AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

'ন্যায়বিচার না পাওয়াই বড় সমস্যা'


Ekushey Sangbad

০৫:০৮ পিএম, ডিসেম্বর ৭, ২০১৪
'ন্যায়বিচার না পাওয়াই বড় সমস্যা'

একুশে সংবাদ : আইরিন খান। আইনজীবী, শিক্ষাবিদ ও মানবাধিকারকর্মী। রোমভিত্তিক ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট ল অর্গানাইজেশনের মহাপরিচালক। এর আগে তিনি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মহাসচিব (২০০১-২০০৯) হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর দিআনহার্ডট্রুথ: পোভার্টিঅ্যান্ডহিউম্যানরাইটসবইটি ফরাসি, জার্মান, ফিনিশ, ডাচ, ইতালীয় ও কোরীয় ভাষায় অনূদিত হয়েছে। বাংলাদেশে তো আপনি মাঝেমধ্যেই আসেন, মানবাধিকার পরিস্থিতিতে কোনো পরিবর্তনের চিহ্ন কি চোখে পড়ছে? আইরিন খান l বাংলাদেশের অবস্থাটাকে ইংরেজিতে বলে কোনান্ড্রাম। মানে একদিকে ভালো আবার অন্যদিকে তেমন ভালো হচ্ছে না। সামাজিক সূচকগুলোতে, স্বাস্থ্য এবং শিক্ষায় বাংলাদেশ বেশ ভালো করছে। মেয়েদের শিক্ষার হার বাড়ছে, তাদের স্কুলে যাওয়ার পরিমাণ বাড়ছে, শিশুমৃত্যু কমছে, মাতৃমৃত্যুর হার কমছে, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাড়ছে। কিন্তু, একই সঙ্গে কয়েকটি বড় সমস্যাও আছে রাজনৈতিক ও সামাজিক উভয় ক্ষেত্রেই। রাজনৈতিক দিক থেকে সবচেয়ে বড় বিষয় হচ্ছে সহনশীলতা এবং মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। সমাজে অনেক বেশি মেরুকরণ হয়েছে। দুর্নীতি ও রাজনৈতিক সহিংসতার সমস্যাও রয়েছে। সামাজিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে আমাদের বড় সমস্যা হচ্ছে বৈষম্য। বৈষম্য দূর করার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে না। নগরায়ণ—ঢাকায় যে যানজটের সমস্যা, অবকাঠামোর অভাব, পরিবেশের সমস্যা। আপনি যদি উন্নয়ন বিষয়ে পড়াশোনা করেন তাহলে দেখবেন শুধু সূচকের অবস্থান দিয়ে উন্নয়নের ধারা স্থিতিশীল হয় না। তার জন্য প্রয়োজন প্রাতিষ্ঠানিক ব্যবস্থা। আমাদের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো দুর্বল। কখনো দেখা যায় তাদের সামর্থ্য নেই, কখনো কখনো দেখা যায় তারা দুর্নীতিগ্রস্ত অথবা অযোগ্য। তাহলে কি মানবাধিকারের ক্ষেত্রে পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হচ্ছে না? আইরিন খান l পাঁচ ধরনের মানবাধিকার আছে। রাজনৈতিক ও নাগরিক অধিকার, অর্থনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক। এই পুরো পাঁচটি শ্রেণিতে আপনি যদি দেখেন তাহলে দেখবেন কিছু কিছু ক্ষেত্রে বেশ উন্নতি হয়েছে। যেমন? আইরিন খান l যেমন ধরুন শিক্ষার অধিকার। সেখানে উন্নতি হচ্ছে, মেয়েদের ব্যাপারেও উন্নতি হচ্ছে। কিন্তু সেই উন্নতির সঙ্গে সামঞ্জস্য বজায় রাখা নিরাপত্তা, সেটা আসেনি। সেখানে বৈষম্য প্রচুর। আপনার কোথায় জন্ম, কোথায় বড় হচ্ছেন, তার ওপর অধিকারের অনেকটাই নির্ভর করছে। সেটা একটা বড় সমস্যা। আমরা যেটাকে বলি বিচার পাওয়ার সুযোগ—অ্যাক্সেস টু জাস্টিস—সেই ন্যায়বিচার পাওয়ার ব্যবস্থা ঠিকমতো নেই। এই ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে সমস্যাটা কী? আইরিন খান l ন্যায়বিচার পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রথম সমস্যা হলো বিচার পাওয়ার সুযোগ। এটা খুবই ব্যয়বহুল। পুরো বিচারব্যবস্থাটা খুবই ব্যয়বহুল। এটা একই সঙ্গে দুর্নীতিগ্রস্ত। আপনার যোগাযোগ থাকতে হবে, পরিচিতজন থাকতে হবে। আর আপনি যদি ক্ষমতাহীন হন, গরিব হন, প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর কেউ হন, তাহলে তা খুবই কঠিন। বিচারব্যবস্থা মূলত ব্যাপকভাবে রাজনৈতিক প্রভাবে প্রভাবিত। যেমন, আপনি দেখুন লিমনের মামলাটি। এটা শুধু এক দিনের বিষয় নয়, মামলাটি কত বছর হয়ে গেছে। সেই মামলাটার এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। সরকার তার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। তবে সরকারের বিরুদ্ধে সে যে ক্ষতিপূরণের মামলা করেছে, সেটা এখনো নিষ্পত্তি হয়নি। আপনি কি সেটাই বলতে চাইছেন? আইরিন খান l সরকার যে লিমনের বিরুদ্ধে মামলা আনবে, সেটাই তো আশ্চর্যের বিষয়। সরকারের তো তার আনা অভিযোগটি তদন্ত করে প্রতিকার করার কথা। কিন্তু তা না করে তার ওপরই মামলা চাপানো হয়েছিল। মানবাধিকার সংগঠনগুলো—বৈশ্বিক এবং স্থানীয় সংগঠনগুলো যে বিষয়টিতে সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তা হলো এনফোর্সড ডিসঅ্যাপেয়ারেন্স—গুম হয়ে যাওয়া। এ রকম গুমের ঘটনা একটা-দুটো নয়; অনেক। আইরিন খান l এগুলোর কোনো নিষ্পত্তি হচ্ছে না। এটা খুবই বিপজ্জনক। রাষ্ট্রের তরফ থেকে কোনো প্রতিষ্ঠান বা সংস্থা যখন অপরাধমূলক কোনো কাজ করে, তখন আপনি পুলিশের কাছে যাবেন, অভিযোগ করবেন। কিন্তু এখানে কে করছে, সেটাই রহস্য হয়ে থাকছে। গুমগুলো রাষ্ট্রের মদদে বা উৎসাহে হচ্ছে, নাকি রাষ্ট্রীয় নয়, এ রকম কোনো শক্তি, যাকে নন-স্টেট অ্যাক্টরস বলা হয়, তাদের দ্বারা ঘটছে অথবা নন-স্টেট কেউ করছে কিন্তু রাষ্ট্রের প্রশ্রয় পাচ্ছে, সেটা কিন্তু বোঝা যাচ্ছে না। এই বিষয়টিতে সরকারের কিন্তু নিজের স্বার্থেই নজর দেওয়া উচিত। কেননা, এর সঙ্গে সরকারের কর্তৃত্ব বা ক্ষমতার প্রশ্ন জড়িত। গুমের বিষয়ে রাষ্ট্রের তো একটা দায়িত্ব আছে। রাষ্ট্রের কোনো সংস্থা যদি সেটা না করে থাকে, তাহলে কে করছে সেটাও তো খুঁজে বের করার একটা দায়িত্ব রয়েছে। এখানে রাষ্ট্র তো সেটা করছে না। নাগরিকেরা তাহলে কোত্থেকে বিচার পাবে? আইরিন খান l নাগরিকেরা তো রাষ্ট্রের কাছেই বিচার চাইবে। সেখানেই রাষ্ট্রের কাছে ফেরত যাওয়ার প্রশ্ন। আমাদের দেশে জাতীয় মানবাধিকার কমিশন আছে, সেখানেও দাবি জানানো যায়। মানবাধিকারের ওপর অনেক আন্তর্জাতিক চুক্তি ও সনদে বাংলাদেশ স্বাক্ষর করেছে। জাতিসংঘের অনেক প্রতিষ্ঠান রয়েছে, যারা মানবাধিকারের ওপরে কাজ করে। সেখানেও এসব কথা তুলে ধরা উচিত যে রাষ্ট্র তার দায়িত্ব পালন করছে না। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত আবারও বিষয়টি দেশের ভেতরেই সমাধানের চেষ্টা করতে হবে। নাগরিক সমাজ, গণমাধ্যম প্রত্যেকেরই দায়িত্ব রয়েছে বিষয়টিতে রাষ্ট্রের ওপর চাপ সৃষ্টি করার। আপনি একটু আগে বলছিলেন যে বাংলাদেশে সহনশীলতার অভাব লক্ষ করা যাচ্ছে। এই সহনশীলতা নেই কেন? আইরিন খান l এটার কারণ খুঁজতে গেলে কয়েক বছর পেছনে যেতে হবে। দেশে দুই ধারার রাজনৈতিক বিভাজন ও মেরুকরণ হয়েছে। দুই দল হয়ে গেছে, মাঝামাঝি কোনো জায়গা নেই। আপনি যদি কোনো দলের সঙ্গে মিশতে না চান তাহলে আপনার কোনো স্থান নেই। আবার, আমরা যখন বলি যে আমরা মুসলিমপ্রধান দেশ। মুসলমানদের সংখ্যাগরিষ্ঠতার মধ্যেই অন্য ধর্মের প্রতি আমাদের কোনো সহনশীলতা নেই। এটাকে আমাদের নেতারা উৎসাহ দেন। দল ভারী করার জন্য তাঁরা এটা করে থাকেন। এটা খুবই বিপজ্জনক। শুধু রাজনীতির জন্য নয়, অর্থনীতি বলুন, শিক্ষা বলুন, বুদ্ধিবৃত্তিক চর্চা বলুন, আপনার মুক্তচিন্তার সুযোগ প্রয়োজন। কারণ, বিভিন্ন ধরনের চিন্তাভাবনা না থাকলে অগ্রগতি হয় না। পৃথিবীর সব দেশের দিকে তাকান—তাঁরা সবাই দরজা খুলে দিচ্ছেন—দিতে বাধ্য হচ্ছেন। আমাদেরও উন্নতি করতে হলে, প্রগতির জন্য উদার হতে হবে। প্রথম আলোর মতো কাগজ যে বহুমত প্রকাশের ব্যবস্থা করছে, সেটা খুবই দরকার। আর ধর্মের ক্ষেত্রে সেটা ইসলাম বলুন, হিন্দুত্ব বলুন কিংবা খ্রিষ্টধর্মের কথা—সবগুলোতেই বিশ্বব্যাপী এখন একটা প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, যেটা হলো উগ্রপন্থার দিকে ঝুঁকে পড়ার ঝোঁক। ইসলামি জঙ্গিবাদের উত্থান মানবাধিকারের জন্য কতটা হুমকি তৈরি করছে? আইরিন খান l অনেক বড় হুমকি। কারণ, মানবাধিকারের ক্ষেত্রে ধর্মীয় বা জাতীয় পরিচয়ের কোনো আলাদা গুরুত্ব থাকার কথা নয়। ভিন্ন ধর্মাবলম্বী বা যিনি ধর্মে বিশ্বাস করেন না, তাঁরও কিছু মানবাধিকার আছে। সুতরাং, কীভাবে জীবনযাপন করতে হবে, কী করা যাবে বা যাবে না, তা ধর্মের ভিত্তিতে চাপিয়ে দেওয়া চলে না। আমাদের দেশে এর কিছুটা আসছে বাইরের থেকে আর কিছুটা আসছে রাজনৈতিক নেতাদের উৎসাহে। নিজেদের সংকীর্ণ নির্বাচনী সুবিধালাভের আশায় তাঁরা এটি করছেন। যাঁরা নিজেদের ধর্মনিরপেক্ষ দাবি করেন, তাঁরা কি সঠিক পথে আছেন? বিশেষ করে জঙ্গিবাদ মোকাবিলার কৌশলের ক্ষেত্রে? আইরিন খান l না, তাঁরাও অনেক সময় ভুল করেন এবং সেই ভুলের জন্য ক্ষেত্রবিশেষে অনেককে তাঁরা আরও জঙ্গিবাদের দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলার যেসব পদক্ষেপ মানবাধিকারের পরিপন্থী হয়, আরও নিষ্ঠুর হয়, সেগুলো কিন্তু উল্টো ফল দেয়। কাজেই মানবাধিকারকে রক্ষা করেই এই জঙ্গিবাদকে মোকাবিলা করতে হবে। মানবাধিকারকে ক্ষয় করে যদি আমরা সেটা করতে যাই, তাহলে আমরা নিজেরাই আমাদের উদ্দেশ্যকে প্রশ্নবিদ্ধ করে ফেলছি। আগে উন্নয়ন এবং পরে গণতন্ত্র—এমন একটি ধারণা এখন অনেকেই সামনে নিয়ে আসছেন। এ বিষয়ে আপনার দৃষ্টিভঙ্গি কী? আইরিন খান l এই নীতির অবশিষ্ট এখনো কোথাও কোথাও রয়ে গেছে। কিছুদিন আগে আমি জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের একটি বিতর্কে সভাপতিত্ব করেছিলাম। ওখানে রুশ প্রতিনিধি বলেন যে প্রথমে উন্নয়ন হবে, তারপর অধিকার। আমি কিছু বলার আগেই, কয়েকজন প্রতিনিধি আফ্রিকা, এশিয়া এবং লাতিন আমেরিকার বলে উঠলেন যে না, এটা হয় না। উন্নয়ন এবং অধিকার হাত ধরাধরি করে চলবে। উন্নয়ন কার জন্য? মানুষের জন্য। সেখানে যদি আপনি মানুষকেই অংশ নেওয়ার অধিকার না দেন তাহলে সেখানে উন্নয়ন সফল হবে না, মানুষের কাজে আসবে না। আপনি বিভিন্ন গবেষণা দেখেন, দেখবেন যেখানে উন্নয়ন হচ্ছে, সেখানে জনগণের অংশগ্রহণ রয়েছে। যেখানে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নেই, আপনি যদি কথা বলতে না পারেন তাহলে উন্নয়নে ভুল হলেও সেই ভুল ধরা পড়বে না। আপনি চীনের দিকে তাকান, সেখানে দুর্নীতি একটা বড় সমস্যা। কেন? কারণ, সেখানে সত্যি কথা বলার অধিকার নেই। চীনে এখন কী বলা হচ্ছে? তাদের সর্বসাম্প্রতিক কংগ্রেসে বলা হয়েছে, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করব, সংবিধানকে তুলে ধরব। চীনা সংবিধানে কিন্তু মানবাধিকারের কথা বলা আছে। তাঁরা এখন বলছেন যে আইনের শাসন না থাকলে, মানবাধিকার না থাকলে উন্নয়ন স্থায়ী হবে না। আপনি বিচার বিভাগের রাজনৈতিকীকরণের কথা বলেছেন। দ্বিদলীয় রাজনৈতিক মেরুকরণের পটভূমিতে এই সমস্যার সমাধান কীভাবে সম্ভব? আইরিন খান l আমার মনে হয় এ ক্ষেত্রে আমরা কেনিয়ার দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নিতে পারি। কেনিয়ায় এর আগে দুটি প্রধান দলের মধ্যে ক্ষমতার দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে কী ধরনের প্রাণঘাতী সংঘাত হয়েছিল, সেটা আপনারা জানেন। তারপর জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব কফি আনানের নেতৃত্বে একটি আফ্রিকীয় জ্যেষ্ঠ নেতাদের দল বিবদমান দুই পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে যে সমাধান-ফর্মুলায় পৌঁছান, তার প্রধান বিষয় ছিল বিচার বিভাগের সংস্কার। তাঁরা একটি স্বাধীন বিচার বিভাগ এবং বিচার বিভাগের স্বচ্ছতার উপায় নির্দেশ করেছেন, যার ভিত্তিতে ২০১০ সালে দেশটির সংবিধান সংশোধন করা হয়েছে। আইনের শাসন নিশ্চিত করার জন্য সেখানে বিচারকদের নিয়োগব্যবস্থা স্বচ্ছ করা হয়েছে। সর্বস্তরের আদালতে অযোগ্যদের বিচারক পদে নিয়োগের পথ বন্ধ হয়েছে, বিচারকের সংখ্যা বেড়েছে। আর বিচার বিভাগের এই সংস্কারের কারণে গত নির্বাচনে তীব্র প্রতিদ্বন্দ্বিতা সত্ত্বেও রাজনৈতিক সংকট নিয়ন্ত্রণের বাইরে যায়নি। আমাদের বুঝতে হবে যে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা না গেলে উন্নয়ন টেকসই হবে না। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৭-১২-০১৪:
Link copied!