এবারের বইমেলায় থাকছে ৭ শতাধিক স্টল
একুশে সংবাদ: অমর একুশে বইমেলা শুরু হতে আর বাকি মাত্র ৮ দিন। এরই মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে সব কাজ। সব কিছু ঠিক থাকলে আগামী ১ ফেব্রুয়ারি শুরু হতে যাচ্ছে মাসব্যাপী বাঙালির প্রাণের মেলা ‘অমর একুশে গ্রন্থ মেলা-২০১৫’।
বই মেলার স্টল নির্মাণের জন্য বাংলা একাডেমি’র নিজস্ব চত্বর এবং সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের নির্ধারিত স্থানে পুরোদমে চলছে অস্থায়ী ঘর বা স্থাপনা তৈরির কাজ। মেলার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
মেলাচত্বর সরেজমিন পরিদর্শনে স্টল নির্মাণের ব্যস্ততা ছিলো চোখে পড়ার মতো। ইতোমধ্যে ৬০ শতাংশের কাজ সম্পন্ন হয়েছে। কর্ম ব্যস্ততাই বলে দিচ্ছে বাকি ৪০ শতাংশ প্রস্তুতি শেষ করতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
এখন মেলাচত্বরে প্রবেশ করলেই কাঠ-বাঁশে পেরেক ঠোকার ঠুকঠাক শব্দে দাঁড়ানো ভার। এক স্থান থেকে অন্য স্থানে বাঁশ নিয়ে ছুঁটছেন নির্মাণকর্মীরা। যেন প্রস্তুতি কর্মযজ্ঞেই প্রাণ ফিরে পেয়েছে একাডেমি চত্বর। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে বাঁশ দিয়ে চলছে স্টলের কাঠামো নির্মাণ।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, স্টল বরাদ্দের জন্য আবেদন প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে গত ১৪ জানুয়ারি। এর মধ্যে চূড়ান্তও হয়ে গেছে অনেক কিছু। এবার ২৮৪টি প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হয়েছে মোট ৪৭৫ ইউনিট। এছাড়াও একাডেমির মূল চত্বরে দেয়া শতাধিক সরকারি আধা-সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানকে দেয়া হবে আড়াই’শ ইউনিট।
বরাবরের মতো এবারও নজরুল মঞ্চের সামনে থাকছে শিশু কর্ণার। এবারের শিশু কর্ণার অন্যবারের চেয়ে আকর্ষণীয় করে তোলা হবে বলে জানিয়েছেন বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান।
এবারের মেলায় দুই স্থান মিলিয়ে থাকবে ১১টি চত্বর। মূল প্রকাশকদের স্টলগুলো সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে থাকলেও মেলা হবে বাংলা একাডেমির প্রাঙ্গণকেন্দ্রীক।
এবার অমর একুশে গ্রন্থমেলার প্রথম দিন থেকেই শুরু হবে আন্তর্জাতিক সাহিত্য সম্মেলন। ৪ দিনের এই সম্মেলনে ৮টি দেশের কবি-সাহিত্যিক ও ভাষাবিদ অংশ নেবেন। আলোচনা হবে কবিতা, কথা সাহিত্য ও নাটক নিয়ে। মেলার উদ্বোধনী দিনেই দেয়া হবে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরষ্কার।
বাংলা একাডেমির মহাপরিচালক শামসুজ্জামান খান বলেন, ‘এবারের মেলা হবে যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয়।’
রাজনৈতিক কোনো প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা থাকলেও মেলা হবে সবার অংশগ্রহণভিত্তিক। কারণ এই মেলা কোন দল বা গোষ্ঠীর নয়, সমগ্র জাতির হৃদয়ের মেলা।’
রাজনৈতিক দলগুলো এসময় এমন কোনো কর্মসূচিও দেবে না বলেও তিনি আশা প্রকাশ করেন।
একাডেমি সূত্রে জানা গেছে এবারে মেলায় নতুন সংযোজন প্যাভিলিয়ন। মেলায় ৭/৮ টি প্যাভিলিয়ন থাকবে। প্রতিটি প্যাভিলিয়নের জন্য প্রকাশকদের ভাড়া দিতে হবে ১ লাখ টাকা করে। সঙ্গে রয়েছে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর।
এছাড়াও স্টলের মাপেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। গত বছর পর্যন্ত স্টলের মাপ ছিলো ৬ ফুট বাই ৮ ফুট। এবার তা হবে ৮ ফুট বাই ৮ ফুট। প্রতিটি ১ ইউনিটের স্টলের জন্য ১২ হাজার ও ৩ ইউনিটের স্টলের জন্য ৪৫ হাজার টাকা ভাড়া দিতে হবে।
একুশে সংবাদ ডটকম/মামুন/২১.০১.২০১৫
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :