পুরুষদের এড়িয়ে চলাই নারীদের দীর্ঘ জীবনের রহস্য!
একুশে সংবাদ : দীর্ঘ জীবন লাভ করা বহু নারীই জানাচ্ছেন, তারা বহু বছর ধরে পুরুষের থেকে দূরে রয়েছেন। সম্প্রতি এ ধরনের মতামত প্রদান করা বয়স্ক নারীর সংখ্যা ক্রমে বেড়ে যাওয়ায় অনেকেই ধারণা করছেন, নারীদের দীর্ঘ জীবনের পেছনে পুরুষের থেকে দূরে থাকার কোনো সম্পর্ক রয়েছে কি না। এক প্রতিবেদনে বিষয়টি জানিয়েছে ইউবিউটি।
১১৫ বছর বয়সী এমা মোরেনো ইউরোপের সবচেয়ে বয়স্ক নারী। তিনি বিশ্বের পঞ্চম বয়স্ক ব্যক্তিও বটে। সম্প্রতি নিউ ইয়র্ক টাইমস ম্যাগাজিনে তিনি জানান, তার দীর্ঘ জীবনের রহস্য কাঁচা ডিম খাওয়া ও পুরুষকে এড়িয়ে চলা। তিনি জানান, সিঙ্গেল নারী সর্বত্রই গ্রহণীয়। তবে তিনি যে সব সময় একাকী ছিলেন তা নয়। ১৯৩৮ সালে তার বিয়ে বিচ্ছেদ হয়ে যায়।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমি কারো দ্বারা শাসিত হতে চাইনি।
এরপর থেকে মোরেনো তার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের সঙ্গে নিয়ে বাঁচলেও স্বামী বা সে ধরনের কোনো পুরুষের থেকে দূরেই আছেন।
অন্য একজন নারী হলেন ১০৯ বছর বয়সী জেসি গ্যারান। স্কটল্যান্ডের অধিবাসী এ নারী দীর্ঘ জীবনের রহস্য প্রসঙ্গে বলেন, আমার দীর্ঘ জীবনের গোপন রহস্য হচ্ছে, পুরুষের থেকে দূরে থাকা। তাদের সঙ্গে থাকলে লাভের চেয়ে ঝামেলা বেশি হয়।
তাহলে পুরুষের সঙ্গ থেকে দূরে থাকা কী সত্যিই নারীর দীর্ঘ জীবন আনে? এ বিষয়ে বিশেষজ্ঞ কিংবা গবেষকদের মতামত না নিয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না।
এ প্রসঙ্গে বোর্ড সার্টিফাইড প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ অ্যালেথা মেব্যাংক বলেন, তথ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দেখা যায়, তার জীবনের চাবিকাঠি পুরুষের সঙ্গে বাঁচার বদলে অন্য কোনো বিষয়। সাম্প্রতিক বহু বড় গবেষণায় দেখা গেছে, বিবাহিত জীবন বেঁচে থাকার জন্য সহায়ক।
তিনি তাই পারিবারিক সম্পর্কের গুরুত্ব বাদ দিতে কোনোমতেই রাজি নন। তিনি জানান, বিবাহিত জীবনে হৃদরোগ, ক্যান্সার ইত্যাদির হার কমে যায়। নারীরাও এ থেকে দূরে নন। তবে তার বিষয়টি যদি এমন হয় যে, বিবাহিত জীবনে তার মানসিক চাপ স্বাভাবিকের তুলনায় বেশি ছিল। আর এ চাপ থেকে মুক্তি পেয়ে তিনি প্রভূত মানসিক শান্তি পেয়েছেন। যদিও তা স্বাভাবিক নয়।
একুশে সংবাদ ডটকম/আর/২৮-০২-০১৫:
Link copied!
আপনার মতামত লিখুন :