AB Bank
ঢাকা শনিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

কোকোর মৃত্যুতে আ. লীগে শোক


Ekushey Sangbad

০৫:১৫ পিএম, জানুয়ারি ২৫, ২০১৫
কোকোর মৃত্যুতে আ. লীগে শোক

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুতে আনুষ্ঠানিকভাবে শোক জানিয়েছে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক হাছান মাহমুদ রোববার সকালে ধানমন্ডিতে দলীয় সভানেত্রীর রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে দলীয় শোকের কথা জানান।   শনিবার কোকোর মৃত্যুর পর খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুলশান কার্যালয়ে যাওয়া নিয়ে কথা বলেন হাছান। ফটকের তালা বন্ধ রেখে প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার কার্যালয়ে ঢুকতে না দেওয়া রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘কালো অধ্যায়’ হয়ে থাকবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।   হাছান মাহমুদ বলেন, “রাজনীতি আমাদের পরিশীলিত ও সৌজন্য বোধ শেখায়। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এই ধরনের আচরণ কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।এমন ঘটনা বাংলাদেশের ইতিহাসে প্রথম। ভবিষ্যতে ঘটবে কি না জানা নেই।” পরবর্তীতে খালেদার সঙ্গে কথা বলে সাক্ষাতের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানানোর যে কথা বিএনপি নেতারা বলেছেন তা নিয়েও সন্দেহ প্রকাশ করেছেন হাছান মাহমুদ।   তিনি বলেন, “যারা প্রধানমন্ত্রীকে ফটকে যাওয়ার পরও সৌজন্যতা দেখাতে পারে না, তাদের কোনো কথায়ই সত্যের লেশ মাত্র নেই।” প্রধানমন্ত্রী গুলশানে বিএনপির কার্যালয়ে যাওয়ার প্রাক্কালে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার যে কথা বলা হয়েছিল তার সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ।   তিনি বলেন, “আমরা আশ্চর্য হয়ে লক্ষ করলাম, প্রধানমন্ত্রী গুলশান কার্যালয় ত্যাগ করার পরই খালেদা জিয়া তাকে ধন্যবাদ জানালেন। এটা কেমন ইনজেকশন জানি না।” এসময় পাশে থাকা আওয়ামী লীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. বদিউজ্জামান ভূঁইয়া ডাবলুর দিকে তাকিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, “ঘুমের ইনজেকশন নিলে তো কয়েক ঘণ্টা ঘুমিয়ে থাকার কথা।”   দুপুরে মালয়েশিয়ায় কোকোর মৃত্যুর পর রাতে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে যান প্রধানমন্ত্রী। কার্যালয়ের ভিতর থেকে ফটকে তালা লাগানো থাকায় কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসেন তিনি। শোকাহত খালেদাকে ইঞ্জেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে বলে সে সময় বলেছিলেন তার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস। এর ঘণ্টা দুয়েক পরে প্রধানমন্ত্রীকে খালেদার ধন্যবাদ জানানোর কথা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছিলেন বিএনপির এক নেতা।   প্রধানমন্ত্রী ফটকের বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তার জন্য শোক বই নিয়ে এসেছিলেন বলে শিমুল বিশ্বাস যে দাবি করেছেন তা নিছক ‘গল্প’ বলে মন্তব্য করেন হাছান। তিনি বলেন, “প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১২ মিনিট গুলশান কার্যালয়ে অপেক্ষা করেন। শিমুল বিশ্বাস না কি শোক বই নিয়ে এসেছিলেন। খালেদা জিয়ার কার্যালয় থেকে প্রধানমন্ত্রীর দূরত্ব ছিল ৫ গজ। শিমুল বিশ্বাসের ১ মিনিটও লাগার কথা না। শোক বইয়ের গল্প এই ন্যাক্কারজনক ঘটনা আড়ালের চেষ্টা।”   সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে আওয়ামী দপ্তর সম্পাদক আব্দুস সোবহান গোলাপ, শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আব্দুস সাত্তার, উপপ্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক অসীম কুমার উকিল, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সুজিত রায় নন্দি প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।     একুশে সংবাদ ডটকম/সংগ্রাম/২৫.০১.১৫।
Link copied!