একুশে সংবাদ : রাজধানীর বাজারগুলোতে পেঁয়াজের দর আরেক দফা কমেছে। নতুন পেঁয়াজের আমদানি বাড়ার কারণে দাম কমতির দিকে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়িরা। এছাড়া শীতকালীন সবজির দর স্বাভাবিক আছে। শুক্রবার রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে এসব তথ্য জানা গেছে। রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজারে গিয়ে দেখা গেছে, মান ভেদে প্রতি কেজি নতুন পেঁয়াজের দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা। যা গত সপ্তাহে ২৮ টাকা থেকে ৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি পেঁয়াজের পাশাপাশি বিদেশি পেঁয়াজের দামও কমেছে। বিদেশি পেঁয়াজ ১৮ টাকা থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। নতুন পেঁয়াজের পাশাপাশি পুরোনো পেঁয়াজের দর প্রতি কেজিতে ২ থেকে ৫ টাকা কমেছে। পুরোনো পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৮ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়। এদিকে রসুনের দাম খুচরা বাজারে কিছুটা বেড়েছে। তবে প্রাইকারী বাজারে দর অপরিবর্তিত আছে বলে জানা গেছে। খুচরা বাজারে প্রতি কেজি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৮৫ টাকায়। যা আগের সপ্তাহে ছিল ৮০ টাকা। তবে পাইকারী বাজারে প্রতি কেজি দেশি রসুন বিক্রি হচ্ছে ৬৫ থেকে ৭২ টাকায়। পেঁয়াজের দর সম্পর্কে শ্যামবাজারের বরিশাল ট্রেড সেন্টারের সত্ত্বাধিকারী মালেক হাওলাদার জানান, নতুন পেঁয়াজ বাজারে আমাদানি বেশি থাকায় দর কমতির দিকে। তবে আমদানি কমে গেলে দর বাড়বে বলে মনে করেন তিনি। মেসার্স লক্ষ্মী বাণিজ্যালয়ের অভিজিৎ রায় জানান, পেঁয়াজ-রসুনের দর আগের চেয়ে অনেকটা কমেছে। বিশেষ করে সপ্তাহের ব্যবধানে পেঁয়াজের দর কেজি প্রতি পাইকারী বাজারে ৪ থেকে ৫ টাকা কমেছে। তাছাড়া রসুন আগের দরেই বিক্রি হচ্ছে। এদিকে খিলগাঁও কাঁচাবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী সোবহান জানান, দর কমার কারণে নতুন পেঁয়াজ বেশি বিক্রি হচ্ছে। পাইকারী বাজারে পেঁয়াজের দর আরেক দফা কমার কারণে খুচরা বাজারে পেঁয়াজের দর কমেছে। এদিকে বাজারে ডিমের দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি হালি ব্রয়লার মুরগির লাল ডিমের পাইকারী দম ২৯ টাকা। যা খুচরা বাজারে ৩২ টাকা থেকে ৩৬ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি হালি সাদা ডিমের দাম ৩৫ টাকা থেকে ৩৬ টাকা। যা খুচরা বাজারে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। হাঁসের ডিমের দাম প্রতি হালি ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা পাইকারী বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৩৬ টাকা থেকে ৩৭ টাকায়। কাঁচাবাজারে অধিকাংশ পণ্যের দর অপরিবর্তিত আছে। তবে আলুর দর আগের চেয়ে কিছুটা কমেছে। বর্তমান বাজারে প্রতি কেজি আলু ২০ থেকে ২৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গত সপ্তাহে বিক্রি হয়েছে ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকা। খুচরা বাজারে মান ভেদে প্রতি কেজি শিমের দাম ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকা, পেঁপে ৮ টাকা থেকে ১২ টাকায়, করলা ১৮ টাকা থেকে ২২ টাকায়, শশা ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, জলপাই ২০ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, গাজর ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, পটল ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, ফুলকপি প্রতিটি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়, বাঁধাকপি ১০ টাকা থেকে ১৫ টাকায়, কুমড়া ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, মুলা ১০ টাকা থেকে ১২ টাকায়, বেগুন ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, ঢেঁড়স ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, বরবটি ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, মরিচ ৩০ টাকা থেকে ৩৫ টাকায়, লাউ (ছোট) ২০ টাকা থেকে ২৫ টাকায়, লাউ (বড়) ২৫ টাকা থেকে ৩০ টাকায়, শালগম ১৫ টাকা থেকে ২০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এসব পণ্য পাইকারী বাজার থেকে খুচরা বাজারে প্রতি কেজি ৫ থেকে ১০ টাকা লাভে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া খুচরা বাজারে সবুজ শাক প্রতি আটি ৫ টাকা, লাউ শাক ১০ টাকা, লাল শাক ৫ টাকা, মুলা শাক ৪ থেকে ৫ টাকা, পুঁইশাক ৫ টাকা থেকে ১০ টাকা, ডাটা ১০ টাকা থেকে ১২ টাকা, কলমি শাক ৫ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। খুচরা বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম অপরিবর্তিত আছে। প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি সাদা ১২০ টাকা থেকে ১৩০ টাকা এবং লাল মুরগি ১৩০ থেকে ১৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গরুর মাংস ২৮০ থেকে ৫০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা আগের সপ্তাহে একই দরে বিক্রি হয়েছিল। রাজধানীর খিলগাঁও, মালিবাগ, শান্তিনগর, সেগুনবাগিচাসহ বেশ কয়েকটি বাজারের ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলাপকালে তারা জানান, শীতকালীন পণ্যের সরবরাহ যথেষ্ট থাকায় পণ্যের দর স্থিতিশীল। শ্যামবাজার পাইকারী কাঁচাবাজার ব্যবসায়ী নেতা মনুয়ার হোসেন বলেন, ‘শীতকালীন কাঁচাপণ্য প্রতিদিন যথেষ্ট পরিমাণ আমদানি হচ্ছে। এ কারণে পণ্যের দর স্বাভাবিক অবস্থায় আছে।’ কাঁচা পণ্য আমদানি যত বাড়বে ততই বাজার স্থিতিশীল থাকবে বলে মনে করেন তিনি। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-১২-০১৪: