তারেকের নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
নিজস্ব প্রতিবেদক: মানহানিকর ও রাষ্ট্রদ্রোহমূলক বক্তব্য দেয়ার অভিযোগে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ আমলে নেননি আদালত। শুধু মানহানির অভিযোগটি আমলে নিয়ে তার নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
রোববার সকালে রোববার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ওয়ায়েছ কুরুনী খান চৌধুরীর আদালতে হকার্সলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. আব্দুল মান্নান মামলাটি দায়ের করেছিলেন।
এ মামলায় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মীর মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন ও দলের আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মাহিদুর রহমানের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ আমলে নেননি বিচারক।
এর আগে বিচারক বাদীর জবানবন্দি গ্রহণ করে পরে আদেশ দেবেন বলে জানান। পরে বিচারক এ মামলায় তারেকের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহিতার অভিযোগ বাদ দিয়ে শুধু মানহানির অভিযোগটি আমেল নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন। এছাড়া রিজভী, মীর নাসির ও মাজিদুর রহমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলা নেননি আদালত।
উল্লেখ্য, ‘গত ১৪ ডিসেম্বর সোমবার দেশের ৪৪তম বিজয় দিবস উপলক্ষে যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডনের দ্য অট্রিয়াম অডিটরিয়ামে যুক্তরাজ্য বিএনপি আয়োজিত এক সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনীতিতে শেখ মুজিব আওয়ামী লীগের লালসালু। এই লালসালুকে ঘিরে থাকা ভণ্ডরাই নিজেদের স্বার্থে যাকে তাকে রাজাকার আখ্যা দেয়। অথচ মুক্তিযুদ্ধে শেখ মুজিবুর রহমান, তার পরিবার ও আওয়ামী লীগের কোনো ভূমিকা নেই।’
তারেক রহমান বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দাবি করে তাদের দল নাকি মুক্তিযুদ্ধের দল, অথচ চোরের দল চাটার দল আখ্যা দিয়ে শেখ মুজিব নিজেই আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছেন। এমন একটি কাজ করার জন্য তাহলে তো শেখ মুজিবই বড় রাজাকার।’
বাদী তারেক রহমানের এসব বক্তব্য ১৭ ডিসেম্বরে দেশে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিক পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পারেন। আসামির এসব বক্তব্যে বাদী ক্ষুব্দ হয়ে এ মামলাটি দায়ের করেছেন বলে তার অভিযোগে উল্লেখ করা হয়।
মামলাটিতে বাদী তারেক রহমানকে একজন দুর্নীতিগ্রস্ত, অর্থপাচারকারী, পলাতক(ফেরারী) আসামি হিসেবে উল্লেখ করেন।
মামলায় বাদী নিজে ছাড়াও দৈনিক প্রথম আলো, বাংলাদেশ প্রতিদিনসহ অন্যান্য পত্রিকার সম্পাদকসহ মোট ছয়জনকে সাক্ষি করেছেন।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২১.১২.২০১৪
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :