একুশে সংবাদঃ আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যুর খবর শুনে তার মা বেগম খালেদা জিয়াকে সমবেদনা জানাতে গুলশান ছুটে গেলেও বিএনপির পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যথোপোযুক্ত সৌজন্য না দেখানোর বিষয়টিকে বেইজ্জতির ব্যাপার মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী নিজেই।   তিনি বলেছেন, ‘বাইরে দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে আসতে হলো, ঢুকতে দিল না, বেইজ্জতির ব্যাপার। সামান্য সৌজন্যতা দেখানোর দরকার ছিল। তাও দেখাল না। এমনকি ছোট গেটটিও খোলা ছিল না।’ সোমবার মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকে এক অনির্ধারিত আলোচনায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।   তবে প্রধানমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের সঙ্গে একমত নন মন্ত্রিসভার কয়েকজন সদস্য। প্রধানমন্ত্রীকে তারা বলেছেন, আপনি অপমানিত হননি, অপমানিত হয়েছে বিএনপি। রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব ভুলে ছেলে হারানো মাকে সমবেদনা জানাতে বেগম জিয়ার কার্যালয়ে ছুটে যাওয়ায় প্রধানমন্ত্রীকে ধন্যবাদও জানান মন্ত্রিসভার সদস্যরা।   প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মা হিসেবে গিয়েছিলাম আরেক মায়ের শোকের অংশীদার হতে। রাজনীতি করতে যাইনি। এমন আচরণ প্রত্যাশিত ছিল না।’   আরাফাত রহমান কোকোর মৃত্যৃতে সমবেদনা জানাতে শনিবার রাতে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার গুলশান রাজনৈতিক কার্যালয়ে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছানোর কিছুক্ষণ বেগম জিয়ার বিশেষ সহকারী শিমুল বিশ্বাস বলেন, বেগম জিয়াকে ইনজেকশন দিয়ে ঘুম পাড়িয়ে রাখা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রধানমন্ত্রী সেখানে পৌঁছানোর পর কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে ফিরে যান। বিএনপির পক্ষ থেকে কেউ তার সঙ্গে দেখা করতেও যাননি।   এদিকে নিয়মিত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী ময়মনসিংহ বিভাগ গঠনে কাজ শুরুর নির্দেশ দিলে দুজন মন্ত্রী বলেন কিশোরগঞ্জ জেলা ময়মনসিংহ বিভাগে যাবে না। তবে এর কোনো জবাব দেননি প্রধানমন্ত্রী। তিনি শুধু হেসেছেন।   একুশে সংবাদ ডটকম/সংগ্রাম/২৬.০১.১৫।