AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কাবা শরিফের ইতিহাস


Ekushey Sangbad

০৩:১৩ পিএম, ডিসেম্বর ৮, ২০১৪
কাবা শরিফের ইতিহাস

একুশে সংবাদঃ হযরত ইব্রাহিম (আ·) পাঁচটি পাহাড়ের পাথর এই কাবাঘর নির্মাণে ব্যবহার করেন। ঘর নির্মাণ সমাপ্ত হলে হযরত ইব্রাহিম (আ·) বললেন, এখানে একটি সুন্দর পাথর স্থাপন করা প্রয়োজন, যা মানুষের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকে।   পবিত্র কাবা শরিফ বিশ্বের মুসলমানদের জন্য কেবলা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়েছে। আল্লামা ছানাউল্লাহ পানিপথী তার তফসিরের মাজহারিতে উল্লেখ করেছেন, পৃথিবীর যে ঘরটি সর্ব প্রথম মহান আল্লাহপাক তার ইবাদতের জন্য নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তথা সর্বপ্রথম যে মসজিদ নির্মাণ করা হয়েছে তা হল কাবা শরিফ।   আল্লামা বগভী (রহ·) বর্ণনা থেকে দেখা যায়- আল্লাহপাক যখন হযরত আদমকে (আ·) জমিনে অবতীর্ণ করেন, তখন তিনি অত্যন্ত ভীত হয়ে আশ্রয়ের জন্য আল্লাহপাকের কাছে প্রার্থনা করেন। তখন আল্লাহপাক জান্নাত থেকে একটি ইয়াকুবের তৈরি বাইতুল মামুর কাবা ঘরের বর্তমান স্থানে অবতীর্ণ করেন। তার দরজা ছিল জমরুদের। এর দুটি দরজার একটি ছিল পূর্বদিকে অন্যটি ছিল পশ্চিম দিকে।   এরপর আল্লাহপাক নির্দেশ দিলেন- ‘হে আদম! আরশের চারদিকে যেভাবে তুমি তাওয়াফ করতে, এই ঘরেও এইভাবে তাওয়াফ কর। এর পাশে এমনভাবে নামাজ আদায় কর যেভাবে ওখানে তুমি নামাজ আদায় করতে।’ ওই সময় হাজরে আসওয়াদ অবতীর্ণ হয়েছিল। তখন এটি ছিল সাদা। জাহেলি যুগে ঋতুবতী মহিলাদের স্পর্শে এসে এটি কালো হয়ে যায়।   হযরত আদম (আ·) এই নির্দেশ পেয়ে হিন্দুস্থান থেকে পায়ে হেঁটে মক্কায় পৌঁছেন। একজন ফেরেশতা তাকে রাস্তা দেখিয়ে নিয়ে যান। মক্কায় পৌঁছে তিনি হজ সমাপন করেন। তখন ফেরেশতারা বললেন, হে আদম (আ·)! আপনার হজ কবুল হয়েছে। আমরা আপনার আগমনের দুই হাজার বছর আগেই এই ঘরে হজ করেছি। হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রা·) বলেন, হযরত আদম (আ·) জীবনে ৪০ বার হজ সমাপন করেছিলেন।   হযরত নূহ (আ·)-এর আগমনের সময় আল্লাহপাক ওটিকে আসমানে উঠিয়ে নেন। পরবর্তীকালে হযরত ইব্রাহিমকে (আ·) আল্লাহপাক কাবাঘর পুনর্নির্মাণের আদেশ দেন। কোন কোন বর্ণনায় দেখা যায়, আসমান থেকে একটি মেঘের ছায়া জমিনে পড়ে এবং সেই ছায়ার পরিমাণ জায়গায় হযরত ইব্রাহিম (আ·) কাবাঘর নির্মাণ করেন। হযরত ইব্রাহিম (আ·) পাঁচটি পাহাড়ের পাথর এই কাবাঘর নির্মাণে ব্যবহার করেন।   ঘর নির্মাণ সমাপ্ত হলে হযরত ইব্রাহিম (আ·) বললেন, এখানে একটি সুন্দর পাথর স্থাপন করা প্রয়োজন, যা মানুষের জন্য নিদর্শন হয়ে থাকে। তখন হযরত ইসমাইল (আ·) একটি পাথর নিয়ে এলেন। তখন হযরত ইব্রাহিম (আ·) বললেন, এর চেয়ে সুন্দর একটি পাথর নিয়ে এসো। ঠিক এ সময় আবু কুবাইশ নামে একটি পাহাড় চিৎকার করে বলে উঠল, আমার কাছে আপনার একটি আমানত আছে। আপনি নিয়ে যান। তিনি ওই আমানতটি নিয়ে এলেন এবং যথাস্থানে স্থাপন করলেন। আর এটিই হল হাজরে আসওয়াদ। হযরত ইব্রাহিম (আ·) কাবাঘর নির্মাণ কাজ সমাপ্ত করলেন।   এই কাবা শরিফের বরকতে আল্লাহপাক এ জায়গাটি করে দিয়েছেন মোবারক ও বরকতময়। কারণ এখানে ইবাদত করলে সীমাহীন সওয়াবের অধিকারী হওয়া যায়। রাসূলেপাক (সা·) এরশাদ করেছেন- ‘নিজ বাড়িতে একাকী নামাজ পড়লে একটি নামাজের সওয়াব পাওয়া যায়। মহল্লার মসজিদে জামাতে নামাজ আদায় করলে পঁচিশটি নামাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। জামে মসজিদে পড়লে পাঁচশত নামাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়। মসজিদে আকসায় পড়লে এক হাজার নামাজের সমান, মসজিদে নববীতে পড়লে পঞ্চাশ হাজার নামাজের সমান, আর মসজিদে হারাম অর্থাৎ কাবাঘরে পড়লে এক লাখ নামাজের সমান সওয়াব পাওয়া যায়।’     একুশে সংবাদ ডটকম/এইচ কে সংগ্রাম/০৮.১২.১৪।
Link copied!