AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

মমতার সফর ও তিস্তা চুক্তি


Ekushey Sangbad

০৭:৪১ পিএম, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১৫
মমতার সফর ও তিস্তা চুক্তি

একুশে সংবাদ : পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি বাংলাদেশ সফর শেষে কলকাতায় ফিরে গেছেন। যাওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে বলে গেছেন, তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাঁর ওপর ভরসা রাখতে। তিনি আরও বলেছেন, লোকসভার চলতি বাজেট অধিবেশনে বাংলাদেশের সঙ্গে ছিটমহল সমস্যা সমাধানের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনী বিল আনা হবে, আর তখন তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস তাতে সমর্থন দেবে। আমাদের তরফ থেকে অনেকে একে তাঁর সফরের ইতিবাচক ফল হিসেবে দেখতে আগ্রহী। সরকারি মুখপাত্র ছাড়াও কোনো কোনো পত্রিকায়ও বিষয়টিকে এভাবেই তুলে ধরা হয়েছে। বাংলা ভাষায় 'ভরসা' ও 'বিশ্বাস' এবং 'আশ্বাস' ও 'নিশ্চয়তা' কথাগুলোর মধ্যে মিল থাকলেও, তারা একার্থক নয়। অন্যান্য ভাষায়ও মনে হয় তাই। মমতার ঢাকা সফরকালে তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে একটা চূড়ান্ত নিষ্পত্তি হয়ে যাবে, এমনটা নিশ্চয় আমরা আশা করিনি। কারণ আমরা জানি, মমতা বৃহৎ ভারত রাষ্ট্রের একটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মাত্র। আর এ ব্যাপারে যে কোনো চুক্তি বা সমঝোতা স্মারক কেবল দুইটি রাষ্ট্রের মধ্যেই হতে পারে। অর্থাৎ এক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের। তবে স্বার্থসংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে এ বিষয়ে মমতা ব্যানার্জির একটি সবুজ সঙ্কেত দেয়া বা না দেয়ার গুরুত্ব যে অনেক, অভিজ্ঞতা থেকেও এর আগে আমরা জেনেছি। প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালে তিস্তা চুক্তির খসড়া প্রায় চূড়ান্তই হয়েছিল। বাংলাদেশের সরকার ও জনগণ সেদিন দারুণ আগ্রহ ও উৎসাহ নিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীদের স্বাগত জানিয়েছিল। মনমোহন সিংয়ের সফরসঙ্গী হিসেবে সেদিন মমতা ব্যানার্জিরও ঢাকায় আসার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তিনি তাঁর সফর বাতিল করেন। সন্দেহ সৃষ্টি হয়েছিল তখনই। চুক্তির ব্যাপারে মমতার আপত্তি বা দ্বিমতের কথাও নানা সূত্রে তখনই জানা গিয়েছিল। কিন্তু তারপরও সফরকারী ভারতীয় দল এবং স্বাগতিক বাংলাদেশ সরকারের তরফ থেকে শেষ মুহূর্ত অবধি একটা ঢাক-ঢাক গুড়-গুড় ভাব বজায় রাখা হয়েছিল। জানি না, এও হয়তো কূটনৈতিক শিষ্টাচারের অংশ! অবশেষে এবারের মমতা ব্যানার্জির মতোই একটা ভরসার কথা শুনিয়ে, শিগগিরই অচলাবস্থা নিরসনের, সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়ে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর সফরসঙ্গীরা সেদিন ঢাকা ত্যাগ করেছিলেন। মোটকথা যতটা আগ্রহ ও আশা নিয়ে সেদিন বাংলাদেশের মানুষ আমরা ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী ও তাঁর দলবলকে স্বাগত জানিয়েছিলাম, যাওয়ার সময় তাঁরা আমাদের ততটাই নিরাশায় ডুবিয়ে গিয়েছিলেন। এবারের মমতা ব্যানার্জির সফরটিও সে দিক থেকে কোনো ব্যতিক্রম নয়। তা যতই গান-গল্প বা কবিতা দিয়ে এই সত্যটিকে আড়াল করার চেষ্টা হোক। সেবার ভারতীয় প্রতিনিধি দল যাওয়ার সময় সরাসরি না হলেও আমাদের মোটামুটি এ রকম একটা ধারণা দিয়েই গিয়েছিল যে, মূলত মমতা ব্যানার্জির আপত্তির কারণেই তাঁরা তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তিটি স্বাক্ষর করতে পারেননি। পরে নিশ্চিতভাবেই এ ব্যাপারে মমতার আপত্তি ও তার কারণটা জানা গেছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর সফরের আগে চুক্তির খুঁটিনাটি সম্পর্কে তাঁকে নাকি ভালোভাবে অবহিত করা হয়নি। বিশেষ করে তিস্তা নদীর পানি প্রবাহের গড় হিসাব ও নদীর মোট পানির পরিমাণ সম্পর্কে তথ্য-উপাত্ত কেন্দ্রীয় সরকার বা তাদের বিশেষজ্ঞরা তাঁকে দেয়নি। আর যেহেতু এই তিস্তার পানিবণ্টন বিষয়টির সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গ বা ওই রাজ্যের জনগণের স্বার্থ জড়িত, তাই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে তিনি ভালোভাবে না জেনেবুঝে কেন্দ্রীয় সরকার চাইছেন বলেই কোনো কিছুতে সম্মতি দিতে পারেন না। এমনকি ভারত-বাংলাদেশ মৈত্রী বা প্রতিবেশী দুইটি দেশের সম্পর্ক উন্নয়নের স্বার্থেও না। এপার বাঙলার প্রতি মমত্ব থেকে মমতা সেদিন ওপার বাঙলার বাঙালিদের অর্থাৎ যারা ভোট দিয়ে তাঁকে ক্ষমতায় বসিয়েছেন, তাদের সুবিধা বা স্বার্থের প্রশ্নে কিছুমাত্র ছাড় দিতে রাজি হননি। এখনও মমতার সে অবস্থানের কোনো পরিবর্তন ঘটেছে, তাঁর এবারের বাংলাদেশ সফরকালীন কোনো বক্তব্য-বিবৃতি থেকে তার আভাস কি পাওয়া গেছে? সেবার মনমোহন সিংয়ের বাংলাদেশ সফরকালীন তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত না হওয়ার জন্য আসলে মমতাই দায়ী জানার পরও এবং তাঁর প্রতি হয়তো মনে মনে খানিকটা অসন্তুষ্টি বা ক্ষোভ নিয়েও আমরা অনেকেই কিন্তু অন্যদিক থেকে তাঁর প্রশংসাও করেছি। আপন জনগণের প্রতি তাঁর কমিটমেন্ট এবং তাদের স্বার্থের প্রশ্নে তাঁর আপসহীন ভূমিকার জন্য ছিল এই প্রশংসা। বলেছি, আমাদের নেতাদের উচিত মমতার এই দৃষ্টান্ত থেকে শিক্ষা নেয়া। তাঁরা যে তা নেননি, মমতার এবারের সফরকালীন তাঁদের ও আমাদের একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী ও সংস্কৃতিজনের আদিখ্যেতাই তাঁর এক বড় প্রমাণ। এমনিতে হীনম্মন্যতার মতো আদিখ্যেতা জিনিসটাও আমাদের মজ্জাগত। কিন্তু তার সঙ্গে যখন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী স্বার্থের সম্মিলন ঘটে তখন তা কোনো মাত্রাবোধ বা শোভনতার ধার ধারে না। মমতা ব্যানার্জি ঢাকায় তাঁর সাম্প্রতিক সফরে অনেক আবেগের কথাই বলেছেন। বাংলাদেশ বা এপার বাঙলার বাঙালিদের ব্যাপারে ওপারে বসেও, নানা উপলক্ষে বা উৎসবে-অনুষ্ঠানে, তিনি প্রায়ই যেমনটি বলে থাকেন। তিস্তার পানিবণ্টনের ব্যাপারে বাংলাদেশের মানুষকে তাঁর ওপর 'ভরসা' রাখতে বলেই তিনি ক্ষান্ত হননি। এমনও বলেছেন, 'দিদির (অর্থাৎ আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার) জন্য তিনি 'সব করতে রাজি'। এই 'সবে'র মধ্যে কি তিস্তার পানির হিস্যা দেয়ার ব্যাপারটিও অন্তর্ভুক্ত? নাকি এটি বা এ ধরনের অন্য বিষয়গুলো বাদ দিয়েই তিনি কথাটা বলেছেন? সম্প্রতি প্রয়াত ভারতের বিখ্যাত সাংবাদিক-সাহিত্যিক খুশবন্ত সিং আমাদের শিল্পী রুনা লায়লার গান শোনার মুগ্ধতা নিয়ে একবার লিখেছিলেন, 'রুনা লায়লাকে আমাদের দিয়ে দেয়া হোক, আমরা আপনাদের ফারাক্কার পানি দিয়ে দেব।' খুশবন্ত সিংয়ের ওই উক্তিটি যদিও বহু-উদ্ধৃত, তার কোনো রাজনৈতিক গুরুত্ব নেই। একজন সাহিত্যিকের আবেগপ্রসূত বক্তব্য হিসেবেই তাকে দেখা হয়। মমতা ব্যানার্জিও কবিতা লেখেন, ছবি অাঁকেন। ঢাকা সফরকালেও তিনি তাঁর সেই লেখক ও শিল্পীসত্তার পরিচয় দিয়েছেন গান গেয়ে, কবিতা আবৃত্তি করে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর বই ও চিত্রকর্ম উপহার দিয়ে। কিন্তু তাঁর প্রধান পরিচয় তিনি রাজনীতিক। বাংলাদেশে এসেছেন তিনি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে, সরকারি সফরে। বিমানবন্দরে, ভারতীয় রাষ্ট্রদূতের বাসভবনে অনুষ্ঠিত 'বৈঠকী বাঙলা' অনুষ্ঠানে, আমাদের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকারে কিংবা তাঁর সম্মানে আয়োজিত ভোজসভায় যত আবেগ বা উচ্ছলতাই তিনি প্রদর্শন করুন না কেন, যেখানে রাজনীতি বা রাষ্ট্রের স্বার্থের প্রশ্ন জড়িত, সেখানে তিনি দেখা গেছে যথেষ্ট সাবধানি। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে জিজ্ঞাসিত হয়েও তিনি প্রতিবার 'টেকনিক্যাল সমস্যা'র কথা বলেছেন। বুঝিয়ে দিয়েছেন, ওই 'টেকনিক্যাল' সমস্যার সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত তিস্তার পানিবণ্টন চুক্তি স্বাক্ষরিত হচ্ছে না, হবে না। সেবার চুক্তি স্বাক্ষর নিয়ে কেন্দ্রীয় সরকারের সঙ্গে মতপার্থক্যের পর মমতা রাজ্য সরকারের পক্ষে তিস্তার পানিপ্রবাহ সম্পর্কে সমীক্ষা চালানোর জন্য কল্যাণ রুদ্রের নেতৃত্বে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করেন। জানা যায়, কমিটি এ নিয়ে দুই দফা তাঁদের রিপোর্ট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের কাছে পেশ করেছে। সে রিপোর্ট অবশ্য আজও আলোর মুখ দেখেনি। ফলে তাতে কী আছে সুনির্দিষ্টভাবে তা জানা আমাদের পক্ষে সম্ভব নয়। তবে কমিটির পর্যবেক্ষণ ও সুপারিশ খুব সম্ভব মমতার কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। আর তিনি যে এ ব্যাপারে প্রায় পুরনো অবস্থানই বজায় রেখেছেন, বাংলাদেশ সফরকালে তাঁর বক্তব্য-বিবৃতিতে সেটা ভালোই বোঝা গেছে। তিনি বলেছেন, 'আমাদের কিছু সমস্যা আছে, আপনাদেরও কিছু সমস্যা আছে।' আমাদের সমস্যাটা তো আমরা জানি। তা হলো, শুকনো মৌসুমে পর্যাপ্ত পানি না পাওয়া, উজানের দেশ হিসেবে নদীর পানির ন্যায্যহিস্যা থেকে বঞ্চিত হওয়া। তাঁদের সমস্যাটা এখনও বা এ মুহূর্তে কী? আমাদেরকে আমাদের চাহিদামতো পানি দিতে না পারাই তো? কীভাবে সে সমস্যার সমাধান হতে পারে? আগেরবার ভারতের তৎকালীন কেন্দ্রীয় সরকার বাংলাদেশের সঙ্গে এ ব্যাপারে একটা সমঝোতায় পৌঁছে গিয়েছিল, যার ভিত্তিতে চুক্তির একটি খসড়াও তৈরি হয়েছিল। কিন্তু মমতা সেবার তাতে বাদ সেধে ছিলেন। তিনি বলেছিলেন, পশ্চিমবঙ্গ এবং তার জনগণের স্বার্থ ক্ষুণ্ন হয় এমন কোনো চুক্তি তিনি হতে দেবেন না। শুধু পানিবণ্টন চুক্তি নয়, একই যুক্তিতে দুই দেশের মধ্যে ছিটমহল বিনিময় চুক্তিরও বিরোধিতা করেছিলেন তিনি। সেদিন এ দুটি বিষয়েই তাঁর দল তৃণমূল কংগ্রেস ও বিজেপির ছিল একই অবস্থান। বিজেপি আজ কেন্দ্রে ক্ষমতায়। তিস্তা চুক্তির ব্যাপারে তাদের আগের অবস্থান কি তারা বদলেছে? এ ব্যাপারে কোনো প্রকাশ্য বিবৃতি কি এখন পর্যন্ত তাদের কাছ থেকে পাওয়া গেছে? কিসের ভিত্তিতে আমরা তবে আশাবাদী হব, কেনই বা কারও ওপর ভরসা রাখব? সেবার কেন্দ্রীয় সরকার রাজি থাকলেও, মমতার আপত্তির কারণে চুক্তি স্বাক্ষরিত হতে পারেনি। এমন তো হতে পারে, এবার মমতা 'ইতিবাচক' মনোভাব দেখাচ্ছেন, কিন্তু কেন্দ্রীয় সরকারের এ ব্যাপারে আপত্তি বা দ্বিধা আছে? ফলাফল তো আমাদের জন্য সেই একই। মমতা তাঁর বাংলাদেশ সফরে আসার ঠিক আগে কেন্দ্রীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুষমা স্বরাজের কাছ থেকে একটা চিঠি পেয়েছিলেন। কী ছিল সে চিঠিতে, আমরা জানি না। ঢাকায় মমতা যে বললেন, 'এবারও অনেক বাধা ছিল', 'ব্যাগ গোছানো পর্যন্ত তিনি বুঝতে পারেননি, আসতে পারবেন কিনা, সে বাধাটাই বা কোনদিক থেকে এসেছিল? মমতার ঢাকা সফরের পর লোকসভায় তৃণমূল দলীয় সদস্যদের সঙ্গে আলাপকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি যে এ সফর নিয়ে সন্তোষ প্রকাশ করলেন, সফরকে সফল বললেন, সেই কেন বা কী অর্থে? মমতার এই সফর ভারত বা বাংলাদেশ কার জন্য কী সুফল প্রসব করল? ১৯৭৪ সালে বাংলাদেশ ও ভারত নিজেদের মধ্যে ছিটমহল বিনিময়ের লক্ষ্যে একটি স্থল সীমান্ত চুক্তি স্বাক্ষর করেছিল। দুইটি দেশের পক্ষে প্রধানমন্ত্রীরা ওই চুক্তিতে সই করেছিলেন। চুক্তি স্বাক্ষরের পরপরই বাংলাদেশ জাতীয় সংসদে তা অনুমোদিত হলেও, ভারতের দিক থেকে তা বাস্তবায়নে বাধা রয়ে যায়। প্রায় চার দশক পর এবারই প্রথম চুক্তিটি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংবিধান সংশোধনের জন্য একটি বিল ভারতীয় সংসদে আনা হবে বলে জানা গেছে। ঢাকা সফরে এসে মমতা ব্যানার্জি আমাদের আশ্বস্ত করেছেন, বিলটি যাতে সংসদের চলতি বাজেট অধিবেশনেই পাস হয়, তার জন্য তিনি ও তাঁর দল ভূমিকা রাখবেন। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির মনোভাবও এ ব্যাপারে ইতিবাচক বলে জানা যায়। সংবিধানে প্রয়োজনীয় সংশোধনীর পর চুক্তিটি বাস্তবায়ন করা গেলে তা বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গের ছিটমহলবাসী মানুষের বহু বছরের অবর্ণনীয় দুঃখ-কষ্টের অবসান ঘটাতে পারবে বলে আশা করা যায়। তবে বংলা ভাষায় একটা কথা আছে 'না অাঁচালে বিশ্বাস নেই'। তার ওপর বিজেপি সরকার তার বিরাট সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়েও এ মুহূর্তে সংসদে খুব বেকায়দায় আছে। ১৮৯৪ সালের জমি অধিগ্রহণ আইনের কিছু ধারা বাতিলের দাবিতে সংসদের সবক'টি দল আজ বিজেপির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ ও সোচ্চার। এ অবস্থায় মোদি সরকার বিরোধী দলগুলোর হাতে নতুন আরেকটি ইস্যু তুলে দেবে, স্বাভাবিকভাবেই তা আশা করা যায় না। হাসান শফি : লেখক ও চিন্তক একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৭-০২-০১৫:
Link copied!