কৃষক বাঁচাতে আন্দোলনের ডাক
কথিত উন্নয়ন, অপরিকল্পিত নগরায়ন ও আবাসনের নামে যথেচ্ছ আবাদি কৃষি জমি ধ্বংস করা হচ্ছে। সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের অপরিকল্পিত আবাসনের নামেও হাজার হাজার একর কৃষি জমি দখল ও নষ্ট করা হচ্ছে। এই অবস্থা চলতে থাকলে অদূর ভবিষ্যতে দেশের কৃষি উৎপাদন ও খাদ্য নিরাপত্তা চরম ঝুঁকির মধ্যে পড়বে।
শুক্রবার রাজধানীর পুরানা পল্টনে শহীদ তাজুল মিলনায়তনে বিপ্লবী কৃষক সংহতির কেন্দ্রীয় কাউন্সিলের উদ্বোধনী অধিবেশনে এসব কথা বলেন কৃষক সংহতির নেতারা।
ভূমিগ্রাসীদের কবল থেকে আবাদি কৃষি জমি রক্ষা করার দাবি জানিয়ে বক্তারা বলেন, ‘মোট কর্মসংস্থানের ৫০ ভাগ কৃষিতে নিয়োজিত থাকলেও কৃষিখাত এখনও অবহেলার শিকার। কৃষি বাজারে অধিকাংশ কৃষকের শক্তিশালী অবস্থান না থাকায় প্রকৃত চাষী কিনতেও ঠকে আবার বেচতেও ঠকে। কৃষিখাতে প্রদত্ত ভর্তুকির দ্বারা গরীব ও প্রান্তিক চাষী বিশেষ লাভবান হয় না।
আরো বলা হয়, সরকারের ভুলনীতির কারণে কৃষি উৎপাদন আর লাভজনক থাকছে না। তাছাড়া বীজ ও কৃষি উপকরণের উপর সাম্রাজ্যবাদী বহুজাতিক কোম্পানির কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় কৃষি বড় বিপদে পড়েছে। জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ অবস্থা মোকাবেলা করতে না পারায় কৃষক দিন দিন অসহায় হয়ে পড়ছে।
এই অবস্থায় কৃষির পশ্চাৎপদতা দূর করে কৃষি ও কৃষক বাঁচাতে ঐক্যবদ্ধ কৃষক আন্দোলন গড়ে তোলার আহ্বান জানান বক্তারা।
সংগঠনের সভাপতি আনসার আলী দুলালের সভাপতিত্বে কাউন্সিলের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক।
বক্তব্য রাখেন- কৃষক সংগ্রাম সমিতির সভাপতি শ্যামল ভৌমিক, বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ জহির চন্দন, সমাজতান্ত্রিক কৃষক খেতমজুর ফ্রন্টের সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশিদ ফিরোজ, ইউনাইটেড কমিউনিস্ট লীগের সাধারণ সম্পাদক মোশাররফ হোসেন নান্নু, ইঞ্জি. ম. ইনামুল হক, বিশিষ্ট মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর, ভূমিহীন সমিতির সাধারণ সম্পাদক সুবল সরকার, সমাজতান্ত্রিক খেতমজুর কৃষক ফ্রন্টের নেতা দলেলুর রহমান দুলাল, শ্রমজীবী নারী মৈত্রীর আহ্বায়ক বহ্নিশিখা জামালী, খেতমজুর ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় নেতা মোজাম্মেল হোসেন, বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতির আহ্বায়ক আকবর খান, সংহতি স্মৃতি সংসদের আহ্বায়ক এ্যাপোলো জামালী, বিপ্লবী ছাত্র সংহতির সাধারণ সম্পাদক ফায়জুর রহমান মনির প্রমুখ।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২০-১২-০১৪:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :