AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কুড়িগ্রামে ব্রি-২৮ জাতের ধানবীজের কৃত্রিম সংকট


Ekushey Sangbad

০৪:৩৭ পিএম, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
কুড়িগ্রামে ব্রি-২৮ জাতের ধানবীজের কৃত্রিম সংকট

একুশে সংবাদ : কুড়িগ্রামের বিভিন্ন এলাকায় বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন কর্পোরেশনের (বিএডিসি) বাজারজাত করা ব্রি-২৮ জাতের ধান বীজের কৃত্রিম সংকট দেখিয়ে অসাধু ব্যবসায়ীরা হাতিয়ে নিচ্ছে বিপুল অর্থ। বিএডিসি কর্তৃপক্ষ বীজের কোন সংকট নেই দাবী করলেও বাজারে সংকটের পাশাপাশি সরকারি মুল্যে মিলছেনা ওই জাতের ধান বীজ। প্রতি কেজিতে ১০-১৫ টাকা আর ১০ কেজির প্যাকেটে ৫০-১৫০ টাকা পর্যন্ত বেশী দামে কিনতে হচ্ছে কৃষকদের। বাজারে ব্রি-২৮ জাতের বীজের চাহিদা বেশী হওয়ার সুযোগে সংকটের ধুয়া তুলে কৃষকদের পকেট থেকে বাড়তি অর্থ হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। আর বিএডিসির বীজের চড়া দামের কারণে বেসরকারি কোম্পানীর বীজ আরো চড়া দামে কিনতে বাধ্য হচ্ছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম বিএডিসি অফিস সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুমের জন্য জেলায় ৪৭১ মে. টন ব্রি-২৮ ও ২৩০ মে. টন ব্রি-২৯ ধানের বীজ বরাদ্দ পাওয়া গেছে। সরকার নির্ধারিত প্রতিকেজি ৩৫ টাকা হিসেবে ১০ কেজি ওজনের প্যাকেটের দাম ৩৫০ টাকা হবার কথা। কিন্তু মৌসুমের শুরুতেই সংকটের ধুয়া তুলে ডিলাররা ৪০০-৫০০ টাকা পর্যন্ত কৃষক ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে বিক্রি করেন। খুচরা বিক্রেতারা আরো ৩০-৪০ টাকা লাভ ধরে বিক্রি করছে এই বীজ। বাজারে বিএডিসি ও কৃষি বিভাগের কোন মনিটরিং ব্যবস্থা না থাকায় কৃষকদের বাধ্য হয়ে চড়া দামেই কিনতে হচ্ছে বীজ। ফুলবাড়ি উপজেলার শিমুলবাড়ির জিয়াউল হক জানান, তিনি উপজেলা সদরের রফিকুল ডিলারের কাছ থেকে ৫০০ টাকায় এক প্যাকেট ধান বীজ কিনেছেন। একই অভিযোগ চন্দ্রখানার আদম আলীর। তিনি অবশ্য ওই ডিলারের কাছে ৪৫০ টাকায় কিনেছেন ধান বীজ। এ বিষয়ে বিএডিসির ডিলার রফিকুল ইসলামের দাবী, তিনি সব বীজ কৃষক ও খুচরা বিক্রেতাদের কাছে সরকার নির্ধারিত দরে বিক্রি করেছেন। এখন তার কাছে ব্রি-২৮ জাতের বীজ নেই। সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ি বাজারের বীজ বিক্রেতা তাজুল ইসলাম জানান, তারা ডিলারদের কাছে বেশী দামে বীজ কিনে সামান্য লাভে বিক্রি করছেন। তবে সিনজেনটা, এসিআইসহ বিভিন্ন বেসরকারি কম্পানীর একই জাতের ভিত্তি বীজের প্যাকেট ৭০০-১ হাজার টাকায়ও কিনছেন কৃষকরা। কুড়িগ্রাম বিএডিসির বীজ বিপণন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মাসেউল হক মামুন বলেন, এই অঞ্চলের কৃষকদের মাঝে ব্রি-২৯ এর চাহিদা কম। তাই ডিলাররা লোকসান পোষাতে ব্রি-২৮ বীজে দাম কিছুটা বেশী ধরেছেন। তবে এখনও বীজ মজুদ আছে এবং বীজ বিপণন কেন্দ্রে খুচরা বিক্রি চলছে বলে তিনি জানান। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৬-১১-০১৪:
Link copied!