AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

আমাদের কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করছে না : দুদক চেয়ারম্যান


Ekushey Sangbad

০৬:০১ পিএম, জানুয়ারি ২১, ২০১৫
আমাদের কাজে কেউ হস্তক্ষেপ করছে না : দুদক চেয়ারম্যান

একুশে সংবাদ : দেশে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে অর্থপাচার (মানিলন্ডারিং)। বিষয়টি অধিকতর গুরুত্ব দিয়ে আরো কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। যার অংশ হিসেবে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধে শিগগিরই একজন মহাপরিচালকের(ডিজি)অধিনে স্বয়ংসম্পূর্ণ নতুন উইয়িং (বিভাগ) চালু করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এমন গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তসহ দুর্নীতি বিরোধী নানামুখী অভিযান ও চলতি বছরের নানা পরিকল্পনা নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে খোলামেলা কথা বলেছেন সংস্থাটির চেয়ারম্যান মো. বদিউজ্জামান। তার সঙ্গে কথা বলেছেন এম এ রহমান। মো. বদিউজ্জামান। স্বাধীন কমিশনের প্রধান হিসেবে দেড় বছরের অধিক সময় পার করেছেন। ২০১৩ সালের ২৭ জুন থেকে প্রতিষ্ঠানটির তৃতীয় চেয়ারম্যান নিয়োগ পান। এর আগে দুর্নীতি দমন ব্যুরোর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদ থেকে দুদকের কমিশনার পদে দায়িত্ব পালন করেছেন। নানা সীমাবদ্ধতার মধ্য দিয়ে বিলুপ্ত ব্যুরো থেকে দুর্নীতি দমন কমিশন প্রতিষ্ঠার দশ বছর পেরিয়ে গেছে। চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর হলমার্ক কেলেঙ্কারি, ডেসটিনি, বড় আমলাদের মুক্তিযোদ্ধার সনদ জালিয়াতি থেকে শুরু করে সর্বশেষ ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি ও প্রাক্তন বেশ কয়েকজন মন্ত্রীকে আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছে দুদক। যদিও পদ্মা সেতুর দুর্নীতির ষড়যন্ত্র থেকে আসামীদের অব্যাহতিসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে বিতর্কে জড়িয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কেমন আছেন? দেড় বছরের বেশি সময় ধরে দুদক চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এই সময়ে আপনি নিজেকে কতটুকু সফল বলে মনে করছেন? বদিউজ্জামান: জ্বি ভাল আছি। আমি সফল কি ব্যর্থ তা নিজে বলতে পারবো না। এটা মিডিয়া অর্থ্যাৎ আপনারা ভাল বলতে পারবেন। তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি। হয়ত আরো পরে এর মূল্যায়ন হবে। চলতি ২০১৫ সাল নিয়ে আপনার বিশেষ পরিকল্পনা আছে কিনা। দুদককে কার্যকর করতে আপনার নেওয়া পদক্ষেপগুলো নিয়ে রাইজিংবিডির সঙ্গে শেয়ার করবেন কি? বদিউজ্জামান: দুর্নীতি বিরোধী অভিযান তো অব্যাহত রয়েছে। ২০১৫ সালে এই অভিযান আরো জোরদার করা হবে। এর সঙ্গে আর একটি বিষয়ের ওপর বেশি জোর দিচ্ছি, সেটা হলো দুর্নীতি প্রতিরোধ । কেননা আমরা যদি প্রতিরোধ করতে পারি তাহলে সফলতা দ্রুত আসবে। মানুষের মধ্যে যদি দুর্নীতির ঘৃণা তৈরি করতে পারি তাহলে সফলতার পথ আরো সহজ হবে। সেজন্যেই এই বিষয়ের ওপর বেশী জোর দিচ্ছি। পাশাপাশি দুর্নীতি দমনের কাজও চলতে থাকবে। গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগগুলো অবশ্যই অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখা হবে। সাধারণ মানুষ মনে করে সরকার যেভাবে চায় দুদক সেভাবে কাজ করছে। প্রকৃত অর্থে দুদক কি স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে? বদিউজ্জামান: মানুষের এই ধারণাটি সঠিক নয়। কমিশন হিসেবে দুদক সম্পূর্ণ স্বাধীনভাবে কাজ করে যাচ্ছে। দুদক আইন-২০০৪-এ দুদককে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান হিসেবে সৃষ্টি করা হয়েছে। এখানে সরকারের কোনো প্রকার হস্তক্ষেপের সুযোগ রাখা হয়নি। আমরাও সরকারের কোনো নির্দেশে কাজ করি না। কোনো বাধার সম্মুখীন হই না। আমাদের কাজে কেউ কোনো হস্তক্ষেপ করছে না। প্রাক্তন চেয়ারম্যান গোলাম রহমান দুদককে নখদন্তহীন বাঘ বলেছিলেন। আপনার মতে দুদক কি এখনও নখদন্তহীন বাঘ? বদিউজ্জামান: আমি এটা মনে করি না। দুদক নখদন্তহীন বাঘ এটা তার নিজস্ব মত। এই ধারণাটি সমর্থনও করি না। কেননা দুদক একটি স্বাধীন কমিশন হিসেবে স্বাধীনভাবেই কাজ করে যাচ্ছে। ট্রাসপারে্ন্সি ইন্টারন্যাশনালের (টিআই) মতে দেশে আগের তুলনায় দুর্নীতি বেড়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? বদিউজ্জামান: আমি এর সঙ্গে একমত নই। তবে আমি এটাও বলি না যে দুর্নীতি একেবারে কমে গেছে। কিন্তু গত বারের তুলনায় যে বেড়েছে সেটা আমি মনে করি না। ২০১৪ সালে আমরা হাই প্রোফাইল দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কাজ করেছি। যারা বর্তমানে ক্ষমতায় রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে মামলাও করেছি। এটা ফেলে দেওয়ার বিষয় নয়। এটা ছোট করে দেখা ঠিক হবে না। কয়েক সংসদ সদস্য কারাগারেও ছিলেন। সেটা বিবেচনা করলে আগের তুলনায় অনেক ভাল করছি। ভবিষ্যতে আরো ভাল করবে। অনেক অভিযোগ ফাইলবন্দি অবস্থায় রয়েছে। সেগুলোর ব্যাপারে কোন আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে কিনা? বদিউজ্জামান: আমাদের কাছে অনেক অভিযোগই আসে। সেগুলো যাচাই-বাছাই কমিটি দ্বারা পরীক্ষা করে শতকরা ৫-৭ শতাংশ অভিযোগ আমরা অনুসন্ধানের জন্য গ্রহণ করি। কোন অভিযোগই ফাইলবন্দি করা হয় না। এছাড়া বিলুপ্ত দুর্নীতি দমন ব্যুরো থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে প্রায় ১০ হাজার মামলা পেয়েছি। আশা করি আগামী মাসের মধ্যে ওইসব মামলার তদন্ত শেষ হবে। দুর্নীতিপরায়ণদের দুদক ছাড় দিচ্ছে বলে নানা মহলে সমালোচনা হচ্ছে। গেল বছরে রাজণীতিবিদসহ অনেকে দুদককে দায়মুক্তি কমিশন হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এ বিষয়ে আপানার মত? এই বক্তব্যের সঙ্গে একমত নই। আমরা দুর্নীতিবাজ কাউকে ছাড় দিচ্ছি না। আমাদের কাছে অনেক অভিযোগ আসে। মিডিয়া বা অন্য মাধ্যমে আমরা অভিযোগগুলো পাই। অভিযোগ মানেই সে অপরাধী নয়। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অনুসন্ধান করতে হবে আবার মামলা করলেই চার্জশিট দিতে হবে এটা ঠিক নয়। অনেক সময় অনেকের বিরুদ্ধে দুর্নীতির লম্বা ফিরিস্তি তুলে ধরে অভিযোগ পেশ করা হয়। অনুসন্ধান শেষে দুর্নীতির সত্যতা পাওয়া যায় না। যার ফলে তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে পারি না। অভিযুক্ত যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগের সঠিক জবাব দিতে পারে তবে তার বিরুদ্ধে কেন মামলা করতে যাব। দুদক কারো বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করতে পারে না। আর দায়মুক্ত কমিশন কথাটি রাজনৈতিক বক্তব্য। দুদকের কর্মকর্তাদের কর্মদক্ষতা বৃদ্ধি করতে ও জনবল বাড়াতে কি কি পদক্ষেপ নিয়েছেন? বদিউজ্জামান: আমাদের কর্মকর্তা যারা আছেন তাদের কর্মকদক্ষতা বৃদ্ধি করতে আমরা প্রশিক্ষন অব্যাহত রয়েছে। বিশেষ করে অনুসন্ধান ও তদন্ত কর্মকর্তাদের দক্ষ করতে আমাদের ও্ই প্রশিক্ষন কর্মসূচী অব্যাহত থাকবে। মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের দিয়ে এই প্রশিক্ষন দেওয়া হচ্ছে। আর জনবল বৃদ্ধির বিষয়টি সরকারের কাছে উত্থাপন করা হবে। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের হলফনামায় প্রার্থীদের রহস্যজনক সম্পদ বৃদ্ধির অনুসন্ধান শুরু করেছিলেন। ছয় জনের অনুসন্ধান করতে গিয়ে তিনজনকেই ছাড় দিয়েছেন। সাধারণ জনগন বিষয়টি ভাল চোখে দেখছে না। এ বিষয়ে আপনার মতামত? বদিউজ্জামান: শুরু করেছিলাম ঠিকই। যাদের বিরুদ্ধে মামলা করার মতো প্রমাণ পাওয়া যায়নি তাদেরই ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। আমি মনে করি নির্বাচনী হলফনামায় রহস্যজনক সম্পদ বৃদ্ধির তথ্যের যথাযথ অনুসন্ধান হয়েছে। বিশেষ করে রাজশাহী-৪ আসনের সাংসদ এনামুলকে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ থেকে অব্যহতি দেওয়া নিয়ে বেশ বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মন্তব্য? বদিউজ্জামান:  সাংসদ এনামুলের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদের অভিযোগের অনুসন্ধানে আমরা যে তথ্য পাই বেশ কিছু অসঙ্গতি পাওয়া গেলেও তা মূলত তার বিরুদ্ধে নয়। যে অস্বাভাবিক সম্পদ পাওয়া গেছে তা ব্যক্তির নয় তার কোম্পানীর। তাই আমরা বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে পাঠিয়েছি। তারা যদি মনে করে বিষয়টি দুদকের তফসিলভুক্ত দুর্নীতির বিষয় তাহলে তারা আমাদের পাঠালে পরবর্তীতে ব্যবস্থা নেবো। বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের হয়রানি করতে সরকার দুদককে ব্যবহার করছে বলে অভিযোগ রয়েছে। এ বিষয়ে আপনার মতামত কি? বদিউজ্জামান: এটা সঠিক নয় যে, বিরোধী দলকে হয়রানি করার জন্য সরকার দুদককে ব্যবহার করছে। গত প্রায় পাঁচ বছরে দু`একটি ক্ষেত্র ছাড়া বিরোধী দলের কোনো নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে কোনো মামলা রুজু হয়নি। বরং ক্ষমতাসীন দলের প্রভাবশালী এমপি, সাবেক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। যা এর আগে হয়নি। বিদেশে পাচার হওয়া বিপুল পরিমাণ অর্থের সন্ধান পেয়েছে দুদক। ওই অর্থ ফেরত আনতে দুদকের পরিকল্পনা ও প্রস্তুতি কী? বদিউজ্জামান: অর্থপাচার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখছি। বিদেশে পাচার করা অর্থ ফেরত আনতে দুদক চেষ্টা চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে আমরা বিদেশ থেকে ২১ কোটি ৫৫ হাজার টাকা ফেরত আনতে সক্ষম হয়েছি। বিষয়টিকে অধিক গুরুত্ব দিয়ে আগামী দুই এক মাসের মধ্যে একজন মহাপরিচালকের অধিনে মানিলন্ডারিংয়ের জন্য স্বয়ংপূর্ণ নতুন একটি উইং (বিভাগ) চালু করা হবে। বর্তমানে একজন মহাপরিচালকের অধীনে অনিষ্পন্ন একটি উইং রয়েছে যেখানে বুরো আমলের অভিযোগ ও মামলা দ্রুত নিষ্পন্ন করা হয়। বর্তমানের সেই শাখার কাজ শেষে পথে। ওই উইংকেই মানিলন্ডারিংয়ে রূপান্তর করা হবে।এছাড়া মানিলন্ডারিংয়ের ওপর আমাদের কর্মকর্তাদের বিশেষ দেওয়া হয়েছে বা হচ্ছে। স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করতে দুদকের সীমাবদ্ধতা আছে কি? বদিউজ্জামান: না, আমাদের কোনো সীমাবদ্ধতা নেই। দুদক স্বাধীনভাবেই কাজ করছে। বর্তমান আইনে যে ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে তা প্রয়োগের মাধ্যমে দুর্নীতি দমন অভিযান চালিয়ে যাওয়া সম্ভব। দুদকের তফসিলভুক্ত মানি লন্ডারিং আইন বাস্তবায়ন প্রক্রিয়া যাতে অন্য কোনো সংস্থার কাছে ন্যস্ত করা না হয় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সরকারের প্রতি একান্তভাবে অনুরোধ করি। দুর্নীতি দমনে সরকারের সদিচ্ছা আছে বলে ফলাও করে বলা হচ্ছে। আপনি কী মনে করেন? বদিউজ্জামান: যতটুকু বলতে পারি সরকার আমাদের কাজে হস্তক্ষেপ করছে না। তাতে বোঝা যায় দুর্নীতি দমনে সরকারের সদিচ্ছা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে সরকারকে আরও কার্যকর ভূমিকা রাখা দরকার। যে প্রতিষ্ঠানের জন্ম দুর্নীতি দমনের জন্য সেই প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়ছেন। এ পর্যায়ে দুদক দুর্নীতি দমনে কতটুকু ভূমিকা রাখতে পারবে? বদিউজ্জামান: প্রতিষ্ঠানের কেউ দুর্নীতির সঙ্গে জড়ালে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আমরা সচেষ্ট রয়েছি। ইতিমধ্যে কয়েকজনের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। দুর্নীতির অভিযোগ থেকে পার পেতে অনেকে দুদকের কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করছেন বলে শোনা যায়। আপনার বক্তব্য জানতে চাই। বদিউজ্জামান: এ ব্যাপারে সুনির্দিষ্ট কোনো অভিযোগ পাওয়া গেলে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মিডিয়াকে দুদকে সহযোগী না প্রতিদন্দ্বী মনে করেন? যদি সহযোগী হয় তাহলে মাঝে মধ্যেই মিডিয়াকে নিয়ন্ত্রনের চেষ্টা কেন করা হয়? বদিউজ্জামান: মিডিয়াকে অবশ্যই দুদকের সহযোগী মনে করি। তবে আমাদের কাজে অনেক গোপনীয় বিষয় রয়েছে সব মিডিয়ায় আসা সঠিক না। কাজ করার পূর্বেই যদি সব মিডিয়ায় আসে তাহলে দুর্নীতিবাজরা সতর্ক হয়ে যায়। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্থ হই। এভাবে করলে আমি কাজ করতে পারবো না। মিডিয়ারও এ বিষয়টি বোঝা উচিত। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২১-০১-০১৫:
Link copied!