রিভিউয়ের সময়সীমা নিয়ে ভিন্নমত দুই শীর্ষ আইনজীবীর
নিজস্ব প্রতিবেদক: একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধকালীন সময়ে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় দণ্ডপ্রাপ্তদের রিভিউয়ের সময়সীমা নিয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম ও বার কাউন্সিলের সাবেক সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দিয়েছেন।
মঙ্গলবার প্রকাশিত কাদের মোল্লার রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায়ে ‘রায় প্রকাশের ১৫ দিনের মধ্যে রিভিউ করা যাবে’ এমন কথার উল্লেখ থাকার বিষয়ে তারা পাল্টাপাল্টি বক্তব্য দেন।
অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম বলেছেন, ‘পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা কার্যকর করতে ১৫ দিন অপেক্ষা করার কোনো বাধ্যবাধকতা নেই। রায়ের পূর্ণাঙ্গ কপি প্রকাশ করার পর আসামিকে দ্রুত রিভিউ আবেদন দাখিল করতে হবে। অন্যথায় সরকার রায় কার্যকর করার ক্ষেত্রে ১৫ দিন অপেক্ষা করবে না।’
অপরদিকে তার এ বক্তব্যে দ্বিমত পোষন করেছেন সুপ্রিম কোর্ট বারের সভাপতি খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেছেন, ‘আপিল বিভাগ তার রায়ে উল্লেখ করেছে যে, পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আসামি রিভিউয়ের জন্য ১৫ দিন সময় পাবে। ১৫ দিনের মধ্যে যদি আসামি রিভিউ না করে, সেক্ষেত্রে ১৫ দিন পর আইন অনুযায়ী সরকার তা কার্যকরের ক্ষেত্রে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবে।’
তিনি আরো বলেন, ‘কামারুজ্জামানের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর আমরা রায়ের মধ্যে অসঙ্গতিগুলো বের করে রিভিউ আবেদন দাখিল করব। আমরা আশা করি ন্যায় বিচারের মাধ্যমে এ রায়ের হেরফের হবে।’
মাহবুব বলেন, ‘রিভিউ আবেদনের শুনানিতে আমরা যদি আদালতকে সন্তুষ্ট করতে পারি, সেক্ষেত্রে কী দণ্ড দেবে তা সর্বোচ্চ আদালতের ওপর নির্ভর করবে, শাহবাগের স্লোগানের ওপর নয়।’
অন্যদিকে সাঈদীর রায়ের বিরুদ্ধে রিভিউ করার বিষয়ে অ্যাটর্নি জেনারেল বলেন, ‘আপিল বিভাগ থেকে পূর্ণাঙ্গ রায় পাওয়ার পর রিভিউয়ের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিব।’
বুধবার দুপুরে এই দুই শীর্ষ আইনজীবী সুপ্রিম কোর্টের তাদের নিজ নিজ কার্যালয়ে এসব কথা বলেন।
প্রসঙ্গত, গতকাল মঙ্গলবার কাদের মোল্লার রিভিউয়ের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশ করেন আপিল বিভাগ। কোন আসামির পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর ১৫ দিনের মধ্যে আপিল বিভাগে রিভিউ করা যাবে বলে এতে উল্লেখ করা হয়েছে।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২৬.১১.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :