আর লাগবে না কনডম !
একুশে সংবাদ : জন্মনিয়ন্ত্রণ পিল গ্রহণে বমি বমি ভাব, মাথা ব্যথা, স্তন ব্যথা, ওজন বৃদ্ধি, উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগসহ নানা রকমের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কথা বলে থাকেন নারীরা। অনেক নারী আবার কনডমসহ অন্যান্য কৃত্রিম পদ্ধতি ব্যবহারে অনিচ্ছুক।
এসবের বিকল্প হিসেবে অনেকের পছন্দ ন্যাচারাল বা প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে ফ্যামিলি প্ল্যানিং। ন্যাচারাল ফ্যামিলি প্ল্যানিংয়ের অন্যতম পদ্ধতি হচ্ছে মহিলাদের দৈহিক তাপমাত্রা মেপে নিরাপদ সময় বের করা।
মাসিক চক্রের প্রথমার্ধে তাপমাত্রা তুলনামূলক কম থাকে। পরে আস্তে আস্তে তাপমাত্রা বাড়তে থাকে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির পরিমাণ ০.২ থেকে ০.৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস হতে পারে। ডিম্বাণু পরিস্ফুটনের সময় তাপমাত্রা সর্বোচ্চ বৃদ্ধি পায়। এ সময়টা খুবই ঝুঁকিপূর্ণ। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা বৃদ্ধির ৩দিন পর আবার দৈহিক মিলন শুরু করলে গর্ভধারণের আর ঝুঁকি থাকে না।
তবে এই পদ্ধতি অনেকের কাছে ঝামেলাপূর্ণ ও জটিল মনে হয়। অনেকেই ওই তাপমাত্রার হিসাব ঠিকমতো রাখতে পারেন না। তবে তাদের এই দুশ্চিন্তার দিন শেষ হতে চলেছে।এই অসুবিধা দূর করতে সুইস দম্পতি ড. ইলিনা বার্গল্যান্ড এবং ড. রাউল স্কারউইজল উদ্ভাবন করেছেন বিশেষ এক অ্যাপ।
এই অ্যাপের মাধ্যমে তাপমাত্রা পরিমাপ করে জানা যাবে ঝুঁকিপূর্ণ ও নিরাপদ সময়ের খবর। আর ঝুঁকিপূর্ণ সময়েই দৈহিক সম্পর্ক আপনাকে পিতৃত্ব কিংবা মাতৃত্বের স্বাদ এনে দিতে পারে। চাইলে এই সময়ে মিলন বিরতিতে আপনি গর্ভনিরোধ করতে পারেন।
এ ক্ষেত্রে অ্যাপটিতে ভোরবেলা বিছানা ত্যাগের আগ মুহূর্তে দৈহিক তাপমাত্রা ইনপুট করতে হবে। অ্যাপই জানিয়ে দেবে আপানার অবস্থা।
বার্গল্যান্ড বলেন, এই অ্যাপের সুফল পেয়ে প্রতিদিন প্রচুর নারী আমাদের মেইল করছেন এবং তারা অনেক নিরাপদ বোধ করছেন বলে জানিয়েছেন।
অ্যাপটির উদ্ভাবক এই দম্পতিও এই পদ্ধতি ব্যবহার করছেন। অ্যালবা নামে তাদের ৬ মাস বয়সী একটি কন্যা সন্তান আছে।
ড. বার্গল্যান্ড সার্নের গবেষক ছিলেন। তবে প্রাকৃতিক গর্ভনিরোধ পদ্ধতি কীভাবে আরও কার্যকর করা যায় সে ব্যাপারে গবেষণা করার জন্য সে চাকরি ছেড়েছেন তিনি।
বর্তমানে যুক্তরাজ্যের বাজারে এই অ্যাপ পাওয়া যাচ্ছে এবং ১০ হাজার নারী এটি ব্যবহার করছেন।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১২-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :