AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি


Ekushey Sangbad

০৪:৫৩ পিএম, নভেম্বর ২৬, ২০১৪
এইডসের প্রতিষেধক আবিষ্কারের দাবি

জামালপুর প্রতিনিধিঃ জামালপুর শহরের মধ্য বাগেরহাটা এলাকায় এস,এম, মোস্তাফিজুর রহমান ঘাতক ব্যাধি এইডস রোগের ঔষধ আবিষ্কার করেছেন। তিনি দীর্ঘ সাত বছর গবেষণা করে এই সাফল্য পেয়েছেন বলে দাবী করেন। তার এই সাফল্যে এইডস রোগীরা রক্ষা পাবে। তিনি একান্ত সাক্ষাতকারে এই প্রতিবেদকে বলেন, মানব দেহের যে কোন রোগের ঔষধ তৈরি করার আগে সে রোগের ধরন এবং তার কারন সম্পর্কে পরিপূর্ণ জ্ঞান থাকা দরকার। এইচ,আই,ভি এমন এক মরণ ব্যাধি যা মানব দেহে প্রবেশ করার পর ধীরে ধীরে রোগীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে ধ্বংস করে দেয়। তাই অনেক বৎসর পেরিয়ে গেলেও বিজ্ঞানীরা এই ঔষধ তৈরি করতে পারেনি। তবে আমাদের দেশে এমন কিছু ঔষধী-গাছ এবং লতা-পাতা আছে, যা দিয়ে সত্যি এ রোগের ঔষধ তৈরি করা সম্ভব। আমি এই ঔষধ তৈরির ফর্মূলার কথা বলার আগে কিভাবে এই ঔষধ তৈরি করলাম সেই বিষয়ে কিছু কথা বলতে চাই। আজ থেকে সাত বছর আগের কথা। জামালপুর রেলওয়ে স্টেশনের পাশ দিয়ে যাওয়ার সময় হঠাৎ দেখলাম একজন মধ্য বয়সী মহিলাকে ঘিরে কিছু কৌতুহলী লোক দাড়িয়ে আছে। কাছে গিয়ে জানতে পারলাম তিনি এইচ,আই,ভি পজেটিভ। কলকাতার একটি পতিতা পল্লী থেকে তার দেহে এই রোগের ভাইরাস প্রবেশ করেছে। ছোটবেলা থেকে আমি বিভিন্ন ধরনের ঔষধী গাছ-গাছরা নিয়ে গবেষনা করতাম। তাই তাকে পেয়ে তার সাথে কথা বলে তার শরীর থেকে এক সিরিঞ্জ রক্ত সংগ্রহ করলাম। বাড়ী এসে রক্তগুলো একটি কাঁচের বোতলে রেখে সেখান থেকে সামান্য একটু রক্ত নিয়ে একটা পাথরের বাটিতে ঢাললাম। এরপর শুরু হলো বিভিন্ন ধরনের ঔষধী গাছ-গাছরা পরীক্ষা নিরীক্ষার কাজ। আমার কাছে দূরবীনের মতো দেখতে ছোট্ট একটা যন্ত্র ছিল। ওটা ক্ষুদ্র জিনিষকে অনেক বড় করে দেখা যায়। আমি ওটাকে অনুবিক্ষণ যন্ত্রের মতো করে কাজে লাগাতাম। কারণ ওর মাধ্যমে এইচ,আই,ভি ভাইরাস ও রক্ত কণিকাকে সহজভাবে নির্নয় করা যেতো। আমি দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নানান ধরনের ঔষধী গাছ সংগ্রহ করে পরীক্ষা করতাম। এর মধ্যে কিছু কিছু গাছের রস ফেললে ভাইরাসগুলো মরার মতো স্থির হয়ে যেতো। কিন্ত আবার কয়েক ঘন্টা পর দেখলে ওগুলোকে আগের মতই সুস্থ মনে হতো। অবশেষে আমি এমন কিছু ঔষধী গাছের সন্ধান পেলাম যেগুলোর রস রক্তের উপর প্রয়োগ করার সাথে সাথেই ভাইরাসগুলো ধ্বংস হয়ে যায়। এরপর সে গাছগুলো পরীক্ষা করে দেখলাম সেগুলো বিষাক্ত কিনা। এখানেও ফলাফল ভাল। গাছগুলো বিষাক্ত নয় আর ওগুলো দিয়ে ঔষধ তৈরি করলে রোগীর উপর তার কোন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও হবে না। বিঃ দ্রঃ নিরাপত্তার স্বার্থে ঔষধী গাছগুলোর নাম এখানে উল্লেখ করা হলো না। ঔষধটি তৈরি করার পর আমি একজন রোগীর জন্য বিভিন্ন জায়গায় সন্ধান করতে লাগলাম। অবশেষে ঢাকা মোহাম্মদপুর আশার আলো ক্লিনিকে গেলে, রোগীর সন্ধান পাওয়া যাবে শুনে, ঔষধ তৈরি করে আমি সেখানে গেলাম। কিন্তু কি দুর্ভাগ্য আমার তারা আমার ঔষধ দেখাতো দূরের কথা একজন রোগীর ঠিকানাও আমাকে দিলেন না। নিরাশ হয়ে বাড়ী ফিরে এসে মনে মনে ভাবলাম, একটি বই লিখে তার মাধ্যমে আমি আমার এই আবিষ্কারের কথা সবাইকে জানাবো। ভাবনা মতো লিখলাম একটা বই। বইয়ের নাম ‘হৃদয়ের কথা’। বইটি সত্যকথা প্রকাশনী থেকে ২০১১ সালে একুশে বই মেলায় বেরিয়ে ছিল। সেখানে এইচ,আই,ভি এইড এর ঔষধ কিভাবে তৈরি করা যায় তার একটা সুন্দর ধারনা দেয়া আছে। কিন্তু তারপরেও আমি সফল হতে পারিনি । কারণ সেই উপন্যাসটিতে ঔষধের ব্যাপারে লেখার পর সেখানে এ কথা লেখা হয়নি যে,গবেষনার এই বিষয়টি সত্য। তাই পাঠকরা বইটা পড়ার পরও আসল সত্যটা বুঝতে পারেনি। এর মাঝে কেটে গেল আরও তিনটি বছর! কিন্তু তবুও ঐ বইয়ে লেখাটি কোনো কাজে এলোনা। অবশেষে ২৭শে ফেব্র“য়ারী গেলাম ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’ পত্রিকা অফিসে। সেখানে গিয়ে আমার সব কথা খুলে বলার পর তারা আমাকে ঔষধটির উপর একটি প্রতিবেদন লিখতে বললেন। যদি লেখাটা ভালো হয় তবে পহেলা ডিসেম্বর বিশ্ব এইডস দিবসে পত্রিকায় ছাপা হবে। আমি তাতে রাজী হয়ে ১১/১০/১৪ইং তারিখে একটি প্রতিবেদন লিখে ‘বাংলাদেশ প্রতিদিন’, ‘প্রথম আলো’ এবং কালের কন্ঠ পত্রিকা অফিসে যাই। আমি সেখানে গিয়ে সেসব পত্রিকার বার্তা প্রধানদের সাথে দেখা করতে চাই। কিন্তু দূর্ভাগ্যবশতঃ কারও সাথে আমার দেখা হয়নি। বাধ্য হয়ে প্রতিবেনগুলো সেসব পত্রিকার রিসিপশনিষ্টদের কাছে রেখে আসতে হয়েছে। জানি না প্রতিবেনটা ছাপা হবে কিনা ? আমি আমার সামর্থের সবটুকু দিয়ে চেষ্টা করে যাচ্ছি। কিন্তু আজ পর্যন্ত কোন রোগীর সন্ধান পায়নি। যদি কোনদিন একজন রোগীর সন্ধান পাই তবে সেদিন প্রমান করে দেবো যে, বাংলার কিছু ঔষধী গাছে এমন গুন রয়েছে যা দিয়ে সত্যি সত্যি এইচ,আই,ভি রোগের ঔষধ তৈরি করা সম্ভব। বিঃ দ্রঃ ঔষধ নেয়ার জন্য কোনো টাকা পয়সা লাগবে না। এস,এম, মোস্তাফিজুর রহমান (মোহন) গ্রাম : মধ্য বাগেরহাটা থানা ও জেলা : জামালপুর। প্রয়োজনে : ০১৭৫১৫৮২৯৬৯ এই নাম্বারে যোগাযোগ করুন।   একুশে সংবাদ ডটকম/খায়রুল বাশার /এইচ কে সংগ্রাম/১৭.১১.১৪।
Link copied!