AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

সুন্দরবনে হুমকির মুখে জলজ ও স্থলজ প্রাণী


Ekushey Sangbad

০৪:৫৫ পিএম, ডিসেম্বর ১২, ২০১৪
সুন্দরবনে হুমকির মুখে জলজ ও স্থলজ প্রাণী

নিজস্ব প্রতিবেদক: সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাংকারডুবির পর তেল ছড়িয়ে পড়ায় জলজ প্রাণী ইরাবতী ডলফিনসহ মাছ মারা যাচ্ছে। অন্যদিকে হুমকির মুখে পড়েছে স্থলজ প্রাণী।   এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞদের বলছেন, পানিতে ছড়িয়ে পড়া তেল ঠিকভাবে অপসারণ করতে না পারলে সরাসরি ক্ষতিগ্রস্ত হবে পানিতে থাকা মাছসহ নানা প্রাণী এবং পরোক্ষভাবে দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিগ্রস্ত হবে সুন্দরবনের গাছপালা ও পশু-পাখি।     বিরল প্রজাতির ইরাবতী ডলফিনের কথা উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন পানি বিশেষজ্ঞ আইনুন নিশাত বলেন, ‘পৃথিবীর কোনো জলভাগেই দুই থেকে তিন শ’র বেশি ইরাবতী ডলফিন নেই। কিন্তু সুন্দরবন সংলগ্ন ওই এলাকায় ছয় হাজারের বেশি ইরাবতী ডলফিন আছে। এগুলোর জীবন হুমকির মুখে পড়েছে।’   Khulna-Oil-tanker2     ঐ এলাকার গাছের ক্ষতির বিষয়ে তিনি বলেন, ঘন তেল জোয়ার-ভাটার প্রভাবে গাছের গুঁড়ি ও মাটিতে লেপ্টে যাবে। গাছের শ্বাসমূল বন্ধ করে এই তেল গাছের ক্ষতি করবে। আর এ সব গাছের লতা-পাতা খেয়ে জীবনধারণকারী প্রাণীরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’     ধারণা করা হয়, সাড়ে তিন শ’ প্রজাতির বেশি গাছ, প্রায় দেড় শ’ প্রজাতির মাছ, তিন শ’ প্রজাতির পাখি এবং এক শ’ প্রজাতির স্তন্যপায়ী, সরীসৃপ ও উভচর প্রাণী বিচরণ করে সুন্দরবনে।     গবেষক ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এম মনিরুল এইচ খান তেল দূষণে সুন্দরবনের প্রাণীবৈচিত্র্যের বিশাল ক্ষতি সাধিত হবে জানিয়ে বলেন, তাৎক্ষণিকভাবে জলজ প্রাণীর ক্ষতি হবে। কিন্তু দীর্ঘমেয়াদে এর প্রভাব পড়বে সুন্দর বনের গাছ ও স্থলজ প্রাণীর (পশু-পাখি) ওপর।     উল্লেখ্য, গত মঙ্গলবার ভোরে সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদীতে সাড়ে তিন লাখ লিটারের বেশি তেলসহ নোঙরে থাকা একটি ট্যাংকারকে অপর একটি জাহাজ ধাক্কা দিলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।   sundorbon   সুন্দরবনের শ্যালা নদীর এ রুটটি একটি বিকল্প পথ। মূল পথ ‘ঘষিয়াখালী চ্যানেল মংলা নালা ও রামপালের কুমার নদ’ নৌ-রুটটি তিন বছর আগে ভরাট হয়ে গেছে। এ কারণেই সরকার সুন্দরবনের ভেতর দিয়ে ভারি নৌযান চলাচলের অনুমতি দেয়।     প্রসঙ্গত, গত কয়েক বছর ধরে পরিবেশবাদী সংগঠনগুলো সুন্দরবনের মধ্য দিয়ে ভারি নৌযান চলাচল বন্ধ করতে সরকারকে আহ্বান জানালেও কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ।     জানতে চাইলে নৌমন্ত্রী শাজাহান খান বলেন, ‘ঘষিয়াখালী চ্যানেল মংলা নালা ও রামপালের কুমার নদই প্রকৃত নৌরুট। তিন বছর আগে এই রুট বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সুন্দরবনের ভেতর দিয়েই জাহাজ চলাচলের অনুমতি দিতে হয়।’     মন্ত্রী জানান, ‘সেই রুটটি চালু করতে আরও দুই বছর সময় লাগবে।’   pic-02_161588   বিশ্ব ঐতিহ্যের গুরুত্বপূর্ণ জলাভূমি সুন্দরবনের ওই পথ দিয়ে প্রতিদিন প্রায় ৩০০টি জাহাজ চলে বলে জানা গেছে। এর মধ্যে রামপাল বিদ্যুৎকেন্দ্র চালু হলে একই রুট দিয়ে আরও বেশি কয়লাবাহী নৌযান চলাচল করবে, যা সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্যকে হুমকির মুখে ফেলবে বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা।     পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) চেয়ারম্যান আবু নাসের খান বলেন, ‘দুর্ঘটনার পর সরকারের তেমন উদ্যোগ দেখা যায়নি। একদিন পর বিষয়টা তারা অনুধাবন করেছেন বলে মনে হচ্ছে।’     সর্বনিম্ন পর্যায়ে যাতে ক্ষতি হয় তার ওপর গুরুত্ব দিয়ে তিনি আরও বলেন, তেল অপসারণে যে পাউডার ব্যবহার হচ্ছে পানিতে সেটার প্রভাব কী, তা জানা দরকার।     একই সঙ্গে সামনের দিনে যাতে এমন ঘটনা না ঘটে সে জন্য এ সমস্যা সমাধানে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেওয়ার প্রতিও গুরুত্ব দেন তিনি।     একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/১২.১২.২০১৪
Link copied!