AB Bank
ঢাকা শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সরকার নিবন্ধিত নিউজ পোর্টাল

Ekushey Sangbad
ekusheysangbad QR Code
BBS Cables
Janata Bank
  1. জাতীয়
  2. রাজনীতি
  3. সারাবাংলা
  4. আন্তর্জাতিক
  5. অর্থ-বাণিজ্য
  6. খেলাধুলা
  7. বিনোদন
  8. শিক্ষা
  9. তথ্য-প্রযুক্তি
  10. অপরাধ
  11. প্রবাস
  12. রাজধানী

এখন অভিজিৎ!


Ekushey Sangbad

০৫:৫৫ পিএম, মার্চ ২, ২০১৫
এখন অভিজিৎ!

একুশে সংবাদ : হত্যা- যে কোনো বিচারেই অগ্রহণযোগ্য এবং এর বিচার হবার কথা। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখ ভারক্রান্ত হৃদয়ে আমরা এর কোনো বিচার দেখিনা। খুব ব্যাতিক্রম ছাড়া। এটা আমি আওয়ামীলীগ সরকারকে ধরে বলছি না। সব সরকারের সময়ই একই কথা। কয়টা উদাহরণ দেই বাংলাদেশে সবচেয়ে আলোচিত হত্যাকাণ্ডের তালিকায় যে সব লোকের নাম আসে তাদের চেয়েও আলোচিত অনেক ব্যাক্তি খুন হয়েছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাষ্ট্রবিজ্ঞানী অধ্যাপক আফতাব আহমদ খুন হয়েছেন। তার হত্যার বিচার কি হয়েছে? বিএনপি ক্ষমতায় থাকার সময় তার দলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোস্তাফিজুল ইসলাম মামুন খুন হয়েছে? তার কি বিচার হয়েছে? খুলনায় সাংবাদিক মানিক, বালূ ,যশোরের সাংবাদিক শামসুর রহমান এবং রানা'র সম্পাদক খুন হয়েছে- বিচার কি হয়েছে? অথবা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবু বকর খুন হয়েছে, সে মামলার কি কোনো অগ্রগতি আছে? সম্বাদিক দম্পত্তি সাগর রুনি এই নগরে খুন হয়েছেন? বিচার কি হয়েছে। 'দ্বিতীয় প্রজন্মের মুক্তিযোদ্ধা' থাবা বাবা ওরপে রাজিব খুন হয়েছেন, বিচার কি হয়েছে? চ্যানেল আইয়ের ইসলামিক অনুষ্ঠান হজ্ব কাফেলা অনুষ্ঠানের উপস্থাপক কাজী ফারুকীকে খুন হয়েছে। বিচারের কি হাল? কেউ কেউ বলবেন- বিচার চলমান! আমিও জানি। তবে আর কতকাল চলবে - সেটা আল্লাহ মালুম। এখন অভিজিৎ! যে খুন হলো বা যারা খুন করেছে, তাদের মত পথ বিশ্বাসের ভিন্নতা থাকতে পারে- কিন্তু আইনের রং একটাই হওয়ার কথা। সেটি আমরা দেখিনা। একই সাথে গণমাধ্যমের ভূমিকাও দায়িত্বশীল হবার কথা সেটিও এখন লুপ্তপ্রায়। আর কিছু শব্দ- ধর্মান্ধ, ধর্ম ব্যবসায়ী, চেতনা, মুক্তমত, সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী, মুক্ত চিন্তা; এখন এতটাই ব্যবহৃতও ও প্রচলিত যে- যে কোনো ঘটনার অপরাধীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে থেকে যায়! আগে পুলিশ আসামী ধরলে - পুলিশ বলতেন; আমরা দেখছি। তদন্তের স্বার্থে এখন কিছু বলা যাচ্ছে না। আসলে তদন্ত ফদন্ত কিছুই না। একটা জিনিসের সাময়িক উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা। এখন পুলিশ কোনো একটা দিকে আঙুল তোলে, তারপর তদন্ত করার নামে তাই প্রতিষ্ঠত করার চেষ্টা করে- যদিও চূড়ান্ত বিচারে সব সময় তা সত্য হয় না। তবুও 'চাকুরী রক্ষা' বলে একটা সহজ ফর্মুলা প্রয়োগ করে তার টিকে যাওয়া। কিন্তু মিডিয়ার দায়! সেটা বলার অপেক্ষা রাখে না। এখন মিডিয়া কোনো একটা ঘটনা প্রবাহ কোনদিকে নেবে তা বিশেষ বিশেষ জায়গা থেকে আরোপনের আলোকেই করা হয় বলে অনেকে আন্দাজ করেন। তবে এ সব আন্দাজ সব সময় সঠিক সেটাও আমি বলতে চাচ্ছি না। ফেসবুক ব্লগের আবেগি কারখানায় তো পুরো তদন্ত রিপোর্ট ঘটনার সাথে সাথেই প্রকাশ হয়ে যায়। মনে হয় এ টা নিয়ে আগে থেকেই রিসার্চ ফাইন্ডিংস ছিল- জাস্ট আপলোড মারা আর কি! মজার ব্যাপার হলো ঘটনার সাথে দিন গড়ায়; সেই দিন গড়ানোর সাথে সাথে সবাই এ সব ভুলে যেতে থাকে। এবং এ সব ঘটনার কোনো বিচার হয় না। আর ফেসবুক ব্লগ কাঁপানো লোকেরা হলুদ বসন্ত, রক্তিম ভালোবাসার গোলাপের ছবি নিয়ে আলাপ জোড়েন এবং কখনো তারা কোনো ঘটনা টানা ফলোআপে রাখার মত ধৈর্যশীল নন। এটা আমার ব্যাক্তিগত উপলব্ধি! এ ধৈর্য্য আমরা দেখেছি- গণমাধ্যমের। ক্রমাগত ফালোআপের কারণে নারী নির্যাতক মনি'র ফাঁসি হয়েছিল, এ বাংলাদেশেই। কুখ্যাত এরশাদ শিকদারের ফাঁসিও হয়েছিল, এ দেশেই। জঙ্গি শায়খ রহমান, বাংলা ভাইয়ের ফাঁসিও হয়েছিল এ দেশে। এ জন্য ধৈর্য্যটা খুব জরুরী। নোট: আমার কাছে প্রতিটি মানুষের জীবন আমার নিজের জীবনের মতই গুরুত্বপূর্ণ। আমি সে জন্য সব ধরণের হত্যা, হত্যার উস্কানি, গুম, খুন, অপহরণের বিপক্ষে ছিলাম, আছি এবং সামনেও থাকবো। এ কথা শত বার বলছি, কারণ যতদিন হত্যা চলবে- ততদিন আমি এর বিপক্ষে বলবোই! মতমত বিভাগে প্রকাশিত লেখার জন্য কর্তৃপক্ষ দায়ী নহে। একুশে সংবাদ ডটকম/আর/০২-০৩-০১৫:
Link copied!