AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মানবাধিকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট


Ekushey Sangbad

১১:৫০ এএম, ডিসেম্বর ১৫, ২০১৪
মানবাধিকারের জাতীয় ও আন্তর্জাতিক প্রেক্ষাপট

একুশে সংবাদ : বিশ্বে মানবাধিকার একটি বহুল আলোচিত বিষয়। মানুষের সহজাত অধিকারই মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত। মানুষের পাঁচটি মৌলিক অধিকার অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য। এগুলো পূরণ হওয়ার সঙ্গে যেসব মানবিক অধিকার ব্যতীত মানুষ পৃথিবীতে জীবন ধারণ করতে পারে না, মানবিক গুণাবলি এবং বৃত্তির প্রকাশ ও বিকাশ ঘটাতে সক্ষম হয় না, যেমন বাকস্বাধীনতা, মতপ্রকাশ, সংবাদপত্র, সংগঠনের স্বাধীনতা, সুবিচার লাভের অধিকার, জীবনসম্পদ-সম্প্রদায়ের নিরাপত্তা, নিজ নিজ ধর্ম পালনের সুযোগ প্রভৃতি মানবাধিকার হিসেবে গণ্য করা যায়। এখানে উল্লেখ্য, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে মানবাধিকারের আওতা যতটা বেড়েছে তার চেয়ে বেড়েছে এ মানবাধিকার হরণের কায়দাকানুন। বিশ্ব ইতিহাসে সর্বপ্রথম মানবাধিকার সংরক্ষণ সংবলিত লিখিত সনদ বলতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) কর্তৃক প্রণীত মদিনা সনদকে আর্দশ হিসেবে উপস্থাপনা করা যায়। অতঃপর ১৭ এবং ১৮ শতকে মানবাধিকারের দাবি উচ্চারিত হয় ফ্রান্সের লেখক বোঁদিন এবং ইংল্যান্ডের দার্শনিক জনলক ও ফ্রান্সের দার্শনিক রুশোর লেখায়। ১২১৫ সালে ব্রিটেনের ম্যাগনাকার্টা, ১৬৮৯ সালে অধিকার বিল, ১৭৭৬ সালে ভার্জিনিয়া অধিকার বিল মানবাধিকারের ক্ষেত্রে মাইলফলক। তাছাড়া ফরাসি বিপ্লবের ঘোষণা ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে এক নবদিগন্ত। এসব ঘোষণা প্রতি দেশে সরকারের অভ্যন্তরীণ বিষয় হিসেবে পরিলক্ষিত হয়েছে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় সীমাহীন নৃশংসতা বিশেষ করে ফ্যাসিবাদী ইতালি সরকার এবং নাৎসি জার্মান সরকার কর্তৃক মানবতার বিরুদ্ধে অপরিসীম নির্মমতার পরিপ্রেক্ষিতে যুদ্ধোত্তর বিশ্বে গণতান্ত্রিক সরকারগুলোর নেতাদের সদিচ্ছায় সর্বজনীন মানবাধিকারের সনদ রচিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জাতিসংঘ প্রতিষ্ঠিত হলে মানবাধিকার সুনির্দিষ্ট করার জন্য প্রথমে তিন সদস্যের এবং পরে আট সদস্যের একটি কমিশন গঠিত হয়। এ কমিশনের সভানেত্রী ছিলেন সাবেক আমেরিকান প্রেসিডেন্টের স্ত্রী মিসেস এলিনর রুজভেল্ট, যা ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ কর্তৃক মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্রে গৃহীত হয়। 'মানবাধিকার' শব্দটি বর্তমান বিশ্বে সবচেয়ে বেশি আলোচিত বিষয়। এটি মূলত ফরাসি শব্দ Droits de L’home থেকে উৎসারিত, যার অর্থ হলো মানুষের অধিকার। Thomas Paineসর্বপ্রথম ফ্রান্সের জাতীয় পরিষদ কর্তৃক ১৭৮৯ সালে গৃহীত Rights of Man ঘোষণার জন্য Droits de L’home শব্দটি ব্যবহার করেন, যা Mrs. Eleanor Roosevelt-এর প্রস্তাব অনুযায়ী জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ কর্তৃক ১৯৪৮ সালের ১০ ডিসেম্বর গৃহীত The Universal Declaration of Human Rights-Human Rights তথা মানবাধিকার শব্দটি ব্যবহৃত হয়। মহানবী (সা.) এর হাদিসে মানবাধিকারের প্রতিশব্দ হিসেবে 'হাক্কুন' শব্দটি অসংখ্যবার ব্যবহৃত হয়েছে। মানবাধিকার বলতে মানুষের সেই সব স্বার্থকে বোঝায়, যা অধিকারের নৈতিক বা আইনগত নিয়মনীতি দ্বারা সংরক্ষিত হয়। রাষ্ট্রবিজ্ঞানীদের মতে, রাষ্ট্র কর্তৃক এর নাগরিকদের জন্য স্বীকৃত ও প্রদত্ত কিছু সুযোগ-সুবিধাকে মানবাধিকার বলে, যেগুলো ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অপরিহার্য। মানুষ সমাজবদ্ধ জীব- এ কারণে তার পক্ষে বিচ্ছিন্ন জীবনযাপন সম্ভব নয়। তাই সামাজিক জীবনের সুস্থতা, সৌন্দর্য, উন্নতি, অগ্রগতি ও বলিষ্ঠতার জন্য সমাজের এক সদস্যের প্রতি অন্য সদস্যের অনেক দায়িত্ব ও কর্তব্য থাকে। যেখানে অধিকার সেখানে দায়িত্ব-কর্তব্য থাকবে, তাই মানুষের মৌলিক অধিকারগুলোই হলো মানবাধিকার। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ সভায় ৩০টি অনুচ্ছেদ সংবলিত যে মানবাধিকারের সর্বজনীন ঘোষণাপত্র গৃহীত হওয়ার পর স্বাধীনতাপ্রাপ্ত প্রায় সব রাষ্ট্রের সংবিধানে ওই ঘোষণাপত্রে বর্ণিত মানবাধিকারগুলো মর্যাদা সহকারে স্থান পেয়েছে। মানবাধিকার সংরক্ষণের এক মহান উদ্দেশ্য নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিষ্ঠা হলেও বর্তমান বিশ্বের চিন্তাশীল ব্যক্তিরা মানবাধিকারবিষয়ক ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জিং অধ্যায় বলে মনে করেন। শুরুতেই খোদ জাতিসংঘ মানবাধিকার লঙ্ঘনের পথ উন্মুক্ত করেছে, ফলে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ ও নিরাপত্তা পরিষদ কয়েকটি রাষ্ট্রকে 'ভেটো' প্রয়োগের নিরঙ্কুশ ক্ষমতা প্রদান একটি নির্লজ্জ নজির। মানবাধিকার সনদকে পদতলে পিষ্ট করে মিয়ানমারের মুসলিমদের ওপর জেল-জুলুম ও নির্যাতন, ফিলিস্তিনে ইসরাইলি আগ্রাসন এবং ফিলিস্তিনের নিরীহ বেসামরিক মানুষ, আফগানিস্তান ও ইরাকে ইঙ্গো-মার্কিন বাহিনীর নগ্ন আগ্রাসন, গণহত্যা, স্বাধীনতা ও বাকস্বাধীনতা হরণ, সিরিয়া, বসনিয়া হার্জেগোভিনায় সার্ব বাহিনীর নির্বিচার গণহত্যা, আলবেনিয়ায় গণহত্যা, স্বাধীনতাকামী কাশ্মীর ও মিন্দানাওয়ে মুসলিম নিধন, তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলোতে গণতন্ত্রের অনুপস্থিতির ফলে আজ জাতিসংঘের অস্তিত্বকে প্রশ্নের সম্মুখীন করেছে। রাষ্ট্রবিজ্ঞানী ম্যাকাইভারের মতে, ক্ষমতা মানুষকে বেশি কলুষিত করে। এ সূত্রে ক্ষমতাধর রাষ্ট্র কর্তৃক কলুষিত হচ্ছে বিশ্ব মানবাধিকার। মৌলিক মানবাধিকার সমস্যাটি অতিপ্রাচীন। মানব সভ্যতার ইতিহাসে যেমন মৌলিক মানবাধিকারের স্বীকৃতি ও প্রতিষ্ঠার দৃষ্টান্ত রয়েছে, তেমনি মানবাধিকার দমনের ইতিহাসও কম নয়। বর্তমান শতাব্দীতে জাতিসংঘে এর উপস্থিতি এবং ওআইসি ঘোষণা সত্ত্বেও মানবাধিকার সমস্যা প্রকট হিসেবে বিশ্ববাসীর কাছে প্রতিভাত হচ্ছে। এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, বর্তমান বিশ্বে ৬০০ কোটি জনগোষ্ঠীর অর্ধেকের বেশি মৌলিক মানবাধিকার-সংক্রান্ত শিকার। ক্ষুদা, দরিদ্রতা, অপুষ্টি, বেকারত্ব, নাগরিকের অধিকার লঙ্ঘন, সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ক্ষেত্রে সীমাহীন সমস্যার পাহাড় রীতিমতো উদ্বেগের কারণ। বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ড সম্প্রতি মানাধিকার লঙ্ঘিত ঘঠনাবলির অন্যতম। সম্প্রতি বাংলাদেশে বিচারবহির্ভূত হত্যাকান্ডের বিষয়ে আইন ও সালিশ কেন্দ্রের মতে, ২০১৪ খ্রিস্টাব্দ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দ্বারা ১৯৭টি হত্যাকান্ড সংঘটিত হয়েছে। যার মধ্যে অন্যতম নারায়ণগঞ্জের সাত খুনের ঘটনা; অথচ বাংলাদেশ সংবিধানে নাগরিকদের মৌলিক অধিকার সনি্নবেশিত হয়েছে সংবিধানের ২৬ থেকে ৪৫ অনুচ্ছেদে। ২৬ অনুচ্ছেদে বলা হয়, মৌলিক অধিকারের সঙ্গে সামঞ্জস্যহীন সব প্রচলিত আইন বাতিল বলে গণ্য হবে। এছাড়া জাতীয় সংসদ মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী কোনো আইন প্রণয়ন করবে না। মৌলিক অধিকারের মধ্যে রয়েছে আইনের দৃষ্টিতে সমতা, সরকারের নিয়োগ লাভে সমতা, জীবন ও ব্যক্তিস্বাধীনতার অধিকার, চলাফেরার স্বাধীনতা, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্পত্তির অধিকার। এদেশের জনগণ ভেবেছিল স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি এ সরকারের হাতে সংখ্যালঘুরা নিরাপত্তা পাবে; কিন্তু অতি পরিতাপের বিষয়, অনাকাঙ্ক্ষিত গোষ্ঠী দ্বারা এদেশের সংখ্যালঘুদের ওপর গোপনে এবং প্রকাশ্যে সম্পত্তি দখল, বাড়িঘর থেকে তাড়িয়ে দেয়া এবং ভয়ভীতি দেখিয়ে দেশত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে, যা অনাকাঙ্ক্ষিত। সরকার ও দেশপ্রেমিক জনগণকে এক্ষেত্রে এগিয়ে আসতে হবে। আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সবারই আছে। বাংলাদেশ সংবিধানে মানবাধিকার সংরক্ষণের ব্যবস্থা রয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকার রয়েছে শাসন ক্ষমতায়। আইন প্রণয়ন করে জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি সমন্বয়ে গঠিত জাতীয় সংসদ। তাছাড়া বাংলাদেশে বিচার ব্যবস্থা স্বাধীন এবং সর্বোচ্চ বিচারালয়ের রয়েছে গৌরবময় এক ঐতিহ্য; তারপরও বলা যায়, ৫ জানুয়ারির নির্বাচনে ১৫৩ জনের বিনা ভোটে নির্বাচিত হওয়ার বিষয়ে সরকারের ভালো ভালো অর্জনকে মস্নান করে দিচ্ছে। এদেশের অর্থনৈতিক অবস্থা তেমন প্রাণবন্ত নয়। মোট জনসমষ্টির প্রায় অর্ধেকই বসবাস করে দারিদ্র্যসীমার নিচে। জনসমষ্টির এক বিরাট অংশ মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য। তাছাড়া দেশে প্রবর্তিত রয়েছে ১৯৭৪ সালের জননিরাপত্তা আইন। এ আইনে যে কাউকে কোনো কারণ না দর্শিয়ে গ্রেফতার করা যায়। সামাজিক ক্ষেত্রেও রয়েছে বহুবিধ বৈষম্য। ফলে মানবাধিকার অনেক ক্ষেত্রে লঙ্ঘিত হয়; তারপরও কথা থাকে। মানবাধিকার সংরক্ষণ এক দীর্ঘ সামাজিক প্রক্রিয়া। এ প্রক্রিয়ায় বাংলাদেশের অবস্থা তেমন হতাশাব্যঞ্জক নয়। বাংলাদেশে ভূমি, শিক্ষা ও ধর্মীয় আচার পালনের স্বাধীনতা থাকলেও মানবাধিকার এবং আইনের শাসন ঠিকমতো কাজ করছে না। এক্ষেত্রে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সাম্প্রতিক দেশের সুনাম ক্ষুণ্নের জন্য একটি বিশেষ শ্রেণী পারস্পরিক সম্প্রীতি ধ্বংসের নীলনকশায় মত্ত হয়েছে, যা দেশের জন্য কল্যাণ নয়। কঙ্বাজারের রামুর ঘটনা আমাদের চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে। লতিফ সিদ্দিকীর ভেল্কি আমাদের আরও বেশি যত্নবান হওয়ার সুযোগ করে দিয়েছে। রাষ্ট্র ও সরকারকে এক্ষেত্রে যত্নবান হতে হবে। বাংলাদেশ একটি গণতান্ত্রিক দেশ। গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত থাকলে মানবাধিকার সুপ্রতিষ্ঠিত থাকবে এবং গণতন্ত্র ধ্বংস হলে মানবাধিকারের ভিত্তি নড়বড়ে হয়ে লঙ্ঘিত হবে মানবাধিকার। আন্তর্জাতিক গোষ্ঠী গুম, খুন ও রাজনৈতিক বিষয় সামনে রেখে এদেশকে ব্যর্থ রাষ্ট্র করার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। আমাদের কাম্য নয় ইলিয়াস আলী, চৌধুরী আলমের গুম বা সারা দেশের রাজনৈতিক পরিচয়ে হত্যাকান্ডের। আমাদের গৌরব সেনাবাহিনী, যাদের একটি অংশ র‌্যাবে কাজ করছে। খোদ র‌্যাবের তদন্তে প্রমাণিত হচ্ছে- মেজর, কর্নেলদের গুম, খুনের সঙ্গে জড়িয়ে থাকার বিষয়টি। জাতিসংঘে শান্তি বাহিনীতে সর্বাধিক নিরাপত্তা কর্মী বাংলাদেশের। এর পরে ভারতের অবস্থান। দেশের আর্থসামাজিক উন্নয়নে তাদের অবদান অনস্বীকার্য; অথচ জাতিসংঘ মিশনে পুলিশ সদস্য নিয়ে প্রশ্ন তোলা হয়েছে। বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীর সদস্যদের বাদ দেয়ার বিষয়টি এসেছে, যা বাংলাদেশের জন্য অনাকাঙ্ক্ষিত। সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ প্রতিবাদ নয়। সহিংসতা এবং ধ্বংসাত্মক মানবাধিকার ও গণতন্ত্র পৃথক কোনো বিষয় না হলেও পৃথিবীব্যাপী ক্ষমতাসীনদের অনেক বিজ্ঞজনরাও ভিন্নভাবে দেখা কিংবা উপস্থাপনের চেষ্টা করেন। তবে 'গণতন্ত্র' মানে শুধু নির্বাচন নয়, রাষ্ট্রগঠনের প্রক্রিয়া ও ভিত্তি নির্মাণের গোড়া থেকেই জনগণের ইচ্ছা-অভিপ্রায় নিশ্চিত করা। জনগণের সে ইচ্ছা ও অভিপ্রায় রাষ্ট্র পরিচালনার সবক্ষেত্রে নিশ্চিত করা না গেলে তাকে 'গণতন্ত্র' বলা যায় না। নিজের অধিকারের উপলব্ধির মধ্য দিয়েই অপরের অধিকার এবং নিজেদের সমষ্টিগত অধিকার ও দায়দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হওয়া এবং তা বাস্তবায়ন করা সম্ভব। ব্যক্তির যে মর্যাদা অলঙ্ঘনীয়, প্রাণ, পরিবেশ ও জীবিকার যে নিশ্চয়তা বিধান করা ছাড়া রাষ্ট্র নিজের ন্যায্যতা লাভ করতে পারে না এবং যেসব নাগরিক অধিকার সংসদের কোনো আইন, বিচারবিভাগীয় রায় বা নির্বাহী আদেশে রহিত করা যায় না, সেসব অলঙ্ঘনীয় অধিকার অবশ্যই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রগঠনের ভিত্তি হওয়া উচিত। সহিংসতা ও ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম কোনোভাবেই আইনসিদ্ধ প্রতিবাদের সংজ্ঞায় পড়ে না। অপরাধের বিচার না হলে জনগণের মধ্যে এটি একটি ভুল বার্তা হিসেবে উপস্থিত হয়, যা পরবর্তী সময়ে অপরাধের প্রতি অপরাধীদের আরও উৎসাহী করে তোলে। অপরাধ যত পুরনোই হোক, বিচারের কাঠগড়ায় এটিকে আনতেই হবে। আইনের শাসন অব্যাহত রাখতেই সব সময় এটি প্রয়োজন। তবে এ বিচার যেন স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ হয়, এটিও আমরা বারবার বলে আসছি। শেখ মোহাম্মদ জাকির হোসেন আইনজীবী ও কলাম লেখক। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-১২-০১৪:
Link copied!