AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

৯ বছরেও শেষ হয়নি বাসাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের নির্মাণ কাজ


Ekushey Sangbad

১১:১৩ এএম, ডিসেম্বর ২১, ২০১৪
৯ বছরেও শেষ হয়নি বাসাইল স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভবনের নির্মাণ কাজ

একুশে সংবাদ : কার্যাদেশের ৯ বছরেও শেষ হয়নি বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের নতুন ভবনের নির্মাণ কাজ। যেকারণে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীত করা যাচ্ছে না। জানা যায়, ২০০৫ সালে তৎকালীন জোট সরকারের আমলে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সকে ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে উন্নীতকরণ, ডাক্তার, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নার্সদের ৩টি আবাসিক ভবন নির্মাণ, পয়নিষ্কাশন, ড্রেনেজ ব্যবস্থার উন্নয়ন ও সব পুরাতন ভবনের সংস্কারসহ ৪ কোটি ৯৬ লাখ ১০ হাজার ৪শ ৪৯.৪৭ টাকা বরাদ্দে এ নির্মাণ কাজের উদ্বোধন করেন বাসাইল-সখীপুর থেকে নির্বাচিত তৎকালীন সংসদ সদস্য বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী। ২০০৫ সালের ১০ জনুয়ারি দরপত্র আহ্বান করা হলে এটি নির্মাণের দায়িত্ব পেয়েছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান মের্সাস সোনার বাংলা প্রকৌশলী সংস্থা। ২০০৫ সালের ২৪ সেপ্টেম্বর কার্যাদেশ পাওয়ার ১৮ মাসের মধ্যে এর নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করার কথা ছিল। কার্যাদেশের ৯ বছর শেষ হলেও এর নির্মাণ শেষ করতে পারেনি সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। বর্তমানে নির্মাণ কাজ বন্ধ হয়ে থাকায় এর অবশিষ্ট কাজ আদৌ সম্পন্ন হবে কিনা তা কেউ বলতে পারছেন না। ফলে কবে নাগাদ ৫০ শষ্যায় উন্নীতকরণ সম্ভব হবে তাও অস্পষ্ট। কাজ দ্রুত শেষ করার ব্যাপারে নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয় থেকে অর্ধশত বার সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে তাগিদ দেওয়া সত্ত্বেও নির্মাণ কাজের কোনো প্রকার গতি বাড়েনি বলে জানা যায়। প্রায়ই নির্মাণাধীন দু’একটি ভবনের বিভিন্ন অংশ খসে মাটিতে পড়ার ঘটনা ঘটছে। এছাড়াও নির্মাণাধীন বিভিন্ন ভবনের ইটের ওপর শ্যাওলা জমেছে। এদিকে, অবকাঠামোগত অসুবিধার কারণে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বেহাল দশা বিরাজ করছে। সামান্য বৃষ্টিতেই কাজে ব্যবহৃত দীর্ঘদিনের পুরাতন ভবনের জরুরি বিভাগ, শিশু বিভাগ, ডিসপেনসারি, স্টোর রুম, ডক্টরস কোয়াটারের বিভিন্ন কক্ষের ছাদ চুইয়ে পানি পড়ে। প্রতিটি টয়লেটে একই অবস্থা বিরাজমাণ। একই কারণে পরিবার পরিকল্পনা বিভাগ কার্যক্রম গুটিয়ে নিয়ে হাসপাতাল ভবন ছেড়ে অনত্র চলে যেতে বাধ্য হয়েছে বলে জানিয়েছে একজন স্বাস্থ্যকর্মী। জরাজীর্ণ ভবনের ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের ভেতরে দুর্গন্ধ, মশা-মাছির রাজত্ব। রোগীদের জন্য বরাদ্দকৃত সিট ও বিছানাপত্র একেবারে পুরনো হয়ে গেছে। ল্যাট্রিনগুলো অতি পুরনো, পানি সরবরাহ ও ড্রেনেজ ব্যবস্থা না থাকায় গোটা এলাকায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ বিরাজ করছে। রোগীদের সেবার দায়িত্বে থাকা নার্সদের আবাসিক ভবনের কয়েকটি জায়গায় ফাটল ধরায় সেগুলো পরিত্যক্ত ঘোষণা করার পরেও নিরুপায় হয়ে ঝুঁকিপূণভার্বে বসবাস করছে কেউ কেউ। একজন নার্স জানান, কয়েক বছর ধরে তারা পানি সরবরাহ থেকে বিচ্ছিন্ন রয়েছে। ডাক্তারদের আবাসিক ভবনে বসবাস করার পরিবেশ নেই। কয়েকজন ডাক্তার অভিযোগ করে বলেন নির্মাণাধীন আবাসিক ভবন এলাকায় ভুতুড়ে পরিবেশ বিরাজসহ সেখানে প্রায়ই খারাপ লোকের আনাগোনা রয়েছে। লোডশেডিংয়ের সময় জেনারেটর না চলায় এক্সরেসহ পরীক্ষা কার্যক্রম বন্ধ থাকে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানান, এ সকল সমস্যার মূলে রয়েছে নির্মাণাধীন ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভবনের নির্মাণ কাজ সমপন্ন না হওয়া। কার্যাদেশের দীর্ঘ কয়েক বছর পার হওয়া সত্তেও সংশ্নিষ্ট ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান অবকাঠামো নির্মাণ শেষ করে তা হ্স্তান্তর না করার কারণেই এ হাসপাতালকে ৫০ শয্যায় উন্নীত করা সম্ভব হচ্ছে না। একই কারণে এর কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাসিক সমস্যারও সমাধান সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তপক্ষ। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার মালেকা বানু বলেন, আমরা বারবার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে কাজ সম্পন্ন করার অনুরোধ করে লিখেছি, তবুও কাজ হয়নি। এ ব্যাপারে সোনারবাংলা প্রকৌশলী সংস্থার প্রকৌশলী বিমলেশ তালুকদার বাংলানিউজেক বলেন, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রকল্পটির রিভাইজ করেছে, প্রকল্পের রিভাইজের কোয়ান্টিটিতে সমন্বয়হীনতা রয়েছে। কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে- এখনো সমাধান পাইনি, পেলে কাজটি দ্রুত শেষ করতে পারবো। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-১২-০১৪:
Link copied!