একুশে সংবাদ : রাজধানীর মগবাজার মোড়ে দাঁড়িয়ে ছিল সবে ষোলোয় পা রাখা কল্লোল। সঙ্গে বন্ধু আবীর। আরেক বন্ধুর অপেক্ষায়। তিনজনই দিলু রোডে থাকে। সবাই মিলে যাবে মৌচাকের দিকে একটি কোচিং সেন্টারে।
কল্লোল বলল, ‘বাবা বলেছে, এই ব্রিজটি তৈরি হয়ে গেলে অনেক সুবিধা হবে। যানজট থাকবে না। কিন্তু কবে হবে?’ আবীরের চেহারায় তাচ্ছিল্য। ‘দূর, দুই বছর ধরে দেখছি শুধু কাদা আর ধুলা। আরও অনেক কষ্ট আছে।’
তাদের কথোপকথন শুনে এই প্রতিবেদক জানতে চাইলেন, তারা এমনটি ভাবছে কেন। জবাবে তারা বলল, প্রতিদিনের দুর্ভোগে তারা অতিষ্ঠ। গত শুক্রবার সকাল নয়টার দিকে মগবাজার-মৌচাক ফ্লাইওভার প্রকল্প এলাকায় সরেজমিন ঘুরে এ প্রতিবেদন তৈরির সময় এমন কথা জানিয়েছেন অনেকেই।
নির্ধারিত সময়ে কাজ হয়েছে ৪০ শতাংশ
উড়ালসড়কটি বাস্তবায়নকারী কর্তৃপক্ষ স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) প্রকল্প পরিচালক জানালেন, চলতি বছরের মধ্যে চালু হয়ে যাবে এটি। ঝামেলা মিটে যাচ্ছে।
জানা যায়, বিস্তারিত নকশার আগেই কাজ শুরু হয় এই উড়ালসড়কের। ঠিকাদার নিয়েও চলে জটিলতা। তিনটির মধ্যে দুটি অংশ চালুর কথা ছিল গত ডিসেম্বরে। এখন পর্যন্ত অর্ধেকও হয়নি। ৭৭৩ কোটি টাকার এ কাজে খরচ বেড়ে যাবে ১০০ কোটি টাকার বেশি।
গতকাল রোববার দুপুরে মৌচাক মোড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট। সেখানে কাজ চলছে পাইল বসানোর। যানবাহন চলতে না পারলেও সরু রাস্তায় অগোছালো নির্মাণসামগ্রী। আগে তৈরি হওয়া স্তম্ভের চারপাশে রাস্তা ভেঙে সৃষ্টি হয়েছে ছোটখাটো পুকুরের। সিদ্ধেশ্বরীর বাসিন্দা মনিকা রহমান বললেন, কয়েক দিন আগে সন্ধ্যাবেলায় হঠাৎ বিদ্যুৎ চলে গেলে তাঁর ১২ বছরের ছেলে পড়ে যায়।
অব্যবস্থাপনা ও যানজটে নাকাল
মগবাজারের দোকানি আবদুল জলিল বললেন, দুই বছরে অনেক দেখেছেন। একবার ওয়াসার পয়োলাইন ফেটে যাচ্ছে, একবার রিকশা-অটোরিকশা উল্টে আহত হচ্ছে মানুষ। চোখের সামনে আরও অনেক কিছু দেখার বাকি হয়তো।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/১৯-০১-০১৫:
আপনার মতামত লিখুন :