AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ, ডলফিন ও গাঙ্গেয়


Ekushey Sangbad

০৩:১৭ পিএম, ডিসেম্বর ১৯, ২০১৪
হুমকির মুখে সুন্দরবনের বাঘ, ডলফিন ও গাঙ্গেয়

একুশে সংবাদ : সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে ট্যাংকারডুবির ঘটনায় তেল ছড়িয়ে পড়ায় হুমকির মুখে পড়েছে রয়েল বেঙ্গল টাইগার, বিরল প্রজাতির ডলফিন ইরাবতী ও গাঙ্গেয়। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিকের ওয়েবসাইটে ১৬ ডিসেম্বর প্রকাশ করা এক প্রতিবেদনে এ শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ৯ ডিসেম্বর বিশ্ব ঐতিহ্য সুন্দরবনের শ্যালা নদীতে একটি কার্গোর ধাক্কায় জ্বালানি তেলবাহী সাউদার্ন স্টার-৭ ট্যাংকার ডুবে যায়। ট্যাংকারটিতে ৯২ হাজার গ্যালন তেল ছিল। সুন্দরবনের প্রধান বন কর্মকর্তা আমির হোসাইনের বরাতে বলা হয়েছে, চাঁদপাই রেঞ্জে ডলফিনের অভয়াশ্রমের কাছেই ট্যাংকারডুবির ঘটনায় অন্তত ৫২ হাজার গ্যালন তেল ছড়িয়ে পড়ে। শ্যালা ও পশুর নদীর ৬৪ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে তেল ছড়িয়ে পড়েছে বলেও জানান তিনি। টেলিভিশনের ফুটেজ ও স্থানীয়দের বরাতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুন্দরবনের খাল ও ম্যানগ্রোভ গাছগুলোর শ্বাসমূলের ওপর তেলের আবরণ লক্ষ্য করা গেছে। এ ছাড়া মাছ মরে ভেসে উঠতে দেখা গেছে। তেল ছড়িয়ে পড়ার পর সরকার তা অপসারণে কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। স্থানীয় জেলেরা জাল দিয়ে তেল উঠাচ্ছে। সেগুলো লিটারপ্রতি ৩০ টাকার বিনিময়ে কিনে নিচ্ছে তেল কোম্পানি। প্রতিবেদনটিতে বিশেষজ্ঞদের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, এ অবস্থায় বিপন্নের হুমকির মধ্যে পড়েছে বিরল প্রজাতির দুই ডলফিন—ইরাবতী ও গাঙ্গেয়। বাসস্থান সঙ্কট ছাড়াও তেলের ক্ষতিকারক উপাদান তাদের অস্তিত্ব হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। নিউইয়র্কভিত্তিক ওয়াইল্ডলাইফ কনজারভেশন সোসাইটি ২০১১ সালে জানায়, বাংলাদেশের সুন্দরবন অঞ্চলে প্রায় ৬ হাজার ইরাবতী ডলফিন রয়েছে। বিশ্বের অনেক অঞ্চল থেকে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই প্রজাতির ডলফিন এক সঙ্গে এতগুলো পাওয়ায় তাদের টিকে থাকার ব্যাপারে তখন আশান্বিত হন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া তেলের প্রভাবে হুমকির মুখে পড়েছে বিশ্বখ্যাত রয়েল বেঙ্গল টাইগারও। সুন্দরবনে ইতোমধ্যে কমে আসা বাঘের সংখ্যা ক্রমে আরও হ্রাস পেতে পারে বলে শঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। পাশাপাশি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দুর্ঘটনাটি বর্ষাকালে না ঘটে শীতকালে ঘটায় সুন্দরবনের ক্ষতি অনেকটা কম হবে। বর্ষাকালে এ ধরনের ঘটনা ঘটলে তেল আরও বৃহৎ অংশজুড়ে ছড়িয়ে পড়ত। ন্যাশনাল জিওগ্রাফিক ছাড়াও এর আগে জাতিসংঘ, বিভিন্ন পরিবেশবাদী সংস্থা ও বিশেষজ্ঞরা এ ধরনের শঙ্কার কথা ব্যক্ত করেন। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১২-০১৪:
Link copied!