সশস্ত্র ইসলামি দলগুলোর লক্ষ্যবস্তু হতে পারে দারফুর
একুশে ডেস্কঃ সুদানের পশ্চিমাঞ্চলীয় দারফুর প্রদেশকে জাতিসংঘ ইসলামি সন্ত্রাসের আগামী আঁতুড়ঘর বলে আখ্যায়িত করেছেন। ২৩ জানুয়ারি শুক্রবার এক বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপনে এ মত ব্যক্ত করে জাতিসংঘ।
সম্প্রতি প্রদেশটি প্রায় এক দশক পর ‘বিদ্রোহী ও বিচ্ছিন্নতাবাদীদের’ অধীন থেকে মুক্ত করতে সমর্থ হয়েছে সুদানের সেনাবাহিনী। কেন্দ্র খার্তুম ঘোষিত ঐ বিদ্রোহী বিচ্ছিন্নতাবাদীরা মূলত কেন্দ্রীভূত ক্ষমতার চর্চাবিরোধী অনারব সংগঠন। তারা আরব অধ্যূষিত কেন্দ্র খার্তুমের এক আধিপত্যের বিরুদ্ধে ২০০৩ সালে সশস্ত্র ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় এবং প্রায় এক দশক দারফুরকে আয়ত্বাধীন রাখে।
শুক্রবার ২৩ জানুয়ারি জাতিসংঘের নথিপত্র অনুসারে বিগত এক দশকে অনারব আদিবাসী ও আরবদের মধ্যকার সংঘর্ষে প্রায় ৩০০,০০০ মানুষ নিহত হয়েছে এবং বাস্তুচ্যূত হয়েছে অন্তত ২০ লাখ মানুষ। সেই সঙ্গে গত ২০১৩ সালের ডিসেম্বর থেকে ২০১৪ সালের এপ্রিল মাস পর্যন্ত সুদানীয় সরকার ‘বিদ্রোহ দমনার্থে’ বিমান হামলা চালিয়েছে মোট ৩,৩২৪ টি গ্রামে।
বিদ্রোহী বাহিনীর প্রতিরোধ দুর্বল হয়ে এলেও সাধারণ মানুষের ওপর অবিরত হামলা ও প্রতিহিংসাপরায়ণ পরায়ণ পরিবেশের সঙ্গে সঙ্গতি রেখে শিগগিরই আফ্রিকায় ক্রীয়ারত আল কায়েদা ও তাদের সমর্থিত উদীয়মান সশস্ত্র ইসলামি দলগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হতে পারে দারফুর।
ইতোমধ্যে একাধিক সূত্রে জানা গেছে সুদানের সরকার লিবীয় সরকারবিরোধী বিদ্রোহীদের গোপনে মদদ দিয়ে চলেছে। সেক্ষেত্রে দারফুর লিবীয় সশস্ত্র ইসলামি দল ফজরে লিবিয়ারও চারণভূমি হয়ে উঠতে পারে।
একুশে সংবাদ ডটকম/সংগ্রাম/২৪.০১.১৫।
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :