুলো বলেছেন। বিসিএস পরীক্ষা ও সরকারি চাকরিতে দলীয় রিক্র্যুটমেন্ট সম্পর্কে তিনি অকপটে সরকারের ভূমিকার কথা বলেছেন। এসব কথা সারা দেশে যারা খবরের কাগজ পড়েন তারা জানেন। তারপরও মন্ত্রীর পদমর্যাদাপ্রাপ্ত প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা যখন সবার জানা কথাগুলোই ছাত্রসভায় বলেন, পত্র-পত্রিকায় ও টেলিভিশনে প্রচারিত হয়, তখন তা অসাধারণ গুরুত্ব লাভ করে। পিএসসির পরীক্ষা, সরকারি চাকরিতে রিক্র্যুটমেন্ট সবই চলছে উগ্র দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে- একথা কে না জানেন? সরকারি দল- ছাত্রলীগ, আওয়ামী যুবলীগ, আওয়ামী লীগ, বঙ্গবন্ধু প্রমুখের নামযুক্ত কিছু সংগঠন সরকারি ক্ষমতা ব্যবহার করে অনেক কিছু নিয়ে নিচ্ছে। অন্যরা বঞ্চনার ও নিপীড়নের শিকার হচ্ছে। এ বছরের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন সম্পর্কেও ইমাম সাহেব অকপটে কিছু কথা বলেছেন, যেগুলো সবারই জানা। এ ধরনের কথা এর আগে প্রচার মাধ্যমে প্রচারিত হয়েছে। তারপরও সরকারের ভেতরকার, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের ভেতরকার, গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি, যিনি নির্বাচন-প্রক্রিয়ায় আওয়ামী লীগের মুখপাত্র হিসেবে কাজ করেছেন, তিনি যখন কথাগুলো বলেন, তখন তা অসাধারণ গুরুত্ব লাভ করে। তিনি বলেছেন, প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের ভেতরকার আওয়ামী লীগ বিক্র্যুটেড লোকেরা আওয়ামী লীগকে জেতানোর জন্য আগ্রহের সঙ্গে কাজ করেছেন এবং তার ফলেই আওয়ামী লীগের পক্ষে এভাবে ৫ জানুয়ারির বিরাট বিজয় অর্জন সম্ভব হয়েছে। একটা কথা অবশ্য ইমাম সাহেব বলেননি। তিনি বলেননি, কীভাবে এরশাদকে সিএমএইচে বন্দি করে, জাতীয় পার্টির লোকদের প্রত্যাহারপত্র চাপা দিয়ে নির্বাচন কমিশন নির্বাচনে জাতীয় পার্টির লোকদের বিজয়ী ঘোষণা করেছে এবং বিজয়ীদের থেকে কয়েকজন মন্ত্রী হয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধী দল গঠন করেছেন। নির্বাচন কমিশনের সাধুতা নিয়েও লোকমুখে নানা কথা শোনা যায়। ইমাম সাহেব বিসিএস মৌখিক পরীক্ষায় ছাত্রলীগারদের দেখবেন বলে আশ্বাস দিয়েছেন। মৌখিক পরীক্ষায় এ দেখাশোনার জন্য পাবলিক সার্ভিস কমিশন আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বিসিএস মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ১০০ থেকে বাড়িয়ে ২০০ করেছে। সরকারের উদ্দেশ্য সফল করার জন্য এটা খুব সুবিধাজনক হয়েছে। বিচার বিভাগ, শিক্ষা ব্যবস্থা, প্রশাসন ব্যবস্থা সর্বত্রই জাতীয় দৃষ্টিভঙ্গি পরিহার করে দলীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। এটা যে কেবল আওয়ামী লীগ সরকার করেছে, তা নয়। এর আগে বিএনপিও একই নীতি অবলম্বন করে কাজ করেছে। পার্থক্য এই যে, যত সময় যাচ্ছে ততই এ নীতির আওতা বাড়ছে এবং এটার প্রয়োগ-পদ্ধতিকে দৃঢ় ও কঠোর করা হচ্ছে। যে রাজনীতি চলছে তাতে অন্য কোনো দলের ক্ষমতায় আসার সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। রাজনীতির চরিত্র না বদলালে সরকার বদল হলেও এ নীতি নানা কৌশলে জনসাধারণকে ঘুম পাড়িয়ে রেখেছে। তাছাড়া উপর থেকে নিচ পর্যন্ত সর্বত্র সারা দেশে জনমনে বিরাজ করছে জাতীয় হীনতাবোধ। জনগণ জাতীয় ও রাষ্ট্রীয় ব্যাপারে নিস্পৃহ। জনগণ গভীর নিদ্রায় মগ্ন। এ বাস্তবতা সরকারের জন্য খুবই সুবিধাজনক। সরকার নির্ঝঞ্ঝাটে একনায়কত্ববাদ থেকে স্বেচ্ছাচার-স্বৈরাচারে উত্তীর্ণ হতে পারে। যারা গণতন্ত্র আশা করেন, তাদের বোঝা উচিত, এভাবে গণতন্ত্র হতে পারে না। প্রক্রিয়াটা একনায়কত্ববাদী, স্বেচ্ছাচারী, স্বৈরাচারী। এ যাত্রা গণতন্ত্রের দিকে যাত্রা নয়। জনগণের কপালে দুঃখ আছে। ১৯৭১ সালেও জনগণ দুঃখ-কষ্টের মূল্যে স্বাধীন রাষ্ট্র লাভ করেছিল। সামনে যে সহিংস বাস্তবতা দেখা যাবে, তার পরিণতিতে জনগণ কী লাভ করবে? যুক্তরাষ্ট্র কিংবা ভারত বাংলাদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করে দেবে না। বিদেশি-দূতাবাসমুখী রাজনীতি নিয়ে গণতন্ত্র হবে না। বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য পরনির্ভরতা ও পরানুকরণ না করে আত্মশক্তির ওপর নির্ভর করে স্বাধীনভাবে চিন্তা এবং কাজ করতে হবে। বাইরে থেকে গ্রহণ করতে হবে। তবে তা বাইরের চাপে নয়, নিজেদের অন্তর-গরজে। গণতন্ত্রের প্রক্রিয়া আরম্ভ হয়নি, আরম্ভ করতে হবে। আবুল কাসেম ফজলুল হক একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৬-১১-০১৪:
Link copied!