তরুণ সমাজে সেক্সটিং বিপর্যয়!
একুশে সংবাদ : তরুণদের মধ্যে ফটো মেসেজিং অ্যাপ্লিকেসনের ব্যবহার যেমন বাড়ছে, তেমনি বাড়ছে সেক্সটিং বা যৌনতাপূর্ণ ম্যাসেজের আদান-প্রদান। সেক্সটিং আসলে ‘সেক্স’ আর ‘টেস্কটিং’ শব্দ দুটি মিলে তৈরি উত্তেজক এক চ্যাটিং অ্যাপলিকেশন। ইন্টারনেটের স্ন্যাপচ্যাট, অরকুট বা ফেসবুকের মতো যোগাযোগ মাধ্যমে তরুণেরা এখন প্রায়ই নিজেদের খোলামেলা ছবি বন্ধুদের কাছে শেয়ার করছে নির্দ্বিধায়। আর এখানেই ঘটছে নানা রকম বিপত্তি।
সেক্সটিং তরুণদের কাছে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ক্রমবর্ধমান এক ট্রেন্ড। দারুনভাবে আসক্ত হয়ে পড়ছে এই নেশাতে। কিন্তু তারা জানতেই পারছেন না মুহূর্তের মধ্যে সেই ছবিগুলো ছড়িয়ে পড়ছে সারা পৃথিবীতে। ইন্টারনেটে ওত পেতে থাকা পিডোফাইলদের (শিশুদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চায় যারা) বিকৃত যৌনাকাঙ্ক্ষার বিষয়বস্তু হয়ে উঠছে সেই ছবিগুলো। পিডোফাইলদের কাছে তাদের ছবি বিক্রি করে মুনাফাও লুটছে বহুব্যক্তি বা চক্র।
ইন্টারনেট ওয়াচ ফাউন্ডেশন (আইডব্লুউএফ) নামের একটি সংস্থা জানিয়েছেন, টিনএজাররা ইন্টারনেটে বন্ধুদের মধ্যে নিজেদের খোলামেলা সেক্সি সেলফি পোস্ট করে কালো চক্রের লক্ষ্যে পরিণত হয়েছে। এই কালো চক্রটি ইন্টারনেট থেকে সেসব ছবি যোগাড় করে পিডোফাইলদের সরবারহ করে।
সংস্থাটির গবেষণায় পাওয়া গেছে, যুক্তরাষ্ট্রের ৫২.৩ ভাগ তরুণ-তরুণী তাদের সঙ্গীদের কাছ থেকেই এ ধরনের হয়রানির শিকার হচ্ছে। গবেষণায় অংশগ্রহণকারী ৫৫ ভাগ নারী বলেন, তারা অতীতে সেক্সটিংয়ে জড়িত ছিলেন। অন্যদিকে ৪৮ ভাগ পুরুষ এতে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
শুধু যুক্তরাষ্ট্রেই নয়, সেক্সটিং বেড়ে চলেছে বাংলাদেশেও। নানা ওয়েবসাইটের বদৌলতে তার প্রমাণও পাওয়া গেছে। আমাদের দেশে বিশেষ করে উচ্চ মধ্যবিত্ত ও উচ্চবিত্ত পরিবারবারের কিশোররা আবেগপ্রবণ, অরক্ষিত, একাকী এবং মা-বাবার স্নেহহীনভাবে বেড়ে উঠছে।
মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, ইন্টারনেটের সহজলভ্যতা এবং স্মার্টফোনের জনপ্রিয়তা কিশোর বয়সীদের মধ্যে সেক্সটিং বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। তাই সন্তানকে বোঝাতে হবে মোবাইল ফোন ব্যবহারের নিরাপদ দিকগুলো।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৫-১২-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :