বেরোবির উপাচার্যের অপসারণ দাবি শিক্ষক সমিতির
একুশে সংবাদ : রংপুর বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে (বেরোবি) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে এম নূর-উন-নবীকে অপসারণের দাবি করেছেন শিক্ষক সমিতি।
রোববার দুপুরে তারা ঘণ্টাব্যাপী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের দক্ষিণ গেটে আলোচনা সভায় এ দাবি তুলে ধরেন। এতে বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
পরে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসটি উপলক্ষে সকালে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অদূরে দমদমায় বদ্ধভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। সেখানে দাঁড়িয়ে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয় এবং স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ওই স্থানে নিহতদের স্মৃতিচারণ করা হয়। এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের সদস্যবৃন্দ, বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মী এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে দিবসটি উপলক্ষে মৌন শোভাযাত্রা বের করে শিক্ষক সমিতি।
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের আলোচনায় শিক্ষকবৃন্দ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের ত্যাগের কথা স্মরণ করার মতো পরিবেশও বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। উপাচার্য তার একনায়কতান্ত্রিক আচরণের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটিকে ধ্বংসের দ্বার প্রান্তে নিয়ে গেছেন।
আলোচনায় অংশ নেন শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ড. পরিমল চন্দ্র বর্মন, গনিত বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. আর এম হাফিজুর রহমান, পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. মো: গাজী মাজহারুল আনোয়ার, মার্কেটিং বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ফেরদৌস রহমান, ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক রফিউল আজম খান প্রমুখ।
বিভিন্ন দাবি আদায়ের লক্ষ্যে শিক্ষক সমিতির ২৭ অক্টোবর থেকে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছেন । আন্দোলনের অংশ হিসেবে শিক্ষকরা প্রশাসনিক ও একাডেমিক পদসমূহ থেকে গণপদত্যাগ, উপাচার্যকে বয়কট, প্রশাসনিক ভবনের সামনে প্রতিবাদ অবস্থানসহ নানা কর্মসূচি পালন করে আসছেন।
সর্বশেষ উপাচার্যকে অবাঞ্ছিত করে প্রশাসনিক ভবন বন্ধ করে ৭২ ঘন্টা সময়ও দেওয়া হয়েছিল প্রশাসনকে। এর পরেও দাবিসমূহ মেনে না নেওয়া উপাচার্যকে অপসারণের আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-১২-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :