AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

যৌনতা এবং যৌনস্বাস্থ্য...


Ekushey Sangbad

০৯:৫৯ এএম, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪
যৌনতা এবং যৌনস্বাস্থ্য...

একুশে সংবাদ : মানুষের যৌনতা কেবল জৈবিক ঐতিহ্য ও ধারাকেই সমুন্নত করে না। বরং এটি একটি আন্তঃসম্পর্ক তৈরি করে এবং জীববিদ্যা, মনোবিদ্যা ও সামাজিক সংস্কৃতির ওপর এটি প্রভাব সৃষ্টি করে। যৌনতা মানুষের জীবন এবং মনের ওপর প্রভাব সৃষ্টি করে। মানুষের মনোজগতের ওপরও এর ভূমিকা আছে। তবে আমরা অনেকেই যৌনস্বাস্থ্য সম্বন্ধে অবগত নই। অনেক ক্ষেত্রে কেবল যৌনকর্মকেই অনেকেই যৌনস্বাস্থ্য মনে করে থাকেন। আসলে যৌনস্বাস্থ্য সম্পূর্ণ একটি স্বতন্ত্র বিষয়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, যৌনস্বাস্থ্যের বর্ণনা হলো এরকম-যৌনস্বাস্থ্য হলো দৈহিক আবেগ এবং উভয়ের যৌন অংশগ্রহণে এটি পরিচালিত হয় এবং এর ফলে ব্যক্তিত্ব, যোগাযোগ এবং ভালোবাসা দৃঢ় হয়। যৌনতার ধারা: ছোটবেলা থেকেই অনেকের মনেই কিন্তু ক্রোমোজমসংক্রান্ত অল্প বিস্তর ধারণা থাকে এবং অনেকেই এই সময়ে যৌনতা কী এ ব্যাপারে জানতে আগ্রহী হয়ে ওঠে। অথচ দেখা যাচ্ছে প্রয়োজনেই সঠিকভাবে তারা যৌনতা সম্পর্কে জানতে পারে না। বিভিন্ন ফ্যাক্টরভেদে পরবর্তী সময়ে যৌনতা সম্পর্কে মানুষ জ্ঞান লাভ করতে শেখে। আমাদের দেশের প্রেক্ষাপটে কিংবা উপমহাদেশের প্রেক্ষাপটে যৌনতাসম্পর্কিত বিভিন্ন ভ্রান্ত ধারণা অনেকেরই আছে। ভারতীয় বহু অঞ্চলে এর প্রসার একটু বেশি।যৌনতার শুরুতে এখানে লিঙ্গ হলো নারী এবং পুরুষ। এখানে লিঙ্গ পরিবর্তনের মাধ্যমেই সরাসরি এবং সপষ্টভাবে যৌনতার স্বরূপ বোঝা যেতে পারে। জীববিদ্যা সম্পর্কিত বিভিন্ন ব্যাখ্যাতেও যৌনতাসম্পর্কিত বিস্তর আলোচনার কথা আমরা বুঝতে পারি। আমাদের এই আলোচনায় যৌনতা এবং যৌনজীবন সম্পর্কিত কয়েকটি বিশেষ বিষয় দৃষ্টিপাত করা হবে। মানুষের যৌনসাড়া: মাস্টার এবং জনসন যারা বিজ্ঞানসমমত মনোদৈহিক যৌন বিভিন্ন আচরণের ওপর প্রথম গবেষণা করেন তাদের মতে, মানুষের যৌন সাড়া জাগাতে বা যৌনতার অনুভূতি এবং তৎসম্পর্কিত যৌন উদ্দীপনা এবং চরমপুলকের বিষয়টি মূলত যৌন ইন্দ্রিয়কে উদ্দীপিত করার ফলেই ঘটে থাকে এবং মানুষের মস্তিষক এই নিয়ে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখে। নারী এবং পুরুষের যৌন উদ্দীপনা একই সাথে শুরু করা হয় না। বহু ক্ষেত্রে নারীর উদ্দীপনা পুরুষের চেয়ে খুবই লঘু এবং ধীরগতিতে সৃষ্টি হতে থাকে। কিন্তু পরবর্তীতে তা অতিরিক্ত সময় স্থায়ী হতে পারে অর্থাৎ নারীর যৌন সাড়া সৃষ্টির পর থেকে তা স্থায়িত্বের সাথে পুরুষের উদ্দীপনার স্থায়িত্বের সময়ের চেয়ে বেশি। পুরুষ এবং নারীর যৌন উদ্দীপনার জন্য কয়েকটি ইন্দ্রিয় বা যৌনাঙ্গ ব্যাপকভাবে কাজ করে। পুরুষের প্রধান যৌনাঙ্গ হলো তার লিঙ্গ। এটি হলো পুরুষের বাহ্যিক যৌনাঙ্গ। নারীর মতো পুরুষের অন্তর্গত কোনো যৌনাঙ্গ নেই। পুরুষের অণ্ডথলিতে বীর্য এবং শুক্র উৎপন্ন হয়। দৈহিক মিলনের সময় এই শুক্র বীর্যের মাধ্যমে পুরুষের লিঙ্গ থেকে বের হয়ে আসে এবং এই সময়ে পুরুষ চরমপুলক লাভ করে। সাধারণত পুরুষের লিঙ্গের আকার নিয়ে সব সময়ই বহু পুরুষকে উদ্বিগ্ন থাকতে দেখা যায়। অথচ এটি একটি তুলনামূলক অহেতুক এবং অনর্থক যৌনচিন্তা। পুরুষের লিঙ্গের বিশেষ করে এশিয়াতে পুরুষের লিঙ্গের গড় দৈর্ঘ্য ৫ থেকে সাড়ে ৫ ইঞ্চি। তবে অনেকের ক্ষেত্রে এর ব্যতিক্রম থাকতে পারে। যেমন কারো কারো লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৬ থেকে ৮ ইঞ্চি আবার অনেকের লিঙ্গের দৈর্ঘ্য ৪ থেকে সাড়ে ৪ ইঞ্চি হতে পারে, তবে উভয় অবস্থাতেই যৌনমিলন সম্ভব। পুরুষের উত্তেজনার মূল কেন্দ্রস্থল হলো লিঙ্গ। লিঙ্গের উত্থানই পুরুষের মূল যৌনশক্তি। অপরদিকে নারীর বাহ্যিক যৌনাঙ্গ এবং অন্তর্গত যৌনাঙ্গ রয়েছে। বাহ্যিক যৌনাঙ্গের মধ্যে নারীর ক্লাইটোরিস বা ভগাঙ্কুর সবচেয়ে বেশি যৌন সপর্শকাতর অঙ্গ। পুরুষ নারীর এই যৌনাঙ্গে সপর্শের মাধ্যমে নারীকে চরমপুলকের দিকে নিয়ে যেতে পারে। পুরুষ এবং নারী উভয়েরই যৌন উত্তেজনার সময়ে তাদের রক্তচাপের পরিমাণ বেড়ে যায়। পুরুষের ক্ষেত্রে হার্টবিট, হৃদসপন্দন প্রতি মিনিটে ১০০ থেকে ১৭৫ মিনিটে উঠে যায় এবং নারীর ক্ষেত্রে তা প্রতি মিনিটে ৮০ থেকে ১৫০ পর্যন্ত হতে পারে। পুরুষ এবং নারীর যৌথ উত্তেজনার শেষ পর্যায় হলো চরমপুলক। এই সময়ে পুরুষের বীর্যপাত ঘটে এবং নারীর চরম তৃপ্তি আসে। এটি শারীরিক যৌন টেনশনকে কমাতে পারে। চরমপুলকের সময় পুরুষ এবং নারীর দৈহিক এবং মানসিক অস্থিরতাও বেড়ে যায়। যা চরমপুলকের পর একেবারে কমে যায়। তবে সাধারণভাবে যে কয়টি বিষয় পুরুষ এবং নারীর যৌন মাত্রার জন্য প্রয়োজন তা হলো, উভয়ের যৌন হরমোনের স্বাভাবিকতা, নারীর যোনির আর্দ্রতা, পুরুষের লিঙ্গের দৃঢ়তা এবং সঠিক উত্থানে যৌনতার প্রতি উভয়ের আকর্ষণ। পুরুষের যৌন হরমোন হলো টেস্টোস্টেরন এবং নারীর যৌন হরমোন হলো ইস্ট্রোজেন। সাধারণত সকালের দিকে পুরুষের যৌন হরমোন সবচেয়ে বেশি মাত্রায় শরীরে অবস্থান করে এবং এ জন্য সকালের দিকে যৌন আকর্ষণ এবং ক্ষমতা একটু বেশি থাকে। যৌনতা এবং বয়স: পুরুষ এবং নারীর মধ্য বয়সে যৌনতার আকর্ষণ এবং ক্ষমতা থাকে সবচেয়ে বেশি। কৈশোরকালীন সময়ে পুরুষ এবং নারী যৌবনপ্রাপ্তির পর থেকে মোটামুটি ৪০-৫০ বছর সময় পর্যন্ত তারা যৌনমিলনে সক্রিয় থাকতে পারে। তবে মধ্য বয়সে যৌনতার প্রতি আকর্ষণ থাকে তুলনামূলকভাবে বেশি। নারীর মেনোপজের সময় তার রজঃনিবৃত্তির সূচনা করে। এটি অনেক নারীকেই যৌনতার প্রতি উদাসীন করে তোলে। আমাদের দেশে প্রায় ক্ষেত্রে ৪৫ বছরের পর নারীদের যৌন সচেতনতা দেখা যায় না। পুরুষদের ক্ষেত্রে এই সময়ের কাছাকাছি বা ৫০ বছরের মধ্যেই যৌন ক্ষমতা ফুরিয়ে যেতে দেখা যায়। মানুষের বয়স বাড়ার সাথে সাথে যৌন ইচ্ছার কমতির কারণ হলো যৌন হরমোন কমে যাওয়া। তবে নানাবিধ শারীরিক এবং মানসিক কারণেও পুরুষ এবং নারীর যৌন ইচ্ছা এবং যৌনশক্তি কমে যেতে পারে। আর্থ্রাইটিস, উচ্চরক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং ক্যান্সারজাতীয় শারীরিক অসুস্থতা যৌনতার ওপর প্রভাব ফেলে। তেমনি নানাবিধ মানসিক অসুস্থতাও যৌন ইচ্ছা এবং ক্ষমতাকে নষ্ট করে দিতে পারে। যাতে পুরুষ এবং নারী উভয়ই আক্রান্ত হতে পারে।sex-3.jpg যৌনতার বিভিন্নতা: আমাদের সমাজে কিংবা দেশেই কেবল নয় বরং পৃথিবীজুড়ে যৌনতার বিভিন্নতা পরিলক্ষিত হয়। যৌন ব্যবহারের বিভিন্নতাই যৌনতার বিভিন্নতা। বিভিন্ন দেশে সাংস্কৃতিক পরিমণ্ডলে যৌনতার ব্যবহারের ব্যাপক পরিবর্তন হতে পারে। মানুষের যৌন আচরণের বিভিন্ন পার্থক্য বিভিন্ন শারীরিক এবং মানসিক কারণে ঘটতে পারে। তবে পাশ্চাত্যে নানাবিধ সাইকোলজিক্যাল বিহেভিয়ার যা কিনা যৌনতাতে বিভিন্নতা নিয়ে আসতে পারে। যৌন সংস্কৃতি আবার একেকজনের কাছে একেকরকম হতে পারে। অনেকেই এতদকারণে যৌনতার বিভিন্নতা অবলম্বন করে যে কারণে আমরা বিভিন্ন প্রকার যৌন আচরণের সাথে পরিচিত হতে পারি। তবে অধিকাংশ ক্ষেত্রে মনোরোগ বিশেষজ্ঞদের মতে, এগুলো হলো অসুস্থ যৌন মানসিকতা এবং অসুস্থ যৌনকর্ম। বিভিন্ন দেশে কিংবা আমাদের দেশেও সমকামী পুরুষ এবং নারী বিপরীতকামী পুরুষ এবং নারী, উভকামী পুরুষ এবং নারীর দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে, অনেকেই মানসিক কারণে কিংবা অনেকে বৈচিত্র্যপূর্ণ শারীরিক কারণে বিভিন্ন প্রকার যৌন ব্যবহারের সাথে সম্পৃক্ত। সমকামী পুরুষ কিংবা সমকামী নারী বস্তুত যৌনতার বৈচিত্র্যের জন্য এবং অনেক ক্ষেত্রে মানসিকতার জন্য এ জাতীয় যৌনতার প্রতি আকর্ষণ গড়ে তোলে। আবার কোনো কোনো ক্ষেত্রে পুরুষ কিংবা নারী একাধারে পুরুষ এবং নারী উভয়ের সাথে যৌনমিলনে রত হতে পারে। এ জাতীয় যৌন আচরণকে উভকামিতা বলে। পাশ্চাত্যে সমকামী পুরুষদের ‘গাই’ এবং নারীদের ‘লেসবিয়ান’ নামে ডাকা হয়। গাই এবং লেসবিয়ান আর্য সমমনা।এগুলো ছাড়াও আরো নানা ধরনের অদ্ভুত যৌন আচরণের বিষয়ও রয়েছে। যেমন জুফিলিয়া (তসসহভমলমথ) পশু-পাখির সাথে যৌনমিলন, ফেটিসিজম (ঋপয়মঢ়ভমঢ়শ) নেকরোফিলিয়া (ঘপধড়সহভমলমথ) এবং ভয়েরিজম (ঠসীপড়মঢ়শ) ইত্যাদি। এছাড়াও পরিবার পরিজনের নিকট আত্মীয় সম্পর্কের সাথেও যৌনমিলনকে ইনসেস্ট (ওষধপঢ়য়) বলে। যেমন বাবা মেয়ের সঙ্গে যৌনতা, চাচা ভাইঝির সাথে যৌনতা ইত্যাদি। আরেক ধরনের যৌন ব্যবহার রয়েছে যাকে স্যাডিজম বলে (ঝথনমঢ়শ)। এর ফলে যৌনতার সময়ে অপরকে ব্যথা দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়। আবার ঠিক এর উল্টোটিও আছে। একে বলে ম্যাজোইজম (গথঢ়সপভমঢ়শ)। এর ফলে নিজের ব্যথা পাবার আশঙ্কা থাকে। এই জাতীয় যৌন আচরণকে অসুস্থ যৌন মানসিকতা বলে।স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিষয়ের সাথে অসুস্থতার বিষয়টি জড়িত থাকা স্বাভাবিক। ঠিক তেমনি যৌনতার সাথেও অসুস্থতার একটি স্বাভাবিক সম্পর্ক রয়েছে। তবে নানাবিধ পারিপার্শ্বিক কারণে যৌন অসুস্থতা দেখা দিতে পারে। যেমন জীববিদ্যা সম্পর্কিত সমস্যা, ব্যবহারিক সমস্যা এবং সামাজিক পরিবেশগত সমস্যার প্রভাব ইত্যাদি। যৌন নানা সমস্যা কিংবা অসুস্থতার জন্য শারীরিক এবং মানসিক কিছু কারণও দায়ী হতে পারে। কোনো কোনো ক্ষেত্রে পেরিফেরাল স্নায়ুব্যবস্থা, কার্ডিওভাসকুলার ব্যবস্থা এবং যৌনাঙ্গের সমস্যার জন্য যৌনতার বিঘ্ন সৃষ্টি হতে পারে। পুরুষ এবং নারীর অনেক ক্ষেত্রে যৌনতার প্রতি ভীতি অনেক সময় যৌন অসুস্থতা সৃষ্টি করতে পারে। যৌন সমস্যার চিকিৎসা অনেক ধরনের যৌন সমস্যার জন্য নানাবিধ চিকিৎসার প্রয়োজন হয়ে পড়ে। যার দ্বারা এই সকল সমস্যার সমাধান হতে পারে। নারী এবং পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যতিক্রমধর্মী নানাবিধ যৌন সমস্যা সৃষ্টি হয়। বিশেষ করে নারীদের চেয়ে যৌন সমস্যায় পুরুষেরা ভোগে বেশি। অধিকাংশ পুরুষের ক্ষেত্রে হস্তমৈথুন সম্পর্কিত যৌন সমস্যা মধ্যবয়সে তাদের যৌনতার ওপর প্রভাব ফেলে। নারীদের ক্ষেত্রে বিভিন্ন মাত্রার যৌন সমস্যা হতে পারে। যেমন সাধারণ যৌন সমস্যা, চরমপুলকজনিত যৌন সমস্যা, ভ্যাজিনিসমাস, যৌন এনেসথেসিয়া এবং ডিসপ্যারেনিয়া। নারীর যোনির শুষকতা এবং চরমপুলক সম্পর্কে অজ্ঞানতা এবং এতদসংক্রান্ত যৌন সমস্যার কারণেও নারী অনেক সময় যৌনক্ষমতা এবং ইচ্ছা হারিয়ে ফেলতে পারে।এছাড়া ডিসপ্যারোনিয়া এবং ব্যথাপূর্ণ যৌনমিলনও নারীর জন্য যৌন সমস্যা। তবে নারীর বিভিন্ন বয়সে বিভিন্ন প্রকার যৌন সমস্যা হতে পারে। অনেক নারীর ক্ষেত্রে মেনোপজসংক্রান্ত যৌন সমস্যা দেখা দেয়। অনেক ক্ষেত্রে আবার নারীর পিরিয়ডসংক্রান্ত সাধারণ যৌন সমস্যা দেখা দিয়ে থাকে। তবে সর্বক্ষেত্রের যৌন সমস্যারই নির্দিষ্ট মেডিকেল অথবা থেরাপি রয়েছে। পুরুষের তিন ধরনের যৌন সমস্যা রয়েছে এগুলো পুরুষের প্রধান যৌন সমস্যা। এর মধ্যে উত্থান সমস্যা এবং অকাল বীর্যপাতের সমস্যা প্রধান। এছাড়া পুরুষের যৌন হরমোন এবং অণ্ডকোষের বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। যার প্রভাব পড়ে তার যৌনতায়। এই সমস্ত সমস্যারও নানাবিধ ডাক্তারি সমাধান রয়েছে। অনেক ক্ষেত্রে সার্জিক্যাল এবং থেরাপিউটিক চিকিৎসারও প্রয়োজন পড়ে। যৌনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্কতা: যৌনতা মানুষের জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ। কোনোমতেই তা অস্বীকার করার উপায় নেই। যৌনতার প্রতি আকর্ষণ এবং যৌন ক্ষমতা অনেক সময় নানা পারিপার্শ্বিক কারণে বিঘ্নিত হতে পারে। পুরুষের এবং নারীদের নানাবিধ এবং ব্যতিক্রমী যৌন সমস্যা এবং যৌনস্বাস্থ্য সম্পর্কিত অসুবিধা দেখা দিলেও এগুলোর চিকিৎসা এবং সমাধানের ব্যবস্থা রয়েছে উপযুক্তভাবে। তবে তা গ্রহণের মানসিকতা থাকতে হবে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে পুরুষ এবং নারী যৌন অসুবিধা থাকা সত্ত্বেও ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করতে সংকোচবোধ করে। এতে করে তাদের শারীরিক সমস্যা বাড়তে পারে এবং যৌনজীবনে এর প্রচণ্ড প্রভাব পড়তে পারে। বিবিধ থেরাপি এবং মেডিকেশন পুরুষ এবং নারীর যৌনজীবনের নানাবিধ সমস্যাকে মোকাবিলা করতে পারে। আমাদের দেশে ইদানীং যৌনতার ব্যাপারে অনেকেরই সচেতনতা সৃষ্টি হচ্ছে। এটি একটি আশার কথা। যৌনস্বাস্থ্যের ব্যাপারে সতর্কতা প্রতিটি সুস্থ পুরুষ এবং নারীর জন্য জরুরি। কেননা যৌনতার প্রয়োজন বেঁচে থাকার জন্যও জরুরি। এটি জীবনের একটি অন্যতম নিয়ামক। পুরুষ এবং নারীদের ক্ষেত্রে যৌন যে কোনো সমস্যাতে অনেকে আবার অযাচিতভাবে এবং ব্যবস্থাপত্রের বাইরে ওষুধ সেবন করে থাকেন। এটি কিন্তু অত্যন্ত ক্ষতিকর। যৌনস্বাস্থ্যের স্বয়ংসম্পূর্ণতা বরং এতে নষ্ট হয়। প্রতিটি ক্ষেত্রে উচিত ডাক্তার অথবা গাইনোকলজিস্টের পরামর্শমতো ওষুধ সেবন করা। এতে করে তা নিরাপদ এবং নিশ্চিত সুস্থতার ব্যাপারে নিশ্চয়তা দিতে পারে। এজন্য যৌনস্বাস্থ্যের কোনো প্রকার সমস্যা দেখা দিলে বরং ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করা উচিত। পাশ্চাত্যে যৌনজীবনে বৈচিত্র্য আনয়নে এবং সুস্থ যৌনতার জন্য নানাবিধ মেডিকেশন এবং থেরাপির প্রচলন রয়েছে যা আমাদের দেশে অনুপস্থিত। তবুও চেষ্টা করুন সুস্থ শারীরিক দেহ এবং মন নিয়ে যৌনতায় লিপ্ত হতে। পুরুষ এবং নারীর জন্য যৌনস্বাস্থ্যের সুস্থতা অবশ্যই জরুরি এবং প্রয়োজনীয়। ডাক্তারের কাছে বা বিশেষজ্ঞের কাছে আপনার যে কোনো প্রকার শারীরিক এবং মানসিক সমস্যা, বিশেষ করে যেগুলো আপনার যৌনজীবনের সাথে সম্পৃক্ত সে ব্যাপারে খোলাখুলি আলোচনার মাধ্যমে পরামর্শ নিন। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের লেখা যৌনবিষয়ক বই পড়েও যৌন সমস্যা সম্পর্কিত জ্ঞান আহরণ করতে পারেন। এতে আপনার যৌনতাসম্পর্কিত অজ্ঞতা কেটে যেতে পারে। যৌনজীবনে সুখী হতে চাইলে যৌনস্বাস্থ্যকে সুস্থ রাখুন। বৃদ্ধাবস্থা এবং যৌনতা: মানুষের জীবনে যৌনতা একটি বড় বিষয়। সাম্প্রতিক সময়ে আমেরিকান সাইকিয়াট্রিস্ট অ্যাসোসিয়েশন সাইকিয়াট্রিস্ট টাইম’পত্রিকাতে মানুষের যৌনতা এবং বয়সের ওপর একটি মনস্তাত্ত্বিক আলোচনা চালান। এই প্রবন্ধের লেখক ডা. সিনথিয়া এল আরডিটো। এই নারী মনোরোগ বিশেষজ্ঞ ১৯৯২ সালে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ক্লিনিক্যাল সাইকোলজির ওপর ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। তিনি একাধারে ম্যাকক্লিন হাসপাতালের সিনিয়র সাইকোলজিস্ট। এই প্রবন্ধে কিছু প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে আমরা যৌনতা এবং বয়সসংক্রান্ত মনোদৈহিক কিছু আলোচনার মুখোমুখি হব। এ এইচ মোহাম্মদ ফিরোজ: প্রথ্যাত মনোরোগ চিকিৎসক, ঢাকা। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-১২-০১৪:
Link copied!