AB Bank
ঢাকা বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি মিরসরাইয়ের মহামায়া


Ekushey Sangbad

০৩:৪৫ পিএম, ডিসেম্বর ৯, ২০১৪
সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি মিরসরাইয়ের মহামায়া

একুশে সংবাদ : শিশু থেকে বৃদ্ধ যে কেউ মুগ্ধ হবেন মহামায়া প্রকল্প দেখে। এ যেন সৌন্দর্যের অপরূপ লীলাভূমি, পর্যটকদের হাতছানি দিয়ে ডাকছে। লিখেছেন খাদিজাতুল কোবরা লুবনা চট্টগ্রাম শহর থেকে ৪৫ কিলোমিটার উত্তরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজার থেকে দেড় কিলোমিটর পূর্বে পাহাড়ের পাদদেশে এ স্পটের অবস্থান। নীল আকাশের বিশালতার নিচে সবুজের সমারোহ। এ যেন প্রকৃতির লীলাখেলা। দুই পাশে থাকা বনাঞ্চলের দিকে তাকালে হয়তো সহজেই দেখা যাবে অনেক জীববৈচিত্র্য। শেষ বিকেলের সূর্যের আলো যখন লেকে পড়ে তখন দূর থেকে দেখা যায় পুরো প্রকল্পটির অপরূপ দৃশ্য। এ প্রকল্পটি চট্টগ্রামের অন্যতম পর্যটনকেন্দ্র্র। দেশী-বিদেশী হাজার হাজার পর্যটকের উপস্থিতি সাম্প্রতিক সময়ের আলোচিত পর্যটন এলাকাটিকে মুখরিত করে রেখেছে। কোথাও তিল ধারণের ঠাঁই নেই। এত চমৎকার দৃশ্যে সবারই মন জুড়াবে। ২০১০ সালের ২৯ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিকভাবে এ প্রকল্পের উদ্বোধন করেন। কাপ্তাই লেকের পরই দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম লেক হিসেবে গড়ে উঠেছে মিরসরাইয়ের মহামায়া প্রকল্প। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজারের প্রায় দেড় কিলোমিটার পূর্বে প্রকল্পটির অবস্থান। এতে করে মিরসরাইয়ের এক হাজার ২০০ হেক্টর অনাবাদি জমি চাষাবাদের আওতায় এসেছে। ফলে সারা বছরই কৃষকেরা ফসল ফলাতে সম হচ্ছেন। বিশেষ করে ইরি মওসুমে চাষাবাদের ব্যাপক সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। প্রকল্পটির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে ২৬ কোটি টাকা ব্যয় হয়েছে। মহামায়া প্রকল্পের আওতায় মাটির ড্যাম, অ্যাপ্রোচ রোড, স্পিল ওয়ে, ইনট্রেক স্ট্রাকচার নির্মাণ সম্পন্ন হয়েছে। মাটির ড্যাম নির্মাণ শেষে এখান থেকে উৎপাদিত হবে ১৫০ কিলোওয়াট বিদ্যুৎ। এ প্রকল্পের আওতায় থাকবে ১১ বর্গকিলোমিটারের একটি অ্যাপ্রোচ রোড। অ্যাপ্রোচ রোড নির্মাণে বরাদ্দ রয়েছে দুই কোটি টাকা। কী কী দেখা যাবে এখানে : মহামায়া প্রকল্পে গেলে দেখতে পাবেন দেশী-বিদেশী হাজারো পাখপাখালির কিচিরমিচির কলতান। তা ছাড়া চমৎকার বিশাল বাঁধ তো রয়েছেই। রয়েছে ১১ বর্গকিলোমিটারের বিশাল লেক। এ লেক থেকে ভেতরে বয়ে গেছে ১২টি শাখা-প্রশাখা, যেগুলো দিয়ে স্পিডবোটের মাধ্যমে অনায়াসে ঘোরা যাবে প্রায় ১৫ কিলোমিটার মনোমুগ্ধকর পাহাড়ি ঝরনাধারা। সবুজ শ্যামল পাহাড় দেখে মনে হবে সে প্রতিনিয়ত আপনাকে মন উজাড় করে ডাকছে। প্রকল্প দেখতে যাবেন কিভাবে : রাজধানী ঢাকার সায়েদাবাদ থেকে যেকোনো বাসে উঠে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি বাজারে নামতে হবে। নেমে সেখান থেকে সিএনজিতে প্রকল্প এলাকায় যেতে সময় লাগবে বড়জোর ২০ মিনিট। ভাড়া নেবে ৩০-৪০ টাকা। চট্টগ্রাম শহরের কদমতলী, অলংকার ও এ কে খান গেট থেকে যেকোনো বাসে মিরসরাইয়ে ঠাকুরদীঘি বাজারে নেমে সিএনজিতে প্রকল্প এলাকায় যাওয়া যাবে। এ ছাড়া দেশের যেকোনো স্থান থেকে কার বা মাইক্রো যোগে সরাসরি প্রকল্প এলাকায় যাওয়া যাবে। সেখানে গাড়ি পার্কিংয়ের জন্য রয়েছে বিশাল জায়গা। তা ছাড়া প্রকল্প উদ্বোধনের আগে প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখতে লাগবে না কোনো টিকিট, লাগবে না গাড়ি পার্কিংয়ের ভাড়া। থাকা-খাওয়া : প্রকল্পের আশপাশে এখনো কোনো হোটেল-মোটেল গড়ে না উঠলেও প্রকল্প এলাকা থেকে মাত্র সাত কিলোমিটার দূরে বারইয়ারহাটে রয়েছে বেশ কিছু আবাসিক হোটেল। এ ছাড়া চট্টগ্রাম শহর থেকে যেহেতু প্রকল্প এলাকায় আসতে সময় লাগবে এক-দেড় ঘণ্টা, তাই চট্টগ্রামের যেকোনো হোটেলে অবস্থান করে প্রকল্প এলাকা দেখা যাবে। চট্টগ্রাম শহরে রয়েছে হোটেল আগ্রাবাদ, হোটেল সেন্টমার্টিন, হোটেল দ্য প্যানিনসুলা, হোটেল এশিয়াসহ অসংখ্য ছোট-বড় হোটেল। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০৯-১২-০১৪:
Link copied!